আত্মহত্যাকারী সুইটির ফল নিয়ে শিক্ষকের সন্দেহ
এসএসসিতে রাজশাহী বোর্ডে ১১৬ ও যশোরে ৬০ জনের ফল পরিবর্তন
রাজশাহী ও যশোর ব্যুরো
২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীর ফল বদলে গেছে।
এ কারণে চারঘাটের বেলঘরিয়া আবদুস সাত্তার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুইটি খাতুনের এসএসসির ফল নিয়ে সন্দেহ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এসএসসিতে ফেল করায় সুইটি খাতুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। গণিতে ফেল করেছিল বলে ফল আসে তার। প্রধান শিক্ষক বলেন, সুইটি মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। আত্মহত্যা করায় তার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কেউ করেনি। তবে তার ফেল নিয়ে আমাদেরও একটু সন্দেহ আছে।
রাজশাহী বোর্ডে ১১৬ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সাদিকুন নাহার এসএসসি পরীক্ষা খুব ভালো দিয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা গেল, পদার্থবিজ্ঞানে সে অকৃতকার্য হয়েছে। অপ্রত্যাশিত এই ফল মানতে না পেরে সাদিকুন বোর্ড খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে। খাতা পুনঃনিরীক্ষায় দেখা গেল সে পদার্থবিজ্ঞানে পেয়েছে ‘এ’ প্লাস। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ১৮ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটে। এতে দেখা যায়, এবার মোট ১১৬ জন শিক্ষার্থীর ১২০টি বিষয়ের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাশ করেছে ৭৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১৮ জন কোনো কোনো বিষয়ে ফেল থেকে পেয়েছে এ প্লাস। এ গ্রেড থেকে ফল বদলে উচ্চতর গ্রেড পেয়েছে ২২ জন। এ মাইনাস থেকে উচ্চতর গ্রেড পেয়েছে ১২ জন, বি গ্রেড থেকে ৭ জনের ফল বদলে উচ্চতর গ্রেড হয়েছে। একই কথা বলছেন শিক্ষাবিদরাও। রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, কয়েক হাজার খাতার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন পড়ে। অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। কিন্তু দ্বিতীয়বার খাতা দেখা হয় না। শুধু নম্বর ঠিকমতো যোগ করা হয়েছে কি না, সেটুকু দেখা হয়। এটা অন্যায়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো পরীক্ষক ভুল করলে আমরা পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে তাকে দুই বছর বা তার বেশি বিরত রাখতে পারি। এর বেশি কিছু আমরা পারি না।
যশোর : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ৬০ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করেছে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে ১১ জন পরীক্ষার্থী আগে ফেল করলেও পুনঃনিরীক্ষণে তারা জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আত্মহত্যাকারী সুইটির ফল নিয়ে শিক্ষকের সন্দেহ
এসএসসিতে রাজশাহী বোর্ডে ১১৬ ও যশোরে ৬০ জনের ফল পরিবর্তন
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীর ফল বদলে গেছে।
এ কারণে চারঘাটের বেলঘরিয়া আবদুস সাত্তার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুইটি খাতুনের এসএসসির ফল নিয়ে সন্দেহ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এসএসসিতে ফেল করায় সুইটি খাতুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। গণিতে ফেল করেছিল বলে ফল আসে তার। প্রধান শিক্ষক বলেন, সুইটি মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। আত্মহত্যা করায় তার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কেউ করেনি। তবে তার ফেল নিয়ে আমাদেরও একটু সন্দেহ আছে।
রাজশাহী বোর্ডে ১১৬ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সাদিকুন নাহার এসএসসি পরীক্ষা খুব ভালো দিয়েছিল। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা গেল, পদার্থবিজ্ঞানে সে অকৃতকার্য হয়েছে। অপ্রত্যাশিত এই ফল মানতে না পেরে সাদিকুন বোর্ড খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে। খাতা পুনঃনিরীক্ষায় দেখা গেল সে পদার্থবিজ্ঞানে পেয়েছে ‘এ’ প্লাস। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ১৮ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটে। এতে দেখা যায়, এবার মোট ১১৬ জন শিক্ষার্থীর ১২০টি বিষয়ের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাশ করেছে ৭৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১৮ জন কোনো কোনো বিষয়ে ফেল থেকে পেয়েছে এ প্লাস। এ গ্রেড থেকে ফল বদলে উচ্চতর গ্রেড পেয়েছে ২২ জন। এ মাইনাস থেকে উচ্চতর গ্রেড পেয়েছে ১২ জন, বি গ্রেড থেকে ৭ জনের ফল বদলে উচ্চতর গ্রেড হয়েছে। একই কথা বলছেন শিক্ষাবিদরাও। রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, কয়েক হাজার খাতার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন পড়ে। অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। কিন্তু দ্বিতীয়বার খাতা দেখা হয় না। শুধু নম্বর ঠিকমতো যোগ করা হয়েছে কি না, সেটুকু দেখা হয়। এটা অন্যায়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, কোনো পরীক্ষক ভুল করলে আমরা পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে তাকে দুই বছর বা তার বেশি বিরত রাখতে পারি। এর বেশি কিছু আমরা পারি না।
যশোর : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ৬০ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করেছে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে ১১ জন পরীক্ষার্থী আগে ফেল করলেও পুনঃনিরীক্ষণে তারা জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে।