এমপি আলমের ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
jugantor
এমপি আলমের ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

  বরিশাল ব্যুরো  

২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

এমপি শাহে আলমের ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম তেতলা গ্রামের বাসিন্দা রতন ঘরামি। বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বানারীপাড়া আমলি) আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ করেছিলেন রতন ঘরামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো. জহির উদ্দিন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম বেপারি, স্থানীয় সংসদ-সদস্য (বরিশাল-২ আসন) মো. শাহে আলমের ম্যানেজার আল আমিন, তাদের সহযোগী তুহিন গাজী ও ইলিয়াস খান। এদিকে মামলায় আসামিদের নামের তালিকায় স্থানীয় সংসদ-সদস্য (বরিশাল-২ আসন) মো. শাহে আলমের নাম না থাকলেও ঘটনার বিবরণে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৫ দিন আগে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে স্থানীয় সংসদ-সদস্য শাহে আলম তার বাসায় বাদীকে ডেকে পাঠান। বাদী কৃষক রতন ঘরামি মো. শাহে আলমের বাসায় গেলে, তাকে প্রজেক্ট করার কথা জানিয়ে ১৫ কাঠা জমি লিখে দিতে বলেন। এ কথা শুনে বাদী উত্তর না দিয়ে চলে আসেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জানুয়ারি রাত ১১টায় আল আমিনসহ মামলার আসামিরা বাদী রতন ঘরামির ঘরে প্রবেশ করে এবং ১৫ কাঠা জমি এমপির নামে লিখে দিতে বলে। আর লিখে না দিলে দেশে বসবাস করতে পারবে না বলে হুমকি দেয়। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিদের সঙ্গে থাকা দা-চাকু দিয়ে প্রাণনাশ ও একের পর এক মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় বাদী ডাক-চিৎকার দিলে স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করলে রাত ২টা ২০ মিনিটে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় মামলার আসামি তুহিন গাজী ও ইলিয়াস খানকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে বাদী।

এদিকে মামলার বাদী রতন ঘরামি জানিয়েছেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশে তিনিসহ ১৩টি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর অত্যাচার ও জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংসদ শাহে আলম বলেন, এই ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ষড়যন্ত্র করে বিরোধীপক্ষ এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন। এছাড়া রতন আমার কাছে জমি বিক্রি করতে চেয়েছে, দখলের বিষয় আসবে কেন।

এমপি আলমের ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

 বরিশাল ব্যুরো 
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

এমপি শাহে আলমের ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম তেতলা গ্রামের বাসিন্দা রতন ঘরামি। বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বানারীপাড়া আমলি) আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ করেছিলেন রতন ঘরামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো. জহির উদ্দিন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম বেপারি, স্থানীয় সংসদ-সদস্য (বরিশাল-২ আসন) মো. শাহে আলমের ম্যানেজার আল আমিন, তাদের সহযোগী তুহিন গাজী ও ইলিয়াস খান। এদিকে মামলায় আসামিদের নামের তালিকায় স্থানীয় সংসদ-সদস্য (বরিশাল-২ আসন) মো. শাহে আলমের নাম না থাকলেও ঘটনার বিবরণে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৫ দিন আগে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে স্থানীয় সংসদ-সদস্য শাহে আলম তার বাসায় বাদীকে ডেকে পাঠান। বাদী কৃষক রতন ঘরামি মো. শাহে আলমের বাসায় গেলে, তাকে প্রজেক্ট করার কথা জানিয়ে ১৫ কাঠা জমি লিখে দিতে বলেন। এ কথা শুনে বাদী উত্তর না দিয়ে চলে আসেন। যার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জানুয়ারি রাত ১১টায় আল আমিনসহ মামলার আসামিরা বাদী রতন ঘরামির ঘরে প্রবেশ করে এবং ১৫ কাঠা জমি এমপির নামে লিখে দিতে বলে। আর লিখে না দিলে দেশে বসবাস করতে পারবে না বলে হুমকি দেয়। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিদের সঙ্গে থাকা দা-চাকু দিয়ে প্রাণনাশ ও একের পর এক মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় বাদী ডাক-চিৎকার দিলে স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করলে রাত ২টা ২০ মিনিটে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় মামলার আসামি তুহিন গাজী ও ইলিয়াস খানকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন, এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে বাদী।

এদিকে মামলার বাদী রতন ঘরামি জানিয়েছেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশে তিনিসহ ১৩টি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর অত্যাচার ও জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংসদ শাহে আলম বলেন, এই ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ষড়যন্ত্র করে বিরোধীপক্ষ এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন। এছাড়া রতন আমার কাছে জমি বিক্রি করতে চেয়েছে, দখলের বিষয় আসবে কেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন