নাঙ্গলকোটে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে গেলেন বর
jugantor
নাঙ্গলকোটে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে গেলেন বর

  নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি  

২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

জেলার নাঙ্গলকোটে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়িতে বরযাত্রার মাধ্যমে বাবার ইচ্ছাপূরণ করলেন জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের প্রবাসী জালাল আহমেদের ছেলে জাকির হোসেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে পরিবারের লোকজন নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান জাকির হোসেন। কনের বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামুরপাড় গ্রামে। এ সময় হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে এলাকায় শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় জমান।

পরিবারিক সূত্র জানায়, জাকির হোসেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি স্থানীয় ভোগই বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। এলাকায় তার একাধিক মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। তার বাবা জালাল আহমেদ কুয়েত প্রবাসী। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার উদ্যোগ নেন। উপজেলার একই ইউনিয়নের ধামুরপাড়া গ্রামের ডা. গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ফারজানা আঁখির সঙ্গে বিয়ে হয় জাকিরের।

কুয়েত প্রবাসী জালাল আহমেদ বলেন, তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে জাকির সবার বড়। তার দীর্ঘদিনের শখ ছিল বড় ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। নিজের শখ পূরণে রাজধানী ঢাকা থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেন তিনি। হেলিকপ্টারে চড়েই ছেলে বিয়ে করেছেন। এভাবে ছেলেকে বিয়ে করাতে পেরে তিনি আনন্দিত। মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি জাকির হোসেনের শ্বশুর ডা. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত।

পুঠিয়ায় হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে ভিড়, প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে : পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, পরিবারের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে দিনাজপুর বিয়ে করতে গেলেন বর। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বরযাত্রা দেখতে সকাল থেকে আশপাশের কয়েক গ্রামের উৎসুক মানুষ জড়ো হয় সেখানে। বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের হাড়োগাথি গ্রামের একটি ইটভাটায় হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে। ওই গ্রামের সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইরমান হোসেন হৃদয় বিয়ে করছেন দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা এলাকার সেনা কর্মকর্তার মেয়েকে।

বরের বাবা বলেন, আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। তাদের সে ইচ্ছে পূরণে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া হয়। দুপুরে এখান থেকে বর নিয়ে কনের বাড়ি যাবে। বিয়ের কাজ শেষে আবার নিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে ছেলের বিয়েতে সব আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। আবুল হোসেন নামের একজন উৎসুক জনতা বলেন, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টার নামেনি। তাই হেলিকপ্টার দেখতে আজ সকাল থেকে ইটভাটা এলাকায় শত শত মানুষ অপেক্ষা করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে দুপুরের দিকে। শুনেছি সন্ধ্যার আগে বউ নিয়ে আবার এখানেই আসবে হেলিকপ্টার। ফলে মানুষের ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। হাড়োগাথি গ্রামের একজন শিক্ষক বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আর হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে গিয়ে এত লোক করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন অনুমতি কেন দেওয়া হলো। এমন কথা এখন গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, একটি বিয়ের জন্য ওই গ্রামে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করা হবে, এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। আর সে মোতাবেক পদক্ষেপ নিয়েছি।

নাঙ্গলকোটে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে গেলেন বর

 নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

জেলার নাঙ্গলকোটে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়িতে বরযাত্রার মাধ্যমে বাবার ইচ্ছাপূরণ করলেন জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের প্রবাসী জালাল আহমেদের ছেলে জাকির হোসেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে পরিবারের লোকজন নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান জাকির হোসেন। কনের বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামুরপাড় গ্রামে। এ সময় হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে এলাকায় শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় জমান।

পরিবারিক সূত্র জানায়, জাকির হোসেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি স্থানীয় ভোগই বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। এলাকায় তার একাধিক মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। তার বাবা জালাল আহমেদ কুয়েত প্রবাসী। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার উদ্যোগ নেন। উপজেলার একই ইউনিয়নের ধামুরপাড়া গ্রামের ডা. গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ফারজানা আঁখির সঙ্গে বিয়ে হয় জাকিরের।

কুয়েত প্রবাসী জালাল আহমেদ বলেন, তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে জাকির সবার বড়। তার দীর্ঘদিনের শখ ছিল বড় ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। নিজের শখ পূরণে রাজধানী ঢাকা থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেন তিনি। হেলিকপ্টারে চড়েই ছেলে বিয়ে করেছেন। এভাবে ছেলেকে বিয়ে করাতে পেরে তিনি আনন্দিত। মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি জাকির হোসেনের শ্বশুর ডা. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত।

পুঠিয়ায় হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে ভিড়, প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে : পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, পরিবারের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে দিনাজপুর বিয়ে করতে গেলেন বর। আর হেলিকপ্টারে চড়ে বরযাত্রা দেখতে সকাল থেকে আশপাশের কয়েক গ্রামের উৎসুক মানুষ জড়ো হয় সেখানে। বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের হাড়োগাথি গ্রামের একটি ইটভাটায় হেলিকপ্টার ল্যান্ড করে। ওই গ্রামের সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইরমান হোসেন হৃদয় বিয়ে করছেন দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা এলাকার সেনা কর্মকর্তার মেয়েকে।

বরের বাবা বলেন, আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। তাদের সে ইচ্ছে পূরণে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া হয়। দুপুরে এখান থেকে বর নিয়ে কনের বাড়ি যাবে। বিয়ের কাজ শেষে আবার নিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে ছেলের বিয়েতে সব আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। আবুল হোসেন নামের একজন উৎসুক জনতা বলেন, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টার নামেনি। তাই হেলিকপ্টার দেখতে আজ সকাল থেকে ইটভাটা এলাকায় শত শত মানুষ অপেক্ষা করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে দুপুরের দিকে। শুনেছি সন্ধ্যার আগে বউ নিয়ে আবার এখানেই আসবে হেলিকপ্টার। ফলে মানুষের ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। হাড়োগাথি গ্রামের একজন শিক্ষক বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আর হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখতে গিয়ে এত লোক করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন অনুমতি কেন দেওয়া হলো। এমন কথা এখন গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, একটি বিয়ের জন্য ওই গ্রামে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করা হবে, এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। আর সে মোতাবেক পদক্ষেপ নিয়েছি।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন