পদ্মার দুই পারে উৎসবের আমেজ
সেতু উদ্বোধন ২৫ জুন
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৭ মে ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
২৫ জুন সকাল ১০টায় বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন খবরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে জমিদাতাসহ স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওয়ার কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আরিফুর রহমান খুশিতে আত্মহারা হয়ে জানান, বাপ-দাদার ভিটেমাটি পদ্মা সেতুর কাজে দিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করছি।
মাওয়া ঘাটে খুলনাগামী যাত্রী রোমানা বেগম ও সুজনা আক্তার জানান, প্রতিনিয়ত শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ঘাটে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমাদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সময় কমে আসবে। এতে করে আমরা দিনে দিনে ঢাকায় এসে কাজ সেরে আবার বাড়ি ফিরে আসতে পারব।
মাদারীপুরগামী শাহজাহান মিয়া জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে আমাদের জেলাজুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ২৫ জুন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মত হন তিনি। এমন খবরে পদ্মার দুই পারে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষার তর সইছেনা উভয় পারের মানুষের।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। ১৭ মে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহণের জন্য আলাদা আলাদা টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সেতু উদ্বোধন ২৫ জুন
পদ্মার দুই পারে উৎসবের আমেজ
২৫ জুন সকাল ১০টায় বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন খবরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে জমিদাতাসহ স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওয়ার কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আরিফুর রহমান খুশিতে আত্মহারা হয়ে জানান, বাপ-দাদার ভিটেমাটি পদ্মা সেতুর কাজে দিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করছি।
মাওয়া ঘাটে খুলনাগামী যাত্রী রোমানা বেগম ও সুজনা আক্তার জানান, প্রতিনিয়ত শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ঘাটে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমাদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সময় কমে আসবে। এতে করে আমরা দিনে দিনে ঢাকায় এসে কাজ সেরে আবার বাড়ি ফিরে আসতে পারব।
মাদারীপুরগামী শাহজাহান মিয়া জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে আমাদের জেলাজুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ২৫ জুন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মত হন তিনি। এমন খবরে পদ্মার দুই পারে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষার তর সইছেনা উভয় পারের মানুষের।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। ১৭ মে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহণের জন্য আলাদা আলাদা টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।