৪১ বছরে ১৭, এক মিনিটেই ৯ মৃত্যু
আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারের লড়াই
নিখোঁজ ৩ জন শনাক্ত হলে সীতাকুণ্ডে ট্র্যাজেডিতে মৃত কর্মীর সংখ্যা ১২ হবে
শিপন হাবীব
০৯ জুন ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে ৯ ফায়ার ফাইটারসহ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৪১ বছরে ২৬ ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮১ সালের পর থেকে ২ জুন পর্যন্ত ১৭ জন প্রাণ হারান। অথচ ৩ জুন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মাত্র একদিনেই, বলা ভালো মাত্র এক মিনিটেই প্রাণ হারালেন ৯ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন-ধারণা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন। লাশ শনাক্ত হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মানিকুজ্জামান মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সৃষ্টি হওয়ার পর একসঙ্গে এত ফাইটারের মৃত্যু বা দগ্ধ এর আগে কখনো হয়নি। ফাইটারদের যদি জানানো হতো-কনটেইনারের ভেতর রাসায়নিকদ্রব্য বা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে, তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বা উদ্ধার কৌশল ভিন্ন হতো। প্রাণহানিও হতো না।
সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা মালিক পক্ষ থেকে ভেতরে কী আছে, কোন ধরনের দ্রব্য রয়েছে তা জানানো উচিত। কারণ পরিষ্কার ধারণা থাকলে আগুন নিয়ন্ত্রণসহ উদ্ধার প্রক্রিয়াটিও সহজ হয়। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টাসহ বিভিন্ন সময় বড় বড় দুর্ঘটনায় আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ফাইটাররা।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ২ জন ও চট্টগ্রামে ১৩ জন ফায়ার ফাইটার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের অনেকেই শঙ্কামুক্ত নন। ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমাদের ৯ সহকর্মীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অধিপ্তরের উপপরিচালক দুলাল মিয়া জানান, আমাদের ধর্মই হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো, সম্পদ বাঁচানো। আমরা বিশেষ পদ্ধতিতে অগ্নিনির্বাপণ করে থাকি। সীতাকুণ্ড ডিপোতেও ওই নীতির ব্যত্যয় ঘটেনি। আমাদের কর্মীরা ডিপোতে দুটি কনটেইনার ঘিরে অগ্নিনির্বাপণ করছিল। ওই সময় আমাদের সহকর্মীরা অনেককে জিজ্ঞেস করেছিল, কনটেইনারের ভেতর কী আছে? উত্তরে বলা হয়, গার্মেন্ট পণ্য। এমনটা জেনে আমাদের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ওই কনটেইনারসহ বহু কনটেইনার একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। আমাদের সহকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
সাবেক পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ জানান, সীতাকুণ্ডে আগুনের সংবাদ পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফাইটাররা। এরপর পৌঁছে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফাইটাররা। নিহত ৯ জনই এ দুই স্টেশনে কর্মরত ছিল। ওখানে যাওয়া ফাইটাররা প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ছিল। তাদের যদি প্রকৃত তথ্য দেওয়া হতো তাহলে এত প্রাণ ঝরত না। তিনি আরও বলেন, এমন মৃত্যু হত্যার শামিল। যারা বিষয়টি গোপন রেখেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে মাহবুবুর রহমান, ১৯৯১-এ মুসলিম উদ্দিন, ২০০১-এ জহিরুল হামিদ ও মাহাবুবুর হোসেন খান, ২০০৬-এ আক্তার হোসেন, ২০০৮-এ অমল চন্দ্র মণ্ডল, ফায়ার লিডার আব্দুর রশিদ ও ড্রাইভার আজিজ হাওলাদার নিহত হন। ২০০৯ সালে শেখ জালাল, ২০১৫-এ ফায়ারম্যান মো. শাহ আলম, ২০১৩-এ আবু সাইদ, ২০১৭-এ আব্দুল মতিন, ২০১৯-এ সোহেল রানা, ২০২১-এ ডুবুরি আব্দুল মতিন এবং ২০২১ সালে মো. মিলন মিয়া নিহত হন। এ ছাড়া ফায়ারম্যান নির্গেন্দু প্রসন্ন সিংহ ও আবুল কালাম আজাদও নিহত হন অগ্নিনির্বাপণ করতে গিয়ে। শনিবার মারা যান মো. রানা মিয়া, মনিরুজ্জামান, শাকিল তরফদার, মিঠু দেওয়ান, আলাউদ্দিন, রমজানুল ইসলাম, নিপণ চাকমা, সালাউদ্দিন কাদের ও ইমরান হোসেন মজুমদার।
ফাইটারশূন্য কুমিরা ফায়ার স্টেশন : সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগে আগুনের সবচেয়ে কাছে ছিলেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। এখনো মর্মান্তিক এই ট্র্যাজেডির নীরব সাক্ষী স্টেশনটি। অগ্নিকাণ্ডে স্টেশনের সব কর্মী হতাহত হন। এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে বিরল। জীবনবাজি রেখে সবার আগে ছুটে যাওয়া অগ্নিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রাণ গেছে ৫ জনের, বাকিরা দগ্ধ। এখনো নিখোঁজ দুজন।
শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর প্রথম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা পৌঁছেন। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা। ওই মুহূর্তেই কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মুহূর্তে পালটে যায় দৃশ্যপট। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ১৫ কর্মীর মধ্যে ১৪ জন ছিটকে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় ৫ জনের মরদেহ, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হন ৭ জন।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান জানান, এ স্টেশনে বর্তমানে জনবল নেই বললেই চলে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো রুটিন অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারের লড়াই
৪১ বছরে ১৭, এক মিনিটেই ৯ মৃত্যু
নিখোঁজ ৩ জন শনাক্ত হলে সীতাকুণ্ডে ট্র্যাজেডিতে মৃত কর্মীর সংখ্যা ১২ হবে
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে ৯ ফায়ার ফাইটারসহ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৪১ বছরে ২৬ ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮১ সালের পর থেকে ২ জুন পর্যন্ত ১৭ জন প্রাণ হারান। অথচ ৩ জুন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মাত্র একদিনেই, বলা ভালো মাত্র এক মিনিটেই প্রাণ হারালেন ৯ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন-ধারণা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন। লাশ শনাক্ত হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মানিকুজ্জামান মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সৃষ্টি হওয়ার পর একসঙ্গে এত ফাইটারের মৃত্যু বা দগ্ধ এর আগে কখনো হয়নি। ফাইটারদের যদি জানানো হতো-কনটেইনারের ভেতর রাসায়নিকদ্রব্য বা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে, তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বা উদ্ধার কৌশল ভিন্ন হতো। প্রাণহানিও হতো না।
সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বা মালিক পক্ষ থেকে ভেতরে কী আছে, কোন ধরনের দ্রব্য রয়েছে তা জানানো উচিত। কারণ পরিষ্কার ধারণা থাকলে আগুন নিয়ন্ত্রণসহ উদ্ধার প্রক্রিয়াটিও সহজ হয়। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টাসহ বিভিন্ন সময় বড় বড় দুর্ঘটনায় আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ফাইটাররা।
অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ২ জন ও চট্টগ্রামে ১৩ জন ফায়ার ফাইটার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের অনেকেই শঙ্কামুক্ত নন। ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমাদের ৯ সহকর্মীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অধিপ্তরের উপপরিচালক দুলাল মিয়া জানান, আমাদের ধর্মই হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো, সম্পদ বাঁচানো। আমরা বিশেষ পদ্ধতিতে অগ্নিনির্বাপণ করে থাকি। সীতাকুণ্ড ডিপোতেও ওই নীতির ব্যত্যয় ঘটেনি। আমাদের কর্মীরা ডিপোতে দুটি কনটেইনার ঘিরে অগ্নিনির্বাপণ করছিল। ওই সময় আমাদের সহকর্মীরা অনেককে জিজ্ঞেস করেছিল, কনটেইনারের ভেতর কী আছে? উত্তরে বলা হয়, গার্মেন্ট পণ্য। এমনটা জেনে আমাদের কর্মীরা কাছ থেকে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে। এরই মধ্যে ওই কনটেইনারসহ বহু কনটেইনার একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। আমাদের সহকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
সাবেক পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ জানান, সীতাকুণ্ডে আগুনের সংবাদ পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফাইটাররা। এরপর পৌঁছে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফাইটাররা। নিহত ৯ জনই এ দুই স্টেশনে কর্মরত ছিল। ওখানে যাওয়া ফাইটাররা প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ছিল। তাদের যদি প্রকৃত তথ্য দেওয়া হতো তাহলে এত প্রাণ ঝরত না। তিনি আরও বলেন, এমন মৃত্যু হত্যার শামিল। যারা বিষয়টি গোপন রেখেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে মাহবুবুর রহমান, ১৯৯১-এ মুসলিম উদ্দিন, ২০০১-এ জহিরুল হামিদ ও মাহাবুবুর হোসেন খান, ২০০৬-এ আক্তার হোসেন, ২০০৮-এ অমল চন্দ্র মণ্ডল, ফায়ার লিডার আব্দুর রশিদ ও ড্রাইভার আজিজ হাওলাদার নিহত হন। ২০০৯ সালে শেখ জালাল, ২০১৫-এ ফায়ারম্যান মো. শাহ আলম, ২০১৩-এ আবু সাইদ, ২০১৭-এ আব্দুল মতিন, ২০১৯-এ সোহেল রানা, ২০২১-এ ডুবুরি আব্দুল মতিন এবং ২০২১ সালে মো. মিলন মিয়া নিহত হন। এ ছাড়া ফায়ারম্যান নির্গেন্দু প্রসন্ন সিংহ ও আবুল কালাম আজাদও নিহত হন অগ্নিনির্বাপণ করতে গিয়ে। শনিবার মারা যান মো. রানা মিয়া, মনিরুজ্জামান, শাকিল তরফদার, মিঠু দেওয়ান, আলাউদ্দিন, রমজানুল ইসলাম, নিপণ চাকমা, সালাউদ্দিন কাদের ও ইমরান হোসেন মজুমদার।
ফাইটারশূন্য কুমিরা ফায়ার স্টেশন : সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগে আগুনের সবচেয়ে কাছে ছিলেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। এখনো মর্মান্তিক এই ট্র্যাজেডির নীরব সাক্ষী স্টেশনটি। অগ্নিকাণ্ডে স্টেশনের সব কর্মী হতাহত হন। এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে বিরল। জীবনবাজি রেখে সবার আগে ছুটে যাওয়া অগ্নিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রাণ গেছে ৫ জনের, বাকিরা দগ্ধ। এখনো নিখোঁজ দুজন।
শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর প্রথম সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা পৌঁছেন। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা। ওই মুহূর্তেই কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মুহূর্তে পালটে যায় দৃশ্যপট। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ১৫ কর্মীর মধ্যে ১৪ জন ছিটকে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় ৫ জনের মরদেহ, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হন ৭ জন।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান জানান, এ স্টেশনে বর্তমানে জনবল নেই বললেই চলে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো রুটিন অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন তিনি।