বগুড়ায় পুলিশ সোর্সসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
এসআই সাসপেন্ড
বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে মারধর, চুরি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ সোর্স ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তার ভাই জয় কুমার সিং শনিবার সদর থানায় এ মামলা করেন। তবে অজ্ঞাত কারণে এজাহারে চাঁদা দাবির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া সোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া ‘বেপরোয়া’ এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা ও অন্য কর্মকর্তারা বলেন, এসআই মাসুদ রানা ৭-৮ মাস আগে এ থানায় যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন। বিষয়টি প্রায় দুমাস আগে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীতে অবহিত করা হয়েছিল।
সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে নিয়ে শহরের নাটাইপাড়া নাপিতপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাড়িতে যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে তার (তরুণ) মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়েকজন মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলছিলেন। সোর্স বর্তমানে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারী আফসার আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির লোকজন চাঁদা দাবির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন। তখন এসআই মাসুদ রানা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেন। নারীদেরও মারধর করার অভিযোগ উঠে। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে জনগণ শান্ত হয়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, শনিবার থানায় সোর্স ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও চুরির মামলা করেন। তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশ সুপার অভিযুক্ত এসআই সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
বগুড়ায় পুলিশ সোর্সসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
এসআই সাসপেন্ড
বগুড়া ব্যুরো
০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বগুড়া শহরের নাটাইপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে মারধর, চুরি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশ সোর্স ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহকর্তার ভাই জয় কুমার সিং শনিবার সদর থানায় এ মামলা করেন। তবে অজ্ঞাত কারণে এজাহারে চাঁদা দাবির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া সোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া ‘বেপরোয়া’ এসআই মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা ও অন্য কর্মকর্তারা বলেন, এসআই মাসুদ রানা ৭-৮ মাস আগে এ থানায় যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করেন। বিষয়টি প্রায় দুমাস আগে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীতে অবহিত করা হয়েছিল।
সর্বশেষ শুক্রবার দুপুরে এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবাল হোসেনকে নিয়ে শহরের নাটাইপাড়া নাপিতপাড়ায় তরুণ কুমার শীলের বাড়িতে যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে তার (তরুণ) মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়েকজন মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া খেলছিলেন। সোর্স বর্তমানে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার ভাড়া বাড়িতে বসবাসকারী আফসার আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির লোকজন চাঁদা দাবির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন। তখন এসআই মাসুদ রানা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেন। নারীদেরও মারধর করার অভিযোগ উঠে। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে জনগণ শান্ত হয়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, শনিবার থানায় সোর্স ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও চুরির মামলা করেন। তাকে গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশ সুপার অভিযুক্ত এসআই সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023