মতিন হত্যা
সাঁথিয়ায় মামলার বাদীই এখন আসামি
পাবনার সাঁথিয়ায় মতিন হত্যা মামলার বাদী চাচাতো ভাই নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদই এখন আসামি। পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেছেন নিহতের বড় বোন বুলবুলি খাতুন। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে হারুন অর রশিদের ছোট ভাই মতিন হত্যা মামলার প্রধান ও প্রত্যক্ষ সাক্ষী জুয়েল হোসেনসহ ১০-১৫ অজ্ঞাতনামাকে। এ মামলার আসামি হারুন পলাতক এবং জুয়েল কারাগারে রয়েছেন।
ওই ইউনিয়নের পুঠিপাড়া গ্রামের মতিনকে (৫০) ৪ জুন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই জুয়েলও (৪০) আহত হন। ৫ জুন হারুন বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেন। পুলিশ ওই দিন দুপুরে হাফিজসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। ৩০ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান হাফিজ। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাফিজের কাছে হারুন পরাজিত হওয়ার পর থেকে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
অপর দিকে, হাফিজের স্ত্রী ৭ জুন সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলেনে প্রতিবাদ জানিয়ে মামলার নিরপেক্ষ তদন্তে সিআইডি ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মামলার রহস্য উদঘাটনে সন্দেহভাজন আসামি উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের মটকা গ্রামের বেলাল শেখ, ছেছানিয়া গ্রামের আনিসকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। বুলবুলি খাতুন বলেন, হারুন ও জুয়েল পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি চাইলেও হারুন আমাকে বাদী হতে না দিয়ে নিজেই হন। আমার ভাইয়ের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সুষ্ঠু বিচার চাই। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পায়েল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান মামলার মূল আসামি জুয়েলসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাঁথিয়ায় মামলার বাদীই এখন আসামি
মতিন হত্যা
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনার সাঁথিয়ায় মতিন হত্যা মামলার বাদী চাচাতো ভাই নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদই এখন আসামি। পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেছেন নিহতের বড় বোন বুলবুলি খাতুন। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে হারুন অর রশিদের ছোট ভাই মতিন হত্যা মামলার প্রধান ও প্রত্যক্ষ সাক্ষী জুয়েল হোসেনসহ ১০-১৫ অজ্ঞাতনামাকে। এ মামলার আসামি হারুন পলাতক এবং জুয়েল কারাগারে রয়েছেন।
ওই ইউনিয়নের পুঠিপাড়া গ্রামের মতিনকে (৫০) ৪ জুন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই জুয়েলও (৪০) আহত হন। ৫ জুন হারুন বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেন। পুলিশ ওই দিন দুপুরে হাফিজসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। ৩০ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান হাফিজ। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাফিজের কাছে হারুন পরাজিত হওয়ার পর থেকে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
অপর দিকে, হাফিজের স্ত্রী ৭ জুন সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলেনে প্রতিবাদ জানিয়ে মামলার নিরপেক্ষ তদন্তে সিআইডি ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মামলার রহস্য উদঘাটনে সন্দেহভাজন আসামি উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের মটকা গ্রামের বেলাল শেখ, ছেছানিয়া গ্রামের আনিসকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। বুলবুলি খাতুন বলেন, হারুন ও জুয়েল পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি চাইলেও হারুন আমাকে বাদী হতে না দিয়ে নিজেই হন। আমার ভাইয়ের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সুষ্ঠু বিচার চাই। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পায়েল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান মামলার মূল আসামি জুয়েলসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023