বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমস্যাবলী সমাধানে দু’দেশের গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারের ফলে এক্ষেত্রে বর্তমানে উভয় দেশের সাংবাদিকদের গুরুত্ব অপরিসীম। শনিবার বিকালে সিলেট প্রেস ক্লাবের আমীনূর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইন্দো-বাংলা মিডিয়া ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইন্দো-বাংলা জার্নালিস্টস ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল সিলেট প্রেস ক্লাব। এতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৬ জন ও ঢাকা থেকে ৮ জন বিশিষ্ট সাংবাদিক যোগ দেন।

ফোরামের সভাপতি ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক গীতার্থ পাঠকের সভাপতিত্বে ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনুর পরিচালনায় মিডিয়া ডায়লগে স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান কামাল। বক্তব্য দেন সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি আহমেদ নূর ও ইকরামুল কবির, ভারতের কেরালা থেকে আসা সাংবাদিক বশির মেডালা, উত্তর প্রদেশের শিব প্রকাশ গৌর, মণিপুরের আসেম বক্ত সিংহ, কে নওবা ও আসামের মমতা আসেম, সুনিতা দেবী। এছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা থেকে যাওয়া শাহনাজ পলি, এমএ হাদী, আতিক বাবু, সুরাইয়া মুন্নী, নাসরীন গীতি এবং সিলেট প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি এমএ হান্নান ও আব্দুল কাদের তাপাদার, সাবেক সহসভাপতি আ ফ ম সাঈদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কাউসার চৌধুরী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমদ, সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি সম্পাদক এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ইমজার সভাপতি মঈন উদ্দিন মনজু, ক্লাব সদস্য ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহসভাপতি দুলাল হোসেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সহায়তার কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সহজতর করা সময়ের দাবি। এ জন্য উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া উভয় দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সম্পর্ক জোরদারে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপরও জোর দেন বক্তারা।