মঞ্চে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ জোট শরিকরা
jugantor
মঞ্চে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ জোট শরিকরা
রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা

  রাজশাহী ব্যুরো  

৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় জোট শরিকদের আমন্ত্রণ জানায়নি আওয়ামী লীগ। এ কারণে জোট শরিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রোববার জনসভায় আনন্দ ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দলে দলে অংশ নিলেও জোট শরিক দলগুলোর অনেক নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ করে তারা ঘরে বসে সময় কাটিয়েছেন। অবশ্য শরিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দলীয় ব্যানার নিয়ে ময়দানের বিভিন্ন কোণে কর্মী-সমর্থকসহ দাঁড়িয়েছিলেন। মূল জনসভায় তারা প্রবেশ করতে পারেননি।

জোট শরিক দলের নেতারা জানান, জাতীয় বিভিন্ন ইস্যু ও সংকটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের জোট হলেও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তারা ডাক পাননি। আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন আচরণে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অন্যতম জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ (মহানগর) আসনের সংসদ-সদস্য। রাজশাহী মহানগর ১৪ দলের অন্যতম প্রধান নেতা তিনি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পর পর তিনবার রাজশাহী মহানগর আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিনিও আমন্ত্রণ পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। তবে ফজলে হোসেন বাদশা জনসভাস্থলে যান। মঞ্চে এক মিনিটের মতো সময়ে তিনি কয়েকটি কথা বলেন। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চের নিচে অন্য সংসদ-সদস্যদের সঙ্গে তিনি বসেছিলেন।

জানা গেছে, জনসভায় অংশ নিতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জোট শরিক দলের নেতারা যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত তারা সাড়া পাননি। আওয়ামী লীগের জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), ন্যাপ, সাম্যবাদী দল প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন উপলক্ষ্যে নগরজুড়ে প্রচার, মিছিল ও প্রস্তুতি সভা করেছে। শনিবার বিকালে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে প্রস্তুতি সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, রাজশাহীর বিশাল উন্নয়নযজ্ঞে তারাও সমান অংশীদার। নগরীজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের রূপকার ফজলে হোসেন বাদশা। কিন্তু উন্নয়ন কৃতিত্ব তাকে দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু বলেন, জোট একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আমরা জাতীয় বিভিন্ন সংকটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে মাঠে থেকেছি। সংসদেও আমরা জোটের শরিক হিসাবে আছি। মাদ্রাসা ময়দান রাজশাহী-২ আসনের অধীন। এ আসনের সংসদ-সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের দিকে তাকিয়ে তিনি (বাদশা) নিজেই গেছেন।

এদিকে, বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন মহানগর জাসদের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী। শিবলী বলেন, জোটের অন্যতম অংশীদার হিসাবে মঞ্চে তারা আসন পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিজে থেকেই তিনি নেতাকর্মী নিয়ে জনসভায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জোট শরিকদের না ডাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচি। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরিকদের মঞ্চে ডাকা হয়নি। তবে শরিকদের অনেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে রাজশাহীতে প্রচার ও প্রস্তুতি সভা করেছেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিয়েছেন।

মঞ্চে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ জোট শরিকরা

রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা
 রাজশাহী ব্যুরো 
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় জোট শরিকদের আমন্ত্রণ জানায়নি আওয়ামী লীগ। এ কারণে জোট শরিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রোববার জনসভায় আনন্দ ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দলে দলে অংশ নিলেও জোট শরিক দলগুলোর অনেক নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ করে তারা ঘরে বসে সময় কাটিয়েছেন। অবশ্য শরিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দলীয় ব্যানার নিয়ে ময়দানের বিভিন্ন কোণে কর্মী-সমর্থকসহ দাঁড়িয়েছিলেন। মূল জনসভায় তারা প্রবেশ করতে পারেননি।

জোট শরিক দলের নেতারা জানান, জাতীয় বিভিন্ন ইস্যু ও সংকটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের জোট হলেও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তারা ডাক পাননি। আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন আচরণে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অন্যতম জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ (মহানগর) আসনের সংসদ-সদস্য। রাজশাহী মহানগর ১৪ দলের অন্যতম প্রধান নেতা তিনি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পর পর তিনবার রাজশাহী মহানগর আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিনিও আমন্ত্রণ পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। তবে ফজলে হোসেন বাদশা জনসভাস্থলে যান। মঞ্চে এক মিনিটের মতো সময়ে তিনি কয়েকটি কথা বলেন। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চের নিচে অন্য সংসদ-সদস্যদের সঙ্গে তিনি বসেছিলেন।

জানা গেছে, জনসভায় অংশ নিতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জোট শরিক দলের নেতারা যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত তারা সাড়া পাননি। আওয়ামী লীগের জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), ন্যাপ, সাম্যবাদী দল প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন উপলক্ষ্যে নগরজুড়ে প্রচার, মিছিল ও প্রস্তুতি সভা করেছে। শনিবার বিকালে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে প্রস্তুতি সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, রাজশাহীর বিশাল উন্নয়নযজ্ঞে তারাও সমান অংশীদার। নগরীজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের রূপকার ফজলে হোসেন বাদশা। কিন্তু উন্নয়ন কৃতিত্ব তাকে দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু বলেন, জোট একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আমরা জাতীয় বিভিন্ন সংকটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে মাঠে থেকেছি। সংসদেও আমরা জোটের শরিক হিসাবে আছি। মাদ্রাসা ময়দান রাজশাহী-২ আসনের অধীন। এ আসনের সংসদ-সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের দিকে তাকিয়ে তিনি (বাদশা) নিজেই গেছেন।

এদিকে, বিশাল মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন মহানগর জাসদের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী। শিবলী বলেন, জোটের অন্যতম অংশীদার হিসাবে মঞ্চে তারা আসন পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিজে থেকেই তিনি নেতাকর্মী নিয়ে জনসভায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জোট শরিকদের না ডাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচি। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরিকদের মঞ্চে ডাকা হয়নি। তবে শরিকদের অনেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে রাজশাহীতে প্রচার ও প্রস্তুতি সভা করেছেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিয়েছেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন