অ্যাম্বুলেন্সে করে মদ আনতে গিয়ে জাবি শিক্ষার্থী আটক
জাবি প্রতিনিধি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রোগী পরিবহণের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ নিয়ে ৪৩ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র্যাগ উৎসব) মদ কিনতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীসহ মোট চারজন আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। মদসহ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজধানীর বংশাল থানা পুলিশ। শনিবার বিকালে বংশাল থানার ঢাকা ব্যাংকের সামনে থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে মদ কেনাকাটার সময় একজন সহযোগীসহ অ্যাম্বুুলেন্স চালককে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিপন সাহা, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল আহমেদ, কেনাকাটায় সহযোগী জীবন ও চালক আসাদুল্লাহ দুলাল। পুলিশ জানায়, জুয়েল আহমেদ প্রথমে জাবির ৪৪ ব্যাচ পরিচয় দিলেও পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি ৪৪ ব্যাচে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি জুয়েল জাবির নাটকসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জড়িত এবং তিনি আবাসিক হলে থাকেন। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান, মা সাজেদা বেগম। জীবনের বাড়ি সাভার এলাকায়।
জাবি মেডিকেলের চিকিৎসক নিং তম সিং বলেন, ৪৩ ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের অনিক নামে এক শিক্ষার্থী অ্যাম্বুুলেন্স বরাদ্দ নিয়েছে। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কাকরাইল শাখা থেকে রোগী পরিবহণের কথা বলে।
অ্যাম্বুুলেন্স বরাদ্দ তালিকায় থাকা নম্বরে কল দিলে অনিক বলেন, আমি অ্যাম্বুলেন্সে আছি। ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছি। চালকের ফোন বন্ধ কেন? জিজ্ঞেস করতে তিনি জানান, চালক গাড়ি চালাচ্ছেন তাই ফোন বন্ধ-এই বলে অনিক ফোন কেটে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামসুর রহমান বলেন, মদসহ দুই শিক্ষার্থী ও চালক আটকের বিষয়টি জেনেছি।
বংশাল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, জাবির অ্যাম্বুলেন্সে মদ পরিবহণকালে দুই শিক্ষার্থী, তাদের একজন সহযোগী ও চালককে আটক করে থানায় সপোর্দ করা হয়েছে। তারা র্যাগ অনুষ্ঠানের মদ কিনতে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স যেহেতু চিকিৎসা কেন্দ্রের অধীনে, তারা এ বিষয়টি দেখবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অ্যাম্বুলেন্সে করে মদ আনতে গিয়ে জাবি শিক্ষার্থী আটক
রোগী পরিবহণের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ নিয়ে ৪৩ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র্যাগ উৎসব) মদ কিনতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীসহ মোট চারজন আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। মদসহ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজধানীর বংশাল থানা পুলিশ। শনিবার বিকালে বংশাল থানার ঢাকা ব্যাংকের সামনে থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে মদ কেনাকাটার সময় একজন সহযোগীসহ অ্যাম্বুুলেন্স চালককে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিপন সাহা, সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল আহমেদ, কেনাকাটায় সহযোগী জীবন ও চালক আসাদুল্লাহ দুলাল। পুলিশ জানায়, জুয়েল আহমেদ প্রথমে জাবির ৪৪ ব্যাচ পরিচয় দিলেও পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি ৪৪ ব্যাচে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি জুয়েল জাবির নাটকসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জড়িত এবং তিনি আবাসিক হলে থাকেন। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান, মা সাজেদা বেগম। জীবনের বাড়ি সাভার এলাকায়।
জাবি মেডিকেলের চিকিৎসক নিং তম সিং বলেন, ৪৩ ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের অনিক নামে এক শিক্ষার্থী অ্যাম্বুুলেন্স বরাদ্দ নিয়েছে। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কাকরাইল শাখা থেকে রোগী পরিবহণের কথা বলে।
অ্যাম্বুুলেন্স বরাদ্দ তালিকায় থাকা নম্বরে কল দিলে অনিক বলেন, আমি অ্যাম্বুলেন্সে আছি। ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছি। চালকের ফোন বন্ধ কেন? জিজ্ঞেস করতে তিনি জানান, চালক গাড়ি চালাচ্ছেন তাই ফোন বন্ধ-এই বলে অনিক ফোন কেটে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামসুর রহমান বলেন, মদসহ দুই শিক্ষার্থী ও চালক আটকের বিষয়টি জেনেছি।
বংশাল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, জাবির অ্যাম্বুলেন্সে মদ পরিবহণকালে দুই শিক্ষার্থী, তাদের একজন সহযোগী ও চালককে আটক করে থানায় সপোর্দ করা হয়েছে। তারা র্যাগ অনুষ্ঠানের মদ কিনতে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স যেহেতু চিকিৎসা কেন্দ্রের অধীনে, তারা এ বিষয়টি দেখবে।