দুদকের সেই শরীফ কোথায়, দোকানে নেই
jugantor
দুদকের সেই শরীফ কোথায়, দোকানে নেই
‘সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টাও ব্যর্থ’

  এম এ কাউসার, চট্টগ্রাম  

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সেই দোকানে নেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বরখাস্ত হওয়া আলোচিত-সমালোচিত সেই শরীফ উদ্দিন। দুদক থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ভাইয়ের দোকানে চাকরি নিয়ে ‘জীবিকা নির্বাহ’ করছেন এমনটাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ‘দুদকের সেই কর্মকর্তা শরীফ এখন দোকানদার’ কিংবা ‘দোকানে নয়; শরীফকে দুদকে প্রয়োজন’, এমন শিরোনামে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। কিন্তু ওই দোকানে তিনি এক মাসের মধ্যে ১৫ দিন যাওয়া-আসা করেছেন। পরে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার পাওয়ার কথাও জানান। সর্বশেষ ৮০ হাজার টাকা বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে (ভেটেরিনারি ফার্মে) চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন এমন খবরও বের হয় তার উদ্ধৃতি দিয়ে।

তিনি আদৌ কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন কিনা সে বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরাও কিছু জানাতে পারেননি। বরং যে ভাইয়ের দোকানে ‘চাকরি’ করার কথা বলেছেন সেই ভাইয়ের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন মূলত, সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ, দুদককে প্রশ্নবিদ্ধ করা, সরকারের সহানুভূতি আদায় করে দুদকে চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্যই তিনি এমন নাটকীয়তার আশ্রয় নেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ভুক্তভোগী তিন ব্যবসায়ীও সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হন শরীফ। দুদক থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর নিজেকে ‘অসহায়’ সাজিয়ে দোকানে চাকরি নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার মিথ্যা গল্প ফাঁদেন। জানা গেছে, শরীফ চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত তার বড় ভাইয়ের কনফেকশনারি ও কফি শপে কয়েক দিন বসেন। কূটকৌশলের মাধ্যমে ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ঠিকই হয়েছিলেন খবরের শিরোনাম। কিন্তু সেই দোকানে তিনি এখন আর বসেন না।

সোমবার নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের সেই ‘ওমর কফি শপ’-এ গিয়ে দেখা যায়, দোকানের ক্যাশিয়ারের চেয়ারে নেই শরীফ। সাফিন আহমেদ জিহাদ নামে শরীফের বড় ভাইয়ের ছেলে পরিচালনা করছে দোকানটি। এ সময় তার চাচা শরীফ উদ্দিন কোথায় জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে জিহাদ বলেন, দোকানটি বরাবরই তিনি ও তার বাবা ওমর ফারুক পরিচালনা করেন। কিছু দিন তার চাচা দোকানে বসেছিলেন। তবে এক মাস ধরে চাচার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই। আশপাশের বেশ কয়েকজন দোকানদার বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে শরীফ উদ্দিনকে দোকানে বসতে দেখা গেছে। কিন্তু যখনই তিনি দোকানে বসতেন এরপরই বিভিন্ন মিডিয়া কর্মী হাজির হতেন। মিডিয়া কর্মী চলে যাওয়ার পর দোকান থেকে শরীফ সাহেবও চলে যেতেন।

শরীফের বড় ভাই ও ওমর কপি শপের মালিক মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক মাস ধরে শরীফের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। চাকরি চলে যাওয়ার পর মাঝে মধ্যে আমার দোকানে বসত। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর চাকরি হয়েছিল শুনেছিলাম। বর্তমানে চাকরি করছে কিনা কিংবা কোথায় আছে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানার জন্য সোমবার একাধিকবার শরীফের মোবাইলে (নম্বর : ০১৮১৯xx৮৮২) ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তার জবাবও দেননি। তবে গত ২৯ ডিসেম্বর সপরিবারে তিনি সৌদি আরব যান ও ১৪ জানুয়ারি ফিরে আসেন।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে হয়রানি, নির্যাতন, গ্রেফতার ও ঘুস দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিন ভুক্তভোগী। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের দুই কর্মকর্তা ও প্রবাস ফেরত এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলনে শরীফের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা দুর্নীতি অনিয়ম অত্যাচারের অভিযোগ করেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছেন কর্ণফুলী গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সারওয়ার হোসেন, আরেকজন কোম্পানিতে সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া দিদারুল ইসলাম। এই দু’জনকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ। এ ছাড়া আবাসন প্রতিষ্ঠান আরএফ প্রপার্টিজের মালিক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি প্রজেক্ট থেকে বিনামূল্যে দুটি দোকান দাবি করেন শরীফ। দোকান না দেওয়ায় দেলোয়ার, তার অবিবাহিত কন্যা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা করেন শরীফ।

অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা যারা পেয়েছেন তাদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চোখ পড়ে শরীফের। নানা অজুহাতে তাদের নোটিশ ছাড়াই অফিসে কিংবা রেস্ট হাউজে ডেকে পাঠাতেন। যাদের সঙ্গে বনিবনা হতো না বা লেনদেনে সমস্যা হতো তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মৌখিকভাবে ফ্রিজ করতেন শরীফ। পরে বনিবনা হলে আবার অ্যাকাউন্ট চালু করার ব্যবস্থা করে দিতেন। আরিফ, মঞ্জুসহ একাধিক ব্যক্তিকে শরীফ সোর্স হিসাবে ব্যবহার করে এভাবে দিনের পর দিন হয়রানি করেছেন। লাখ লাখ টাকা ঘুস আদায়ের বেশ কিছু অডিও রেকর্ডও পাওয়া গেছে। আকারে-ইঙ্গিতে শরীফের ঘুস দাবির একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। শরীফের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে তার আয়ের উৎস কী, কোথায় কী সম্পদ আছে তা বের করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক।

দুদকের সেই শরীফ কোথায়, দোকানে নেই

‘সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টাও ব্যর্থ’
 এম এ কাউসার, চট্টগ্রাম 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সেই দোকানে নেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বরখাস্ত হওয়া আলোচিত-সমালোচিত সেই শরীফ উদ্দিন। দুদক থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ভাইয়ের দোকানে চাকরি নিয়ে ‘জীবিকা নির্বাহ’ করছেন এমনটাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ‘দুদকের সেই কর্মকর্তা শরীফ এখন দোকানদার’ কিংবা ‘দোকানে নয়; শরীফকে দুদকে প্রয়োজন’, এমন শিরোনামে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। কিন্তু ওই দোকানে তিনি এক মাসের মধ্যে ১৫ দিন যাওয়া-আসা করেছেন। পরে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার পাওয়ার কথাও জানান। সর্বশেষ ৮০ হাজার টাকা বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে (ভেটেরিনারি ফার্মে) চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন এমন খবরও বের হয় তার উদ্ধৃতি দিয়ে।

তিনি আদৌ কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন কিনা সে বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরাও কিছু জানাতে পারেননি। বরং যে ভাইয়ের দোকানে ‘চাকরি’ করার কথা বলেছেন সেই ভাইয়ের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন মূলত, সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ, দুদককে প্রশ্নবিদ্ধ করা, সরকারের সহানুভূতি আদায় করে দুদকে চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্যই তিনি এমন নাটকীয়তার আশ্রয় নেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ভুক্তভোগী তিন ব্যবসায়ীও সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হন শরীফ। দুদক থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর নিজেকে ‘অসহায়’ সাজিয়ে দোকানে চাকরি নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করার মিথ্যা গল্প ফাঁদেন। জানা গেছে, শরীফ চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত তার বড় ভাইয়ের কনফেকশনারি ও কফি শপে কয়েক দিন বসেন। কূটকৌশলের মাধ্যমে ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ঠিকই হয়েছিলেন খবরের শিরোনাম। কিন্তু সেই দোকানে তিনি এখন আর বসেন না।

সোমবার নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের সেই ‘ওমর কফি শপ’-এ গিয়ে দেখা যায়, দোকানের ক্যাশিয়ারের চেয়ারে নেই শরীফ। সাফিন আহমেদ জিহাদ নামে শরীফের বড় ভাইয়ের ছেলে পরিচালনা করছে দোকানটি। এ সময় তার চাচা শরীফ উদ্দিন কোথায় জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে জিহাদ বলেন, দোকানটি বরাবরই তিনি ও তার বাবা ওমর ফারুক পরিচালনা করেন। কিছু দিন তার চাচা দোকানে বসেছিলেন। তবে এক মাস ধরে চাচার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই। আশপাশের বেশ কয়েকজন দোকানদার বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে শরীফ উদ্দিনকে দোকানে বসতে দেখা গেছে। কিন্তু যখনই তিনি দোকানে বসতেন এরপরই বিভিন্ন মিডিয়া কর্মী হাজির হতেন। মিডিয়া কর্মী চলে যাওয়ার পর দোকান থেকে শরীফ সাহেবও চলে যেতেন।

শরীফের বড় ভাই ও ওমর কপি শপের মালিক মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক মাস ধরে শরীফের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। চাকরি চলে যাওয়ার পর মাঝে মধ্যে আমার দোকানে বসত। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর চাকরি হয়েছিল শুনেছিলাম। বর্তমানে চাকরি করছে কিনা কিংবা কোথায় আছে বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানার জন্য সোমবার একাধিকবার শরীফের মোবাইলে (নম্বর : ০১৮১৯xx৮৮২) ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তার জবাবও দেননি। তবে গত ২৯ ডিসেম্বর সপরিবারে তিনি সৌদি আরব যান ও ১৪ জানুয়ারি ফিরে আসেন।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে হয়রানি, নির্যাতন, গ্রেফতার ও ঘুস দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিন ভুক্তভোগী। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের দুই কর্মকর্তা ও প্রবাস ফেরত এক ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলনে শরীফের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা দুর্নীতি অনিয়ম অত্যাচারের অভিযোগ করেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছেন কর্ণফুলী গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সারওয়ার হোসেন, আরেকজন কোম্পানিতে সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া দিদারুল ইসলাম। এই দু’জনকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ। এ ছাড়া আবাসন প্রতিষ্ঠান আরএফ প্রপার্টিজের মালিক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি প্রজেক্ট থেকে বিনামূল্যে দুটি দোকান দাবি করেন শরীফ। দোকান না দেওয়ায় দেলোয়ার, তার অবিবাহিত কন্যা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা করেন শরীফ।

অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা যারা পেয়েছেন তাদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চোখ পড়ে শরীফের। নানা অজুহাতে তাদের নোটিশ ছাড়াই অফিসে কিংবা রেস্ট হাউজে ডেকে পাঠাতেন। যাদের সঙ্গে বনিবনা হতো না বা লেনদেনে সমস্যা হতো তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মৌখিকভাবে ফ্রিজ করতেন শরীফ। পরে বনিবনা হলে আবার অ্যাকাউন্ট চালু করার ব্যবস্থা করে দিতেন। আরিফ, মঞ্জুসহ একাধিক ব্যক্তিকে শরীফ সোর্স হিসাবে ব্যবহার করে এভাবে দিনের পর দিন হয়রানি করেছেন। লাখ লাখ টাকা ঘুস আদায়ের বেশ কিছু অডিও রেকর্ডও পাওয়া গেছে। আকারে-ইঙ্গিতে শরীফের ঘুস দাবির একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। শরীফের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে তার আয়ের উৎস কী, কোথায় কী সম্পদ আছে তা বের করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন