আনুগত্যের দৃষ্টান্ত নেতৃত্বে অবিচল মোসলেম উদ্দিন: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর যে প্রান্তিক নেতারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ-সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদকে কর্মী থেকে নেতা হওয়া এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন ড. হাছান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্য প্রয়াত
সংসদ-সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। প্রয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রামের সামশুল হক চৌধুরী এমপি, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এমন একজন নেতা হারিয়েছি, যার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। তার জীবন থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে। কীভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে সার্বক্ষণিক থাকা যায় এবং নেত্রী ও নেতৃত্বের প্রতি কীভাবে অবিচল থাকা যায়, সেটি তার কাছ থেকে শেখার আছে। ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ আমাদের দলের একজন পোড়খাওয়া কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি এবং এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। সেখানে পাগলের অভিনয় করে বেরিয়ে আসেন। ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আনুগত্যের দৃষ্টান্ত নেতৃত্বে অবিচল মোসলেম উদ্দিন: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর যে প্রান্তিক নেতারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ-সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদকে কর্মী থেকে নেতা হওয়া এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন ড. হাছান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্য প্রয়াত
সংসদ-সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। প্রয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রামের সামশুল হক চৌধুরী এমপি, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এমন একজন নেতা হারিয়েছি, যার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। তার জীবন থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে। কীভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে সার্বক্ষণিক থাকা যায় এবং নেত্রী ও নেতৃত্বের প্রতি কীভাবে অবিচল থাকা যায়, সেটি তার কাছ থেকে শেখার আছে। ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ আমাদের দলের একজন পোড়খাওয়া কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি এবং এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। সেখানে পাগলের অভিনয় করে বেরিয়ে আসেন। ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।