অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
নীলফামারী প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। তারই খেসারত হিসাবে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সৈয়দপুর জেলা (সাংগঠনিক) বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, আগামীতেও হবে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আবারও সেই একই রকম ষড়যন্ত্র করছে। জাতির কাঁধে চেপে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশ রক্ষায় দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মসনদ তছনছ করে স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে হবে। এ জন্য ’৭১ ও ’৯১-এর মতো সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে জনগণ। মানুষ আজ প্রতিবাদের ভাষা ভুলে গেছে। কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ এ সরকার গণমাধ্যমসহ মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। তাই তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, ইসি পরিবর্তনসহ ১০ ও ২৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে কেবল বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে তামাশার নির্বাচন করে আর ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারো স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এতে জাতি ভোট, ভাত ও কথার অধিকার ফিরে পাবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
দীর্ঘ নয় বছর পর বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার এ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাকশালী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশ ও জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। না হলে জাতিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হুমকির মুখে পড়বে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। আর এ কারণেই দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। অনেক রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্দোলনে নেমেছে। সবার চেষ্টায় ইনশাআল্লাহ এ দেশের মানুষ এই জালিম সরকার থেকে মুক্তি পাবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনিস আনসারী, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ আলহাজ শওকত চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কার্জন, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। তারই খেসারত হিসাবে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সৈয়দপুর জেলা (সাংগঠনিক) বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, আগামীতেও হবে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আবারও সেই একই রকম ষড়যন্ত্র করছে। জাতির কাঁধে চেপে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশ রক্ষায় দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মসনদ তছনছ করে স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় ঘটাতে হবে। এ জন্য ’৭১ ও ’৯১-এর মতো সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে জনগণ। মানুষ আজ প্রতিবাদের ভাষা ভুলে গেছে। কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ এ সরকার গণমাধ্যমসহ মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। তাই তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, ইসি পরিবর্তনসহ ১০ ও ২৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে কেবল বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে তামাশার নির্বাচন করে আর ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারো স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এতে জাতি ভোট, ভাত ও কথার অধিকার ফিরে পাবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
দীর্ঘ নয় বছর পর বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার এ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাকশালী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশ ও জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। না হলে জাতিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হুমকির মুখে পড়বে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। আর এ কারণেই দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। অনেক রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্দোলনে নেমেছে। সবার চেষ্টায় ইনশাআল্লাহ এ দেশের মানুষ এই জালিম সরকার থেকে মুক্তি পাবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনিস আনসারী, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ আলহাজ শওকত চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কার্জন, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।