দেশ ও জাতির জন্য ভূমিকা রাখবে এমন প্রজন্ম তৈরি করতে হবে: সাইফুল আলম
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেছেন, দেশে অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত এবং চাহিদানুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এমন শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি করতে হবে যারা দেশ ও জাতির জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।
সোমবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুখপত্র সমাজ ও প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা ‘কারিগর’-এর ৫০ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত লেখক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কারিগর সম্পাদক ও আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কারিগরের নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদরীস আলী। সূচনা বক্তব্য দেন পত্রিকাটির সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন লেখক অংশ নেন।
সাইফুল আলম আরও বলেন, দেশে এখন ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্পন্ন? কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত শিক্ষক আছে? ইংরেজি ও অঙ্কের শিক্ষক নেই ৮০ শতাংশ স্কুলে। অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা ইংরেজি পড়াচ্ছেন, অঙ্ক পড়াচ্ছেন। অনেক মেডিকেল কলেজে শিক্ষক নেই। এরকম একটি হযবরল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। শিক্ষা আমাদের অধিকার, এদিক থেকে হয়তো বিষয়টি ঠিক আছে। কিন্তু এই শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দেশের নাগরিকদের চিন্তাচেতনা ও কাজে স্মার্ট হতে হবে। একটি দেশ ও জাতি শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের চিন্তাভাবনা ও দিকদর্শন গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পাঠাভ্যাস ও সাহিত্যচর্চা সহায়ক হতে পারে। বিষয়টি অনুধাবনে নিয়ে আমাদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমনস্ক পাঠক ও লেখক সৃষ্টির আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক মো. ইদরীস আলী বলেন, ‘আমরা অনেক পত্রিকার অকাল মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু আইডিইবি’র মুখপাত্র সমাজ ও প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা কারিগর ৫০ বছর ধরে তার পথচলা অব্যাবহত রেখেছে। তবে আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক যে পরিমাণ লেখা পাওয়া যেত, এখন সে পরিমাণ লেখা পাচ্ছি না।
সম্পাদনা পরিষদের সদস্য শামসুর রহমান বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও এ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আমাদের পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
সভাপতির বক্তব্যে একেএমএ হামিদ বলেন, করিগর পত্রিকা প্রকাশের মূল লক্ষ্য বিজ্ঞানমুখী লেখক ও পাঠক তৈরি করা। এসব লেখার মাধ্যমে অভিভাবকদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বেশি বেশি জানাতে হবে। কারণ উন্নত দেশের কাতারে দেশকে নিয়ে যেতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির বিকল্প নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দেশ ও জাতির জন্য ভূমিকা রাখবে এমন প্রজন্ম তৈরি করতে হবে: সাইফুল আলম
যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম বলেছেন, দেশে অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত এবং চাহিদানুযায়ী দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এমন শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি করতে হবে যারা দেশ ও জাতির জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।
সোমবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) মুখপত্র সমাজ ও প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা ‘কারিগর’-এর ৫০ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত লেখক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কারিগর সম্পাদক ও আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কারিগরের নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদরীস আলী। সূচনা বক্তব্য দেন পত্রিকাটির সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫০ জন লেখক অংশ নেন।
সাইফুল আলম আরও বলেন, দেশে এখন ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্পন্ন? কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত শিক্ষক আছে? ইংরেজি ও অঙ্কের শিক্ষক নেই ৮০ শতাংশ স্কুলে। অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা ইংরেজি পড়াচ্ছেন, অঙ্ক পড়াচ্ছেন। অনেক মেডিকেল কলেজে শিক্ষক নেই। এরকম একটি হযবরল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। শিক্ষা আমাদের অধিকার, এদিক থেকে হয়তো বিষয়টি ঠিক আছে। কিন্তু এই শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দেশের নাগরিকদের চিন্তাচেতনা ও কাজে স্মার্ট হতে হবে। একটি দেশ ও জাতি শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের চিন্তাভাবনা ও দিকদর্শন গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে পাঠাভ্যাস ও সাহিত্যচর্চা সহায়ক হতে পারে। বিষয়টি অনুধাবনে নিয়ে আমাদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমনস্ক পাঠক ও লেখক সৃষ্টির আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক মো. ইদরীস আলী বলেন, ‘আমরা অনেক পত্রিকার অকাল মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু আইডিইবি’র মুখপাত্র সমাজ ও প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকা কারিগর ৫০ বছর ধরে তার পথচলা অব্যাবহত রেখেছে। তবে আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক যে পরিমাণ লেখা পাওয়া যেত, এখন সে পরিমাণ লেখা পাচ্ছি না।
সম্পাদনা পরিষদের সদস্য শামসুর রহমান বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও এ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আমাদের পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
সভাপতির বক্তব্যে একেএমএ হামিদ বলেন, করিগর পত্রিকা প্রকাশের মূল লক্ষ্য বিজ্ঞানমুখী লেখক ও পাঠক তৈরি করা। এসব লেখার মাধ্যমে অভিভাবকদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বেশি বেশি জানাতে হবে। কারণ উন্নত দেশের কাতারে দেশকে নিয়ে যেতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির বিকল্প নেই।