অনশন, সভাপতির কক্ষে তালা বিভাগ বন্ধ ঘোষণা
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
রাবি প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পরীক্ষা শেষ হওয়ার দীর্ঘ পাঁচ মাস পরেও ফলাফল না পাওয়ায় সভাপতির কক্ষে ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে ৬ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের সভাপতির কক্ষসহ সেমিনার কক্ষে ও তিনটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিভাগের সামনের বারান্দায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অনশনে বসেছেন। বিভাগের অফিস কক্ষের দরজায় কাগজে লিখে দিয়েছেন ‘অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।’ এছাড়া তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘আমরণ অনশন চলবে ততক্ষণ, রেজাল্ট পাব না যতক্ষণ’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখার পাশাপাশি প্ল্যাকার্ডে এবং দরজায় লাগানো কাগজে তাদের দাবিও উল্লেখ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ছয় মাসের সেমিস্টার তিন মাসে শেষ করা, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে যেকোনো মূল্যে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ঈদুল ফিতরের আগে শেষ করা, যে সময় (২০২৪) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা সে সময়েই শেষ করা, নোটিশের নামে ভাঁওতাবাজি বন্ধ করা, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১ মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ এবং বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ও অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে পরীক্ষা, ক্লাস টেস্ট ও বিভাগীয় কার্যক্রমে যে বিভ্রাট তৈরি হয় এবং সব শিক্ষার্থীর ভোগান্তি হয়, তা নিরসন করা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভাগের শিক্ষকরা বারবার আশ্বাস দিয়েও ফলাফল দেননি। ফলে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। বিভাগের ফারজানা রীতি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ২০২৩ সালের শেষের দিকে অনার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো প্রথম বর্ষেই আছি। প্রথম বর্ষের ফলাফল না দেওয়ার কারণে আমরা দ্বিতীয় বর্ষে উঠতে পারছি না। আমরা ফেব্রুয়ারি থেকে শুনে আসছি আমাদের ফলাফল দিবে, তারপর আবার পরীক্ষা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। এমনকি ৬ মার্চ পরীক্ষার তারিখও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে পরীক্ষা হয়নি। এখন পর্যন্ত রেজাল্ট না দেওয়ার কারণে আমরা সবদিক থেকেই পিছিয়ে আছি। আমরা সেশন জটের সমস্যা সমাধানের জন্য এখানে বসেছি। আর সমাধান না হলে আমরা আমরণ অনশন করতে থাকব।
বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমাদের বিভাগে ছয়জন শিক্ষক। এর মাঝে দুজন দেশের বাইরে রয়েছেন। চারজন শিক্ষক নিয়ে বর্তমানে বিভাগটি চলছে। তাই আমাদের দ্রুত ক্লাস পরীক্ষা নিতে ও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়েও বলেছি। ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তারপরই তাদের ফর্ম পূরণের তারিখ জানানো হবে। আমি শিক্ষর্থীদের সব দাবিই মেনে নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
অনশন, সভাপতির কক্ষে তালা বিভাগ বন্ধ ঘোষণা
পরীক্ষা শেষ হওয়ার দীর্ঘ পাঁচ মাস পরেও ফলাফল না পাওয়ায় সভাপতির কক্ষে ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে ৬ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের সভাপতির কক্ষসহ সেমিনার কক্ষে ও তিনটি শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিভাগের সামনের বারান্দায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অনশনে বসেছেন। বিভাগের অফিস কক্ষের দরজায় কাগজে লিখে দিয়েছেন ‘অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।’ এছাড়া তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘আমরণ অনশন চলবে ততক্ষণ, রেজাল্ট পাব না যতক্ষণ’সহ বিভিন্ন স্লোগান লিখার পাশাপাশি প্ল্যাকার্ডে এবং দরজায় লাগানো কাগজে তাদের দাবিও উল্লেখ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ছয় মাসের সেমিস্টার তিন মাসে শেষ করা, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে যেকোনো মূল্যে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ঈদুল ফিতরের আগে শেষ করা, যে সময় (২০২৪) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা সে সময়েই শেষ করা, নোটিশের নামে ভাঁওতাবাজি বন্ধ করা, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১ মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ এবং বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ও অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে পরীক্ষা, ক্লাস টেস্ট ও বিভাগীয় কার্যক্রমে যে বিভ্রাট তৈরি হয় এবং সব শিক্ষার্থীর ভোগান্তি হয়, তা নিরসন করা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভাগের শিক্ষকরা বারবার আশ্বাস দিয়েও ফলাফল দেননি। ফলে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। বিভাগের ফারজানা রীতি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ২০২৩ সালের শেষের দিকে অনার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো প্রথম বর্ষেই আছি। প্রথম বর্ষের ফলাফল না দেওয়ার কারণে আমরা দ্বিতীয় বর্ষে উঠতে পারছি না। আমরা ফেব্রুয়ারি থেকে শুনে আসছি আমাদের ফলাফল দিবে, তারপর আবার পরীক্ষা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। এমনকি ৬ মার্চ পরীক্ষার তারিখও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে পরীক্ষা হয়নি। এখন পর্যন্ত রেজাল্ট না দেওয়ার কারণে আমরা সবদিক থেকেই পিছিয়ে আছি। আমরা সেশন জটের সমস্যা সমাধানের জন্য এখানে বসেছি। আর সমাধান না হলে আমরা আমরণ অনশন করতে থাকব।
বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমাদের বিভাগে ছয়জন শিক্ষক। এর মাঝে দুজন দেশের বাইরে রয়েছেন। চারজন শিক্ষক নিয়ে বর্তমানে বিভাগটি চলছে। তাই আমাদের দ্রুত ক্লাস পরীক্ষা নিতে ও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়েও বলেছি। ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তারপরই তাদের ফর্ম পূরণের তারিখ জানানো হবে। আমি শিক্ষর্থীদের সব দাবিই মেনে নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে।