লামায় মা ও শিশুকে বেধড়ক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
স্বর্ণ চুরির অভিযোগ
বান্দরবান প্রতিনিধি
২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জেলার লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে এক শিশু ও তার অসহায় মাকে বেধড়ক মারধর করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি চেয়ারম্যানের বাড়িতেই থাকত। মা-বাবার অভিযোগ, দুবছর ধরে ছেলেটিকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করান চেয়ারম্যান। এর বিনিময়ে তাদের কোনো টাকাপয়সাও দেওয়া হয়নি। উলটো চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে আজিজনগরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় জনতা। আহত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন আজিজনগর ইউনিয়নের সোলাইমান বাজার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফ পাড়ার বাসিন্দার মো. মোরশেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশুসন্তান মো. সেলিম ওরফে সোহাগ (৯)।
এ ঘটনায় সোহাগের বাবা মুরশেদ হাওলাদার লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনও লামা থানায় চুরির অভিযোগ করেছেন।
আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেকটর এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, তারা জানতে পেরেছেন গত দুই বছর ধরে ছেলেটিকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে চেয়ারম্যানের বাসায় রাখছে। ছেলেটি বাড়ির কাজকর্মও করত। কদিন আগে চেয়ারম্যানের স্ত্রীর স্বর্ণ চুরি হয়। এ ঘটনায় ছেলেটিকে সন্দেহ করে চেয়ারম্যান তাকে পিটিয়েছে। তারপর মাকে ডেকেও কিল-ঘুসি-থাপ্পড় দিয়েছে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু সোহাগ আমার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করেছে। ছেলেটা আমার কাছে দুই বছর ধ?রে ছিল। আমিতো শিশুটিকে ধরে বেঁধে রাখিনি যে পু?লিশ এসে উদ্ধার করবে, এটি সত্য নয়।’
লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে দিয়েছি। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্বর্ণ চুরির অভিযোগ
লামায় মা ও শিশুকে বেধড়ক পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
জেলার লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে এক শিশু ও তার অসহায় মাকে বেধড়ক মারধর করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি চেয়ারম্যানের বাড়িতেই থাকত। মা-বাবার অভিযোগ, দুবছর ধরে ছেলেটিকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করান চেয়ারম্যান। এর বিনিময়ে তাদের কোনো টাকাপয়সাও দেওয়া হয়নি। উলটো চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে আজিজনগরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় জনতা। আহত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন আজিজনগর ইউনিয়নের সোলাইমান বাজার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফ পাড়ার বাসিন্দার মো. মোরশেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশুসন্তান মো. সেলিম ওরফে সোহাগ (৯)।
এ ঘটনায় সোহাগের বাবা মুরশেদ হাওলাদার লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনও লামা থানায় চুরির অভিযোগ করেছেন।
আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেকটর এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, তারা জানতে পেরেছেন গত দুই বছর ধরে ছেলেটিকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে চেয়ারম্যানের বাসায় রাখছে। ছেলেটি বাড়ির কাজকর্মও করত। কদিন আগে চেয়ারম্যানের স্ত্রীর স্বর্ণ চুরি হয়। এ ঘটনায় ছেলেটিকে সন্দেহ করে চেয়ারম্যান তাকে পিটিয়েছে। তারপর মাকে ডেকেও কিল-ঘুসি-থাপ্পড় দিয়েছে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু সোহাগ আমার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করেছে। ছেলেটা আমার কাছে দুই বছর ধ?রে ছিল। আমিতো শিশুটিকে ধরে বেঁধে রাখিনি যে পু?লিশ এসে উদ্ধার করবে, এটি সত্য নয়।’
লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে দিয়েছি। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।