বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ
প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ জুনে
নির্মাণ শুরু আগামী বছরের প্রথমে
উত্তরাঞ্চলবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ জুনে শুরু হবে। নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। সেতুর দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বছর প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ শুরুর আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বগুড়া-সিরাজগঞ্জের মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিতসহ রাজধানীর সঙ্গে উত্তরের জেলাগুলোর দূরত্ব কমবে অন্তত ১১২ কিলোমিটার। পাশাপাশি সময় সাশ্রয় হবে প্রায় চার ঘণ্টা। প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী সোমবার বিকালে এসব তথ্য দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনটি প্যাকেজের মধ্যে সেতুগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অপর দুটি প্যাকেজ ট্র্যাক নির্মাণ কাজের দরপত্র পরে হবে। ৮৪ কিলোমিটারের ডুয়েল গেজের দুটি রেলপথ নির্মাণে ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে বগুড়ার ৫২ কিলোমিটারের জন্য ৫১০ একর ও সিরাজগঞ্জের ৩২ কিলোমিটারের জন্য ৪৫০ একর। প্রথমে ডুয়েল গেজ লাইন ও পরে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এবং বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে শাজাহানপুরের রানীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে এক হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের যৌথ অর্থায়নে এ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ভারত ঋণ দেবে তিন হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ২০২৬ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথে মোট নয়টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো-বগুড়ার শাজাহানপুরে রানীরহাট, আড়িয়া বাজার, শেরপুর, ছোনকা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, চান্দাইকোনা, নলকা কৃষ্ণদিয়া, রায়পুর ও এম মনসুর আলী স্টেশন। এ পথে বগুড়ার কাহালু, বগুড়া সদর ও রানীরহাটে তিনটি জংশন তৈরি হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত আরও তিন কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করায় ট্রেনগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু হয়ে সারা দেশের সঙ্গে চলাচল করবে।
এদিকে এ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নে রোববার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদর আসনের সংসদ-সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, রেল ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। তবে প্রকল্প এলাকায় তিন ফসলি জমি, নদী-হাওড় আছে কি না সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এজন্য জমি অধিগ্রহণে ড্রোন দিয়ে ভিডিও এবং স্থিরচিত্র নেওয়া হবে। ৭ জুন প্রকল্প নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদ-সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুসারে স্বল্পসময়ের মধ্যে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে এবং ২০১৫ সালে বগুড়ায় দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথ উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ জুনে
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ
নির্মাণ শুরু আগামী বছরের প্রথমে
বগুড়া ব্যুরো
৩০ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
উত্তরাঞ্চলবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ জুনে শুরু হবে। নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। সেতুর দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বছর প্রথম দিকে নির্মাণ কাজ শুরুর আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বগুড়া-সিরাজগঞ্জের মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিতসহ রাজধানীর সঙ্গে উত্তরের জেলাগুলোর দূরত্ব কমবে অন্তত ১১২ কিলোমিটার। পাশাপাশি সময় সাশ্রয় হবে প্রায় চার ঘণ্টা। প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী সোমবার বিকালে এসব তথ্য দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনটি প্যাকেজের মধ্যে সেতুগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অপর দুটি প্যাকেজ ট্র্যাক নির্মাণ কাজের দরপত্র পরে হবে। ৮৪ কিলোমিটারের ডুয়েল গেজের দুটি রেলপথ নির্মাণে ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে বগুড়ার ৫২ কিলোমিটারের জন্য ৫১০ একর ও সিরাজগঞ্জের ৩২ কিলোমিটারের জন্য ৪৫০ একর। প্রথমে ডুয়েল গেজ লাইন ও পরে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এবং বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে শাজাহানপুরের রানীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। সরকার জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে এক হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের যৌথ অর্থায়নে এ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ভারত ঋণ দেবে তিন হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ২০২৬ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথে মোট নয়টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো-বগুড়ার শাজাহানপুরে রানীরহাট, আড়িয়া বাজার, শেরপুর, ছোনকা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, চান্দাইকোনা, নলকা কৃষ্ণদিয়া, রায়পুর ও এম মনসুর আলী স্টেশন। এ পথে বগুড়ার কাহালু, বগুড়া সদর ও রানীরহাটে তিনটি জংশন তৈরি হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত আরও তিন কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করায় ট্রেনগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু হয়ে সারা দেশের সঙ্গে চলাচল করবে।
এদিকে এ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নে রোববার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদর আসনের সংসদ-সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, রেল ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। তবে প্রকল্প এলাকায় তিন ফসলি জমি, নদী-হাওড় আছে কি না সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এজন্য জমি অধিগ্রহণে ড্রোন দিয়ে ভিডিও এবং স্থিরচিত্র নেওয়া হবে। ৭ জুন প্রকল্প নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদ-সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুসারে স্বল্পসময়ের মধ্যে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে এবং ২০১৫ সালে বগুড়ায় দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথ উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023