সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
কটিয়াদীতে শিশুর ওপর বাবার বর্বরতা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৬ বছরের শিশু স্বর্ণা আক্তার বাবা ইকবাল মিয়ার হাতে নির্মম লাঠিপেটার শিকার হয়েছে। এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে গলা চেপে ধরেন ইকবাল। মেয়ে ‘ওমা, ও বাবা’ বলে চিৎকার করলেও মন গলেনি বাবার। বরং লাথি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে নির্যাতন চালান তিনি। আর এ দৃশ্যটি শিশুর সৎমা রাবেয়া বাড়ির দরজায় বসে ভিডিও করেন। এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর এলাকার শিমুলতলী বাগরাইটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বমহলে। পাষণ্ড বাবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছেন এলাকাবাসী। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে উঠেছে।
বাগরাইট গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে ইকবাল বিয়ে করেছেন দুটি। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক। প্রথম স্ত্রীর নাম হালিমা। তার এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে থাকে না। বাড়িতে শুধু ছোট দুই মেয়ে থাকে। পারিবারিক কলহ ও বনিবনা না হওয়ায় দুবছর আগে হালিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। চার সন্তান রয়ে যায় বাবার কাছে। এরপর কিছুদিন দেশে থেকে প্রবাসে চলে যান হালিমা। এর মধ্যে রাবেয়া নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ইকবাল। আগের সংসারের সন্তানদের ভালোভাবে নিতে পারছিলেন না রাবেয়া। ফলে সংসারে এ নিয়ে কলহ তৈরি হয় প্রায় সময়। শিশুদের মারধর করা হয় হরহামেশাই। ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি করা রমজানের ১৫ তারিখের দিকে। ভিডিওটি রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশ পায় এবং সবার নজরে আসে। ওইদিন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধরের শিকার হয় শিশুটি। আর এটি ঠান্ডা মাথায় বসে ভিডিও করেন সৎমা রাবেয়া। ভিডিওটি প্রবাসে থাকা শিশুর মায়ের কাছে পাঠানো হয় তাদের স্বার্থগত চাওয়া-পাওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গেলে ইকবাল ও রাবেয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ইকবালের ছোট ভাই রাসেল মিয়া জানান, স্বর্ণাকে অত্যাচারের কথা আমি জানতাম না। ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর জেনেছি। আমার ভাই ইকবাল খুব রাগী মানুষ।
‘নরপিশাচ’ শিরোনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এমন একটি ভিডিও চিত্রের সূত্র ধরে নির্যাতনকারী বাবা ইকবালকে খুঁজছে পুলিশ। কটিয়াদী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কটিয়াদী মডেল থানার কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ভিডিওটি পেয়ে গতকাল রাত থেকেই ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। সৎমাকেও খোঁজা হচ্ছে। গোয়েন্দাসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
কটিয়াদীতে শিশুর ওপর বাবার বর্বরতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো ও কটিয়াদী প্রতিনিধি
৩০ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৬ বছরের শিশু স্বর্ণা আক্তার বাবা ইকবাল মিয়ার হাতে নির্মম লাঠিপেটার শিকার হয়েছে। এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে গলা চেপে ধরেন ইকবাল। মেয়ে ‘ওমা, ও বাবা’ বলে চিৎকার করলেও মন গলেনি বাবার। বরং লাথি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে নির্যাতন চালান তিনি। আর এ দৃশ্যটি শিশুর সৎমা রাবেয়া বাড়ির দরজায় বসে ভিডিও করেন। এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর এলাকার শিমুলতলী বাগরাইটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বমহলে। পাষণ্ড বাবার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছেন এলাকাবাসী। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে উঠেছে।
বাগরাইট গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে ইকবাল বিয়ে করেছেন দুটি। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক। প্রথম স্ত্রীর নাম হালিমা। তার এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে থাকে না। বাড়িতে শুধু ছোট দুই মেয়ে থাকে। পারিবারিক কলহ ও বনিবনা না হওয়ায় দুবছর আগে হালিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। চার সন্তান রয়ে যায় বাবার কাছে। এরপর কিছুদিন দেশে থেকে প্রবাসে চলে যান হালিমা। এর মধ্যে রাবেয়া নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ইকবাল। আগের সংসারের সন্তানদের ভালোভাবে নিতে পারছিলেন না রাবেয়া। ফলে সংসারে এ নিয়ে কলহ তৈরি হয় প্রায় সময়। শিশুদের মারধর করা হয় হরহামেশাই। ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি করা রমজানের ১৫ তারিখের দিকে। ভিডিওটি রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশ পায় এবং সবার নজরে আসে। ওইদিন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধরের শিকার হয় শিশুটি। আর এটি ঠান্ডা মাথায় বসে ভিডিও করেন সৎমা রাবেয়া। ভিডিওটি প্রবাসে থাকা শিশুর মায়ের কাছে পাঠানো হয় তাদের স্বার্থগত চাওয়া-পাওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গেলে ইকবাল ও রাবেয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ইকবালের ছোট ভাই রাসেল মিয়া জানান, স্বর্ণাকে অত্যাচারের কথা আমি জানতাম না। ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর জেনেছি। আমার ভাই ইকবাল খুব রাগী মানুষ।
‘নরপিশাচ’ শিরোনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এমন একটি ভিডিও চিত্রের সূত্র ধরে নির্যাতনকারী বাবা ইকবালকে খুঁজছে পুলিশ। কটিয়াদী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কটিয়াদী মডেল থানার কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ভিডিওটি পেয়ে গতকাল রাত থেকেই ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। সৎমাকেও খোঁজা হচ্ছে। গোয়েন্দাসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023