খুলনা সিটি নির্বাচন

মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মুশফিক

 খুলনা ব্যুরো 
৩০ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক। তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মুশফিকের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি মোবাইল ফোনে সোমবার নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এসএম মাহবুবুল ইসলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর মেয়র প্রার্থী মুশফিক যুগান্তরকে বলেন, জনগণ নিজের অধিকার আদায়ের স্বার্থে তাকে ভোট দেবে। তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের রায়ের কপি মঙ্গলবারের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি তার কাঙ্ক্ষিত দেয়াল ঘড়ি মার্কা পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমি মোটেও প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। আমি যেখানে দাঁড়াব সেখান থেকে সব কিছু নতুন করে শুরু হবে। গত সিটি নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

আইনজীবী মাহবুবুল ইসলাম জানান, মুশফিকের প্রার্থিতা ফিরে পেতে তার পক্ষে রিট করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ রায় দেন।

জানা গেছে, ভোটার সমর্থনকারীদের তথ্য ভুল থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ মে মুশফিকের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। এরপর ২৩ মে আপিল শুনানিতে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় : কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন আটক, মামলাসহ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। ১ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১১২টি চেকপোস্টে জরিমানা আদায় করা হয়। বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৪৪১টি মামলা দেওয়া হয়। মামলাগুলোর মাধ্যমে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫০ টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া ৭২৬টি যানবাহন আটক করা হয়। এ সব যানবাহন থেকে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কেএমপির ডিসি ট্রাফিক মনিরা সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও কেএমপি কমিশনারের নির্দেশে ১ মে থেকে এ কার্যক্রম শুরু করি। ৩১ মে পর্যন্ত অভিযান চলবে।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন