খুলনা সিটি নির্বাচন

প্রচারে উন্নয়নের ফিরিস্তি প্রার্থীদের

 খুলনা ব্যুরো 
০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বাকি ৮ দিন। নগরীজুড়ে প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। উন্নয়নের নানা অঙ্গীকার করছেন। মানুষের ভোগান্তি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আশা ব্যক্ত করছেন।

রোববার সকালে দৌলতপুরের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা ও নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনসহ সার্বিক উন্নয়নে নৌকাকে বিজয়ী করুন। নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই দেশের উন্নতি হয়, সেটি আজকে প্রমাণিত। স্বাধীনের পর থেকে আওয়ামী লীগই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে এসেছে। আওয়ামী লীগের বিজয় হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দরিদ্র, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। আমি নির্বাচিত হলে আবারও আপনাদের পাশে থাকব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, নেতা খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমান, শেখ দাউদ হায়দার প্রমুখ।

এদিন কেসিসির বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ যদি না থাকে তাহলে আমাদের দেশের অনেক বড় ক্ষতি হবে এটা আমরা মনে করি। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টস সেক্টর অচল হয়ে পড়ছে, অতএব গার্মেন্টস সেক্টরটিকে আমরা সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে। ভারত যদি কয়লা না দেয় অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ভারত আমাদের যদি সহযোগিতা না করে কয়লা দিয়ে তাহলে আমরা বিপদে পড়ব। আমি একটা কথাই বলব যে-এই দেশের জনগণকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন, ভোট দেওয়া জনগণের অধিকার। বর্তমান সরকার ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এখনো খুলনার মানুষ ভোট দিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনকে মাইকিং করে বলতে হবে যে আপনি ভোট কেন্দ্রে যান দায়িত্ব আমাদের। তাহলেই হয়তো ভোটাররা সাহস পাবে।

পথসভা ও জনসংযোগের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আল জুবায়ের, নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহানন্দ সরকার, নগর জাতীয় পার্টির সাধারন সাধারন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলার সাধারণ সম্পাদক এম হাদিউজ্জামান, শেখ মো. নাজমুল কবির সাদী, গাউছুল আজম, আশফাকুল ইসলাম সেলিম, তৌমুর হোসেন শাহিন, প্রিন্স হোসেন কালু প্রমুখ।

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী আব্দুল আউয়াল বলেছেন, আমি নির্বাচিত হলে, মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজি-অটোবাইক এবং জ্বালানি তেল চালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানগুলোর লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। সকাল থেকে নগরীর ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল্লাহ, সমন্বয়কারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহ- সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনি প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম প্রমুখ।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন