প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র নদ এখন ধু-ধু বালুচর
এক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম নদ ব্রহ্মপুত্র এখন ধু-ধু বালুচর। স্থানে স্থানে চর আর বালুর পাহাড় জমে পরিণত হয়েছে বালুমহালে। খনন কাজে গাফিলতি, তীর দখলের হিড়িক আর দূর উজানের উৎসপথে বাঁধ, ইত্যাদির প্রভাবে সেই প্রমত্তা নদের বুকে অসংখ্য চর নিয়ে আজ কোনো রকমে গতিহারা অবস্থায় বেঁচে আছে। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদ-নদীগুলোও অস্তিত্ব হারিয়ে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব শাখা নদ-নদীগুলোর অনেকাংশে হাঁটু পানিও দেখা যায় না। এসব শাখা নদ-নদী এখন ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠে পরিণত হয়েছে। ফলে ভেঙে পড়েছে কম খরচের নৌযোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা।
অপরদিকে, এ নদের খনন প্রকল্প নিয়েও নয়-ছয় এবং গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। খনন কাজের পাশাপাশি অবৈধ বালু বাণিজ্যেও জড়িয়ে পড়েছে একটি সিন্ডিকেট।
এ কারণে খনন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে প্রকল্প কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের অতি প্রিয় এক নদের নাম ব্রহ্মপুত্র। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ এক সময় প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্রের মিষ্টিমধুর কলতানে ঘুমিয়ে পড়ত। ঘন গম্ভীর গর্জনে জেগেও উঠত। এ নদের তীরে তীরে গড়ে উঠে নগর-বন্দর ও শিল্প সভ্যতা।
কালের রুদ্র রোষে ব্রহ্মপুত্রের সেই তেজোদ্দীপ্ত স্রোতধারা, অতীত মহিমা আজ কেবলি স্মৃতি। বৈরী প্রকৃতি ও মানুষের বৈরী আচরণে এখন তার অবস্থা মুমূর্ষু।
চীন, ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র এক আন্তর্জাতিক নদ। তিব্বতে মানস সরোবরের নিকটবর্তী ‘চেমাইয়াংডু’ হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। তিব্বত মালভূমির ওপর দিয়ে পূর্ব দিকে মানপো নামে প্রায় এক হাজার মাইল প্রবাহিত হওয়ার পর দক্ষিণে ঘুরে ৪৪২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সাদিয়ার নিকট আসামে প্রবেশ করে। আসামের ‘ডিহাং’ এবং পরে ব্রহ্মপুত্র নামে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪৫০ মাইল (প্রায় ৭২৪ কিলোমিটার) প্রবাহিত হওয়ার পর গারো পাহাড়ের নিকট দক্ষিণে ঘুরে বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ব্রহ্মপুত্র কিছুদূর অগ্রসর হলে দক্ষিণ অভিমুখী তিস্তা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। আরও দক্ষিণে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র বিভক্ত হয়ে এক শাখা যমুনা এবং অপর শাখা ব্রহ্মপুত্র নামে জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়। কুড়িগ্রাম থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের নৌপথ ভৈরব বাজারের নিকট মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এসব নৌপথ ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম।
ঐতিহাসিক মিনহাজ উদ্দিনের মতে, আজকের মৃতপ্রায় ব্রহ্মপুত্র ত্রয়োদশ শতকে প্রশস্ততায় গঙ্গার তিন গুণ ছিল। সপ্তদশ শতকে চৈনিক পরিব্রাজক হিওয়েন সাঙ এ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণের সময় গঙ্গার চেয়ে তিনগুণ প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে কামরূপ গিয়েছিলেন।
সোমবার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার খুরশিদ মহল সেতু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, এ নদের পূর্ব দিকের তীরে বিশাল অংশ জুড়ে জেগে ওঠেছে বালুচর। বৈধ-অবৈধ পথে বালু বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন এলাকার কিছু মধ্যস্বত্বভোগী মানুষ। কথা হয় খুরশিদ মহল গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধ লোকমান আলীর সঙ্গে। তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, শৈশবে ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখেছেন। তখন প্রমত্তা নদ পার হওয়ার আগে দুর্ঘটনার ভয়ে হিন্দু-মুসলমানরা নানা ধরনের মানত করে নৌকায় উঠতেন। তখন বড় বড় নৌকা ও লঞ্চ চলত। তিনি নিজে বাড়ির ঘাট থেকে নৌকায় উঠে বাবার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ গেছেন। আফসোস করে বলেন, ১৯৭৫ সালেও এ নৌপথে নামমাত্র ভাড়ায় নৌকা ও লঞ্চে চড়ার সুযোগ ছিল। এর পর থেকে এ নদ যৌবন হারিয়ে ফেলতে থাকে। অবশ্য, পরে জানা গেছে ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে নদটি শুকিয়ে গেছে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর ও ভৈরব থানার ওপর দিয়ে ৭৫ কিলোমিটার বয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এই ৭৫ কিলোমিটার নদের বুক জুড়েই জেগে ওঠছে বিশাল বালুচর। পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বাজার ও আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে, নদপথের দুধারে বিশাল বিশাল বালুর স্তূপ। নদের মাঝপথে নোঙর করা আছে বিশাল আকৃতির কয়েকটি ড্রেজিং বোর্ড। যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএর ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া জানান, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়ার ১৪ কিলোমিটার নদ পথের ড্রেজিং কাজ চলছে।
২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ২ হাজার ২৭ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ চলছে। ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যেই কিশোরগঞ্জে ১৪ কিলোমিটার অংশের ১২ কিলোমিটার কাজ শেষের পথে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার বাকি দুই কিলোমিটার নদ পথসহ পাঁচটি জেলায় এখনো ১৬০ কিলোমিটার খনন কাজ বাকি আছে। খননের পর মাটি ও বালু রাখার মতো জায়গা না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মাত্র ৪৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া।
প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র নদ এখন ধু-ধু বালুচর
এটিএম নিজাম, কিশোরগঞ্জ
০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এক সময়ের অন্যতম বৃহত্তম নদ ব্রহ্মপুত্র এখন ধু-ধু বালুচর। স্থানে স্থানে চর আর বালুর পাহাড় জমে পরিণত হয়েছে বালুমহালে। খনন কাজে গাফিলতি, তীর দখলের হিড়িক আর দূর উজানের উৎসপথে বাঁধ, ইত্যাদির প্রভাবে সেই প্রমত্তা নদের বুকে অসংখ্য চর নিয়ে আজ কোনো রকমে গতিহারা অবস্থায় বেঁচে আছে। ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদ-নদীগুলোও অস্তিত্ব হারিয়ে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব শাখা নদ-নদীগুলোর অনেকাংশে হাঁটু পানিও দেখা যায় না। এসব শাখা নদ-নদী এখন ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠে পরিণত হয়েছে। ফলে ভেঙে পড়েছে কম খরচের নৌযোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা।
অপরদিকে, এ নদের খনন প্রকল্প নিয়েও নয়-ছয় এবং গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। খনন কাজের পাশাপাশি অবৈধ বালু বাণিজ্যেও জড়িয়ে পড়েছে একটি সিন্ডিকেট।
এ কারণে খনন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে প্রকল্প কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের অতি প্রিয় এক নদের নাম ব্রহ্মপুত্র। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ এক সময় প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্রের মিষ্টিমধুর কলতানে ঘুমিয়ে পড়ত। ঘন গম্ভীর গর্জনে জেগেও উঠত। এ নদের তীরে তীরে গড়ে উঠে নগর-বন্দর ও শিল্প সভ্যতা।
কালের রুদ্র রোষে ব্রহ্মপুত্রের সেই তেজোদ্দীপ্ত স্রোতধারা, অতীত মহিমা আজ কেবলি স্মৃতি। বৈরী প্রকৃতি ও মানুষের বৈরী আচরণে এখন তার অবস্থা মুমূর্ষু।
চীন, ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র এক আন্তর্জাতিক নদ। তিব্বতে মানস সরোবরের নিকটবর্তী ‘চেমাইয়াংডু’ হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। তিব্বত মালভূমির ওপর দিয়ে পূর্ব দিকে মানপো নামে প্রায় এক হাজার মাইল প্রবাহিত হওয়ার পর দক্ষিণে ঘুরে ৪৪২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সাদিয়ার নিকট আসামে প্রবেশ করে। আসামের ‘ডিহাং’ এবং পরে ব্রহ্মপুত্র নামে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪৫০ মাইল (প্রায় ৭২৪ কিলোমিটার) প্রবাহিত হওয়ার পর গারো পাহাড়ের নিকট দক্ষিণে ঘুরে বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ব্রহ্মপুত্র কিছুদূর অগ্রসর হলে দক্ষিণ অভিমুখী তিস্তা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। আরও দক্ষিণে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র বিভক্ত হয়ে এক শাখা যমুনা এবং অপর শাখা ব্রহ্মপুত্র নামে জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়। কুড়িগ্রাম থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের নৌপথ ভৈরব বাজারের নিকট মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এসব নৌপথ ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম।
ঐতিহাসিক মিনহাজ উদ্দিনের মতে, আজকের মৃতপ্রায় ব্রহ্মপুত্র ত্রয়োদশ শতকে প্রশস্ততায় গঙ্গার তিন গুণ ছিল। সপ্তদশ শতকে চৈনিক পরিব্রাজক হিওয়েন সাঙ এ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণের সময় গঙ্গার চেয়ে তিনগুণ প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে কামরূপ গিয়েছিলেন।
সোমবার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার খুরশিদ মহল সেতু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, এ নদের পূর্ব দিকের তীরে বিশাল অংশ জুড়ে জেগে ওঠেছে বালুচর। বৈধ-অবৈধ পথে বালু বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন এলাকার কিছু মধ্যস্বত্বভোগী মানুষ। কথা হয় খুরশিদ মহল গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধ লোকমান আলীর সঙ্গে। তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, শৈশবে ব্রহ্মপুত্রের বিশালতা দেখেছেন। তখন প্রমত্তা নদ পার হওয়ার আগে দুর্ঘটনার ভয়ে হিন্দু-মুসলমানরা নানা ধরনের মানত করে নৌকায় উঠতেন। তখন বড় বড় নৌকা ও লঞ্চ চলত। তিনি নিজে বাড়ির ঘাট থেকে নৌকায় উঠে বাবার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ গেছেন। আফসোস করে বলেন, ১৯৭৫ সালেও এ নৌপথে নামমাত্র ভাড়ায় নৌকা ও লঞ্চে চড়ার সুযোগ ছিল। এর পর থেকে এ নদ যৌবন হারিয়ে ফেলতে থাকে। অবশ্য, পরে জানা গেছে ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে নদটি শুকিয়ে গেছে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর ও ভৈরব থানার ওপর দিয়ে ৭৫ কিলোমিটার বয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়। এই ৭৫ কিলোমিটার নদের বুক জুড়েই জেগে ওঠছে বিশাল বালুচর। পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা বাজার ও আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে, নদপথের দুধারে বিশাল বিশাল বালুর স্তূপ। নদের মাঝপথে নোঙর করা আছে বিশাল আকৃতির কয়েকটি ড্রেজিং বোর্ড। যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএর ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া জানান, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়ার ১৪ কিলোমিটার নদ পথের ড্রেজিং কাজ চলছে।
২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ২ হাজার ২৭ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ চলছে। ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যেই কিশোরগঞ্জে ১৪ কিলোমিটার অংশের ১২ কিলোমিটার কাজ শেষের পথে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার বাকি দুই কিলোমিটার নদ পথসহ পাঁচটি জেলায় এখনো ১৬০ কিলোমিটার খনন কাজ বাকি আছে। খননের পর মাটি ও বালু রাখার মতো জায়গা না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মাত্র ৪৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023