খোকনের ইশতেহার

উন্নত ও জনবান্ধব বরিশাল নগরী গড়ার অঙ্গীকার

নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়া নিয়ে শঙ্কা অন্য তিন প্রার্থীর
 বরিশাল ব্যুরো 
০৮ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

উন্নত ও জনবান্ধব নগরী গড়ার অঙ্গীকার করেছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

বুধবার দুপুরে নগরীর একটি কনভেনশন হলে পেশ করা ইশতেহার তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তার ইশতেহারে কাঠামোগত উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন, সেবার মান বৃদ্ধি, সহনশীল হোল্ডিং কর নির্ধারণ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং যানজট নিরসনের কথা রয়েছে।

৩৫ দফার ইশতেহারে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বরিশাল নগরীর উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে একটি উন্নত জনবান্ধব বরিশাল নগর গড়ব।’

ইশতেহার ঘোষণাকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক, অ্যাডভোকেট আনিস উদ্দিন আহমেদ শহীদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তিনি প্রার্থীর : এদিকে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। বুধবার গণসংযোগকালে তারা এ আশঙ্কার কথা জানান।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি : থানা কম্পাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েল ও তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভুলুর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন রয়েল। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সুমন মিয়া। এছাড়াও রয়েল তার কর্মী মোজাম্মেল হোসেনকে থানার বাইরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। ভুলুর কর্মী মামুন খলিফা হুমকি দেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলু জানান, আমি থানা থেকে বের হওয়ার সময় রয়েলের সমর্থক আলামিন আমাকে গালাগাল করে। তখন পিছনের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ওইখানে কর্মীরা উচ্চবাচ্য করেন। আমি কর্মীদের নিয়ে আসছি। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছড়াচ্ছে। এই অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রি বলেন, রয়েল এলাকার একটি ঘটনা নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তখন অন্য একটি গ্রুপ চলে এলে দুপক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন