মুদ্রাবাজারে ঝড়ো হাওয়া
বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণের কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের যাতায়াতও কমে গেছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার চাহিদা কমে গেছে। এতে বিশ্বের প্রভাবশালী প্রায় সব ধরনের মুদ্রার দরপতন হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বর্ণ ও জ্বালানি তেলের দামও কমে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এগুলোর চাহিদা কমে গেছে। ফলে দামও কমছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এক ইউরোর দাম ছিল ১ দশমিক ১৪ ডলার। শুক্রবার তা কমে দাঁড়ায় ১ দশমিক ০৬ ইউরো। ওই সময়ে প্রতি ইউরোর বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম কমেছে দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিশ্ব বাণিজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ দখল করে রেখেছে ডলার। এরপরই ইউরোর অবস্থান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ইউএস ডলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো। এ দুটি অঞ্চলেই এখন করোনাভাইরাসের আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যে কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্থবির। পর্যটকও যাচ্ছে না। ফলে মুদ্রার চাহিদা তলানিতে ঠেকে দাম পড়ে গেছে।
এক ডলারের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ১ দশমকি ৩১ ব্রিটিশ পাউন্ড। এখন তা কমে ১ দশমিক ১৪ পাউন্ড হয়েছে। ওই সময়ে এর দাম কমেছে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যুক্তরাজ্যও এখন করোনার আক্রমণে কাবু হয়ে গেছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এক পাউন্ডের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ১ দশমকি ১৭ ইউরো, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ০৬ ইউরো। ওই সময়ে প্রতি পাউন্ডের বিপরীতে ইউরোর দাম কমেছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে করোনার প্রভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ওইসব দেশের আয়ের একটি বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। এখন কোনো ট্যুরিজম নেই। ফলে মানুষের পাশাপাশি মুদ্রার চলাচলও স্তিমিত হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতও করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ভারতের অনেক রাজ্যেই চলছে টানা লকডাউন। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে দেশের ভেতরের ব্যবসা-বাণিজ্যও। প্রতি ডলারের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ৭৬ দশমকি ৬৭ ভারতীয় রুপি। এখন তা কমে ৭১ দশমিক ৮৪ রুপি। ওই সময়ে এর দাম কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ায় এখনও করোনাভাইরাসের বড় আক্রমণ হয়নি। তবে তারা এখনই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। তাদের অনেক শহরে লকডাউন চলছে। এর প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ফলে মুদ্রার চাহিদাও কমে গেছে। এর প্রভাবে কমেছে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দাম। গত ডিসেম্বরে ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ১ দশমিক ৭৪ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫০ ডলার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মুদ্রাবাজারে ঝড়ো হাওয়া
বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণের কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের যাতায়াতও কমে গেছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার চাহিদা কমে গেছে। এতে বিশ্বের প্রভাবশালী প্রায় সব ধরনের মুদ্রার দরপতন হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বর্ণ ও জ্বালানি তেলের দামও কমে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এগুলোর চাহিদা কমে গেছে। ফলে দামও কমছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এক ইউরোর দাম ছিল ১ দশমিক ১৪ ডলার। শুক্রবার তা কমে দাঁড়ায় ১ দশমিক ০৬ ইউরো। ওই সময়ে প্রতি ইউরোর বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম কমেছে দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিশ্ব বাণিজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ দখল করে রেখেছে ডলার। এরপরই ইউরোর অবস্থান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ইউএস ডলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো। এ দুটি অঞ্চলেই এখন করোনাভাইরাসের আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যে কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্থবির। পর্যটকও যাচ্ছে না। ফলে মুদ্রার চাহিদা তলানিতে ঠেকে দাম পড়ে গেছে।
এক ডলারের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ১ দশমকি ৩১ ব্রিটিশ পাউন্ড। এখন তা কমে ১ দশমিক ১৪ পাউন্ড হয়েছে। ওই সময়ে এর দাম কমেছে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যুক্তরাজ্যও এখন করোনার আক্রমণে কাবু হয়ে গেছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এক পাউন্ডের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ১ দশমকি ১৭ ইউরো, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ০৬ ইউরো। ওই সময়ে প্রতি পাউন্ডের বিপরীতে ইউরোর দাম কমেছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে করোনার প্রভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ওইসব দেশের আয়ের একটি বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। এখন কোনো ট্যুরিজম নেই। ফলে মানুষের পাশাপাশি মুদ্রার চলাচলও স্তিমিত হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতও করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ভারতের অনেক রাজ্যেই চলছে টানা লকডাউন। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে দেশের ভেতরের ব্যবসা-বাণিজ্যও। প্রতি ডলারের বিপরীতে গত ডিসেম্বরে পাওয়া যেত ৭৬ দশমকি ৬৭ ভারতীয় রুপি। এখন তা কমে ৭১ দশমিক ৮৪ রুপি। ওই সময়ে এর দাম কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ায় এখনও করোনাভাইরাসের বড় আক্রমণ হয়নি। তবে তারা এখনই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। তাদের অনেক শহরে লকডাউন চলছে। এর প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ফলে মুদ্রার চাহিদাও কমে গেছে। এর প্রভাবে কমেছে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দাম। গত ডিসেম্বরে ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ১ দশমিক ৭৪ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫০ ডলার।