সবাইকে মাস্ক পরতে হবে
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর জনসাধারণকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকটাই করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও সারা দেশে জনসাধারণের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়নি, এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। শহর ও গ্রামের সর্বত্র এখন মাস্ক পরার প্রতি উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
কর্মস্থলে শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে। রাস্তায় পথচারীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
গণপরিবহনে যাত্রী ও গাড়িচালকদের মাঝে মাস্কের ব্যবহার অনুপস্থিত। শহর ও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে মাস্কের ব্যবহার খুবই নগণ্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট, ব্যানার, টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় সচেতনতামূলক নানা প্রচারণা সত্ত্বেও মাস্কের ব্যবহারে জনগণের মাঝে তেমন উৎসাহ লক্ষ করা যায় না।
করোনার প্রথম তরঙ্গ পেরিয়ে আমরা এখন দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রবেশ করেছি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া দরকার। করোনা শুরুতে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বা ভীতি সৃষ্টি করলেও এখন তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অথচ শীতে করোনা আরও শক্তিশালী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। ঠাণ্ডায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে। দেশের কিছু কিছু স্থানে মাস্ক পরার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলেও বেশিরভাগ স্থানে এখনও মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়নি।
কিছু স্থানে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে। জনসাধারণকে সতর্কীকরণ বাণী প্রচার করে সাবধান করে দেয়া হচ্ছে। মাস্ক না পরার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে বলেও খবর রয়েছে। অথচ এখনও বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যাপারে সতর্ক হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
এ অবস্থায় সর্বত্র মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হলেও এর প্রয়োগ খুব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার ব্যাপারে সবাইকে সাবধান করে দিতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সমগ্র দেশকে রক্ষার জন্য জেলাভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে হবে।
মো. আকিব হোসাইন : শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সবাইকে মাস্ক পরতে হবে
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর জনসাধারণকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকটাই করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও সারা দেশে জনসাধারণের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়নি, এটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। শহর ও গ্রামের সর্বত্র এখন মাস্ক পরার প্রতি উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
কর্মস্থলে শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে। রাস্তায় পথচারীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
গণপরিবহনে যাত্রী ও গাড়িচালকদের মাঝে মাস্কের ব্যবহার অনুপস্থিত। শহর ও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে মাস্কের ব্যবহার খুবই নগণ্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট, ব্যানার, টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় সচেতনতামূলক নানা প্রচারণা সত্ত্বেও মাস্কের ব্যবহারে জনগণের মাঝে তেমন উৎসাহ লক্ষ করা যায় না।
করোনার প্রথম তরঙ্গ পেরিয়ে আমরা এখন দ্বিতীয় তরঙ্গে প্রবেশ করেছি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া দরকার। করোনা শুরুতে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বা ভীতি সৃষ্টি করলেও এখন তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অথচ শীতে করোনা আরও শক্তিশালী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন। ঠাণ্ডায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে। দেশের কিছু কিছু স্থানে মাস্ক পরার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলেও বেশিরভাগ স্থানে এখনও মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়নি।
কিছু স্থানে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে। জনসাধারণকে সতর্কীকরণ বাণী প্রচার করে সাবধান করে দেয়া হচ্ছে। মাস্ক না পরার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে বলেও খবর রয়েছে। অথচ এখনও বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যাপারে সতর্ক হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
এ অবস্থায় সর্বত্র মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হলেও এর প্রয়োগ খুব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার ব্যাপারে সবাইকে সাবধান করে দিতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সমগ্র দেশকে রক্ষার জন্য জেলাভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে হবে।
মো. আকিব হোসাইন : শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ