ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সাবধান!
এক সময় যেসব কাজ করতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো এবং অনেক সময় লাগত, সেসব কাজ এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই করা যায়।
এক সময় টাকা লেনদেন করার মাধ্যম ছিল ব্যাংক, ডাক বিভাগ; অথবা হাতে হাতে লেনদেন করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন চালু হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
এখন আর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে কিংবা প্রয়োজনে কোথাও দ্রুত টাকা পাঠাতে কোনো ঝক্কি পোহাতে হয় না। ঘরে বসে সহজেই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বেশ নিরাপদ। প্রযুক্তির সহায়তায় এই লেনদেনকে আরও সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করতে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রাহকরা তাদের সুবিধামতো স্মার্টফোন কিংবা সাধারণ ফোন দিয়েও লেনদেন করতে পারছে সহজেই।
তবে ঘরে বসে অর্থ লেনদেন করতে পারলেও এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। একশ্রেণির প্রতারক সবসময় ওঁৎ পেতে থাকে প্রতারণা করার জন্য। পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণের জন্য যত প্রযুক্তিই আবিষ্কার হোক না কেনো, তার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা হাসিলের লোকের সংখ্যাও কম নয়।
বর্তমানে ঘরে, ব্যবসা কেন্দ্রে কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার সুবিধা থাকায় নগদ অর্থ লেনদেনের ঝামেলা কমে গেলেও ডিজিটাল প্রতারকদের ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ভুল নম্বরে অন্যত্র টাকা পাঠিয়ে দিয়ে ঝামেলা পোহানোর ঘটনাও কম নয়।
ডিজিটাল প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারানোর বহু ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সবকিছুই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসছে। এসব প্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক ব্যবহার আছে, তেমনি দুষ্ট লোকেরা প্রযুক্তির অপব্যবহারসহ নানা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
আগে তাদের প্রতারণার ধরন ছিল একরকম, প্রযুক্তির উন্নতির পর তাদের প্রতারণার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। মনে রাখতে হবে, প্রতারিত হয়ে গেলে প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতারকদের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে। কাউকে টাকা পাঠানোর সময় নম্বর সঠিক হয়েছে কিনা তা একাধিকবার দেখে নিতে হবে।
তেমনি কাউকে নম্বর দেওয়ার সময় সঠিক নম্বর দেওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যখন কেউ ফোন করে পিন নম্বর চায় কিংবা ‘টাকা চলে এসেছে, ফেরত দিন’ বলে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দিয়ে নিজের ব্যালেন্স চেক করে এবং যারা এ বিষয়ে ভালো বোঝে তাদের পরামর্শ নিয়ে তারপর টাকা ফেরত প্রদান কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বনেই প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
জুবায়ের আহমেদ : শিক্ষার্থী, ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম, বিজেম
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সাবধান!
এক সময় যেসব কাজ করতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো এবং অনেক সময় লাগত, সেসব কাজ এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই করা যায়।
এক সময় টাকা লেনদেন করার মাধ্যম ছিল ব্যাংক, ডাক বিভাগ; অথবা হাতে হাতে লেনদেন করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন চালু হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
এখন আর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে কিংবা প্রয়োজনে কোথাও দ্রুত টাকা পাঠাতে কোনো ঝক্কি পোহাতে হয় না। ঘরে বসে সহজেই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বেশ নিরাপদ। প্রযুক্তির সহায়তায় এই লেনদেনকে আরও সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করতে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রাহকরা তাদের সুবিধামতো স্মার্টফোন কিংবা সাধারণ ফোন দিয়েও লেনদেন করতে পারছে সহজেই।
তবে ঘরে বসে অর্থ লেনদেন করতে পারলেও এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। একশ্রেণির প্রতারক সবসময় ওঁৎ পেতে থাকে প্রতারণা করার জন্য। পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণের জন্য যত প্রযুক্তিই আবিষ্কার হোক না কেনো, তার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা হাসিলের লোকের সংখ্যাও কম নয়।
বর্তমানে ঘরে, ব্যবসা কেন্দ্রে কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার সুবিধা থাকায় নগদ অর্থ লেনদেনের ঝামেলা কমে গেলেও ডিজিটাল প্রতারকদের ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ভুল নম্বরে অন্যত্র টাকা পাঠিয়ে দিয়ে ঝামেলা পোহানোর ঘটনাও কম নয়।
ডিজিটাল প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারানোর বহু ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সবকিছুই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসছে। এসব প্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক ব্যবহার আছে, তেমনি দুষ্ট লোকেরা প্রযুক্তির অপব্যবহারসহ নানা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
আগে তাদের প্রতারণার ধরন ছিল একরকম, প্রযুক্তির উন্নতির পর তাদের প্রতারণার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। মনে রাখতে হবে, প্রতারিত হয়ে গেলে প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতারকদের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে। কাউকে টাকা পাঠানোর সময় নম্বর সঠিক হয়েছে কিনা তা একাধিকবার দেখে নিতে হবে।
তেমনি কাউকে নম্বর দেওয়ার সময় সঠিক নম্বর দেওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যখন কেউ ফোন করে পিন নম্বর চায় কিংবা ‘টাকা চলে এসেছে, ফেরত দিন’ বলে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দিয়ে নিজের ব্যালেন্স চেক করে এবং যারা এ বিষয়ে ভালো বোঝে তাদের পরামর্শ নিয়ে তারপর টাকা ফেরত প্রদান কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বনেই প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
জুবায়ের আহমেদ : শিক্ষার্থী, ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম, বিজেম