গণপরিবহণে যাত্রী নিরাপত্তা
বাসের সিসিটিভির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে
সম্পাদকীয়
০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গণপরিবহণ যাত্রীদের, বিশেষত নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকার মাত্র ১০০ বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
দেখা গেছে, কোনো কোনো বাসের সিসি ক্যামেরার চোখ ঢেকে রাখা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, এ কার্যক্রমের মনিটরিং হচ্ছে না সেভাবে।
বিষয়টি উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, মূলত চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও নারীর ওপর যৌন হয়রানি রোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের একটি প্রকল্প হাতে নেয়, যা শুরু হয় ২০১৮ সালে।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে মোট ২ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার এ কার্যক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে সেসময় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। চলন্ত বাসে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনাসহ বাস শ্রমিকদের দ্বারা অহরহ যাত্রী হয়রানি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি ভালো উদ্যোগ সন্দেহ নেই।
কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সিসি ক্যামেরা লাগানো বাসের সংখ্যা অতি সীমিত। রাজধানীতে চলাচল করে প্রায় ৫ হাজার বাস। সেক্ষেত্রে মাত্র ১০০ বাসে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে কী সুফল মিলবে, সেটা এক বড় প্রশ্ন। দ্বিতীয়ত, সিসি ক্যামেরা লাগানো বাসগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং তথা এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা না হলে বাসে এগুলোর সংযোজন অর্থহীন এবং অর্থের অপচয় মাত্র।
গণপরিবহণ খাতে নানা নৈরাজ্যের কথা আমরা জানি। খেয়ালখুশিমতো ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা লেগেই থাকে। পরিবহণকর্মীদের কথামতো অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে যাত্রীদের হেনস্তা করা হয়।
সেক্ষেত্রে নারীকে অপদস্ত করাসহ যে কোনো অপরাধ বা অনিয়ম যে পরিবহণকর্মীরা ঢেকে রাখতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের এ প্রবণতা রোধে প্রতিটি বাসেই সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং তা নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে।
যেসব বাসের সিসি ক্যামেরা ঢেকে বা অকার্যকর করে রাখা হবে, সেসব বাস মালিকের বিরুদ্ধে নিতে হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের শিথিলতার সুযোগ নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গণপরিবহণে যাত্রী নিরাপত্তা
বাসের সিসিটিভির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে
গণপরিবহণ যাত্রীদের, বিশেষত নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকার মাত্র ১০০ বাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
দেখা গেছে, কোনো কোনো বাসের সিসি ক্যামেরার চোখ ঢেকে রাখা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, এ কার্যক্রমের মনিটরিং হচ্ছে না সেভাবে।
বিষয়টি উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, মূলত চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও নারীর ওপর যৌন হয়রানি রোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের একটি প্রকল্প হাতে নেয়, যা শুরু হয় ২০১৮ সালে।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে মোট ২ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার এ কার্যক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে সেসময় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। চলন্ত বাসে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনাসহ বাস শ্রমিকদের দ্বারা অহরহ যাত্রী হয়রানি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি ভালো উদ্যোগ সন্দেহ নেই।
কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সিসি ক্যামেরা লাগানো বাসের সংখ্যা অতি সীমিত। রাজধানীতে চলাচল করে প্রায় ৫ হাজার বাস। সেক্ষেত্রে মাত্র ১০০ বাসে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে কী সুফল মিলবে, সেটা এক বড় প্রশ্ন। দ্বিতীয়ত, সিসি ক্যামেরা লাগানো বাসগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং তথা এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা না হলে বাসে এগুলোর সংযোজন অর্থহীন এবং অর্থের অপচয় মাত্র।
গণপরিবহণ খাতে নানা নৈরাজ্যের কথা আমরা জানি। খেয়ালখুশিমতো ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা লেগেই থাকে। পরিবহণকর্মীদের কথামতো অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে যাত্রীদের হেনস্তা করা হয়।
সেক্ষেত্রে নারীকে অপদস্ত করাসহ যে কোনো অপরাধ বা অনিয়ম যে পরিবহণকর্মীরা ঢেকে রাখতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের এ প্রবণতা রোধে প্রতিটি বাসেই সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং তা নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে।
যেসব বাসের সিসি ক্যামেরা ঢেকে বা অকার্যকর করে রাখা হবে, সেসব বাস মালিকের বিরুদ্ধে নিতে হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের শিথিলতার সুযোগ নেই।