পবিত্র শবেবরাত: সমগ্র জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক
সম্পাদকীয়
০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আজ পবিত্র শবেবরাত, যা সৌভাগ্যের রজনি হিসাবে পরিচিত। মুসলমানদের কাছে ১৪ শাবান দিবাগত রাত অত্যন্ত বরকতময় ও মহিমান্বিত বলে বিবেচিত। মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতির জন্য তাঁর অসীম রহমতের দরজা খুলে দেন এ রাতে। শাবানের পরই কৃচ্ছ্রসাধনের মাস রমজান আসে জীবনের সব কালিমা দূর করার ফজিলত নিয়ে।
শবেবরাত তাই মুসলমানদের জানান দিয়ে যায় দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা। এ রাতে মানবসমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি মানুষের জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং রুজি-রোজগার বণ্টন করেন। নাজিল করেন বান্দার প্রতি অশেষ রহমত। বান্দাদের আকুতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণেরও রাত এটি। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং বিপদগ্রস্তদের দেখান উত্তরণের পথ। এ কারণেই মুসলমানদের কাছে শবেবরাত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানে বলা হয়েছে, ‘শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি এই কিতাবকে বরকতময় রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এই রাত্রিতে ফয়সালা করা হয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়, আমার পক্ষ থেকে নির্দেশক্রমে, নিশ্চয় আমি প্রেরণাকারী।’ পবিত্র কুরআনের এই বাণী থেকেও উপলব্ধি করা যায়, কেন শবেবরাত মুসলমানদের কাছে এত মহিমাময়। সেই মহিমার রোশনাই জীবনে ও কর্মে অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে প্রয়োগের জন্যই প্রত্যেক মুসলমান এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে কাটান। গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাদ্যসামগ্রী। ধনীদের সম্পদের ওপর যে গরিবের হক রয়েছে, তা বারবার উচ্চারিত হয়েছে পবিত্র কুরআনে। এই পবিত্র রাতে আমরা যেন ভুলে না যাই গরিব প্রতিবেশীর কথা। তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসী। ইসলামের শান্তি ও সম্প্রীতির শাশ্বত বাণীর প্রতিফলন ঘটাতে হবে আমাদের চিন্তা ও কর্মে। ইসলামের শিক্ষা থেকে কখনোই যাতে আমরা বিচ্যুত না হই, সে ব্যাপারেও সদা সজাগ থাকতে হবে। আজকের সৌভাগ্য আর রিজিক বরাদ্দের, জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণের রজনিতে আমরা সব রকম গোঁড়ামি ও শিরক থেকে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা করব মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে। এই রাত সমগ্র জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, এটাই সর্বান্তকরণে প্রত্যাশা করি। পবিত্র এই রজনির আলোকচ্ছটায় আমাদের অন্তর হোক উদ্ভাসিত, দূর হোক কালিমা, সমৃদ্ধি আসুক সবার ঘরে-এটাই প্রার্থনা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পবিত্র শবেবরাত: সমগ্র জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক
আজ পবিত্র শবেবরাত, যা সৌভাগ্যের রজনি হিসাবে পরিচিত। মুসলমানদের কাছে ১৪ শাবান দিবাগত রাত অত্যন্ত বরকতময় ও মহিমান্বিত বলে বিবেচিত। মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতির জন্য তাঁর অসীম রহমতের দরজা খুলে দেন এ রাতে। শাবানের পরই কৃচ্ছ্রসাধনের মাস রমজান আসে জীবনের সব কালিমা দূর করার ফজিলত নিয়ে।
শবেবরাত তাই মুসলমানদের জানান দিয়ে যায় দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা। এ রাতে মানবসমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি মানুষের জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং রুজি-রোজগার বণ্টন করেন। নাজিল করেন বান্দার প্রতি অশেষ রহমত। বান্দাদের আকুতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণেরও রাত এটি। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং বিপদগ্রস্তদের দেখান উত্তরণের পথ। এ কারণেই মুসলমানদের কাছে শবেবরাত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানে বলা হয়েছে, ‘শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি এই কিতাবকে বরকতময় রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এই রাত্রিতে ফয়সালা করা হয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়, আমার পক্ষ থেকে নির্দেশক্রমে, নিশ্চয় আমি প্রেরণাকারী।’ পবিত্র কুরআনের এই বাণী থেকেও উপলব্ধি করা যায়, কেন শবেবরাত মুসলমানদের কাছে এত মহিমাময়। সেই মহিমার রোশনাই জীবনে ও কর্মে অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে প্রয়োগের জন্যই প্রত্যেক মুসলমান এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে কাটান। গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাদ্যসামগ্রী। ধনীদের সম্পদের ওপর যে গরিবের হক রয়েছে, তা বারবার উচ্চারিত হয়েছে পবিত্র কুরআনে। এই পবিত্র রাতে আমরা যেন ভুলে না যাই গরিব প্রতিবেশীর কথা। তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসী। ইসলামের শান্তি ও সম্প্রীতির শাশ্বত বাণীর প্রতিফলন ঘটাতে হবে আমাদের চিন্তা ও কর্মে। ইসলামের শিক্ষা থেকে কখনোই যাতে আমরা বিচ্যুত না হই, সে ব্যাপারেও সদা সজাগ থাকতে হবে। আজকের সৌভাগ্য আর রিজিক বরাদ্দের, জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণের রজনিতে আমরা সব রকম গোঁড়ামি ও শিরক থেকে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা করব মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে। এই রাত সমগ্র জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, এটাই সর্বান্তকরণে প্রত্যাশা করি। পবিত্র এই রজনির আলোকচ্ছটায় আমাদের অন্তর হোক উদ্ভাসিত, দূর হোক কালিমা, সমৃদ্ধি আসুক সবার ঘরে-এটাই প্রার্থনা।