রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি
ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে
সম্পাদকীয়
১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার বিষয়টি স্বস্তিদায়ক। তবে পরিস্থিতি আবারও যাতে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বস্তুত শনিবার এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জের ধরে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাতে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জানা যায়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী নীলফামারী থেকে বাসে আসার সময় আসন নিয়ে তার সঙ্গে বাসচালকের সহকারীর বচসার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং এজন্য পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ইতঃপূর্বে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক সময় তুচ্ছ ঘটনাও বড় আকার ধারণ করেছে। বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটু বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। তাই তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি হলে দ্রুত তা প্রশমনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও কথায় কথাও উত্তেজিত হওয়া সমীচীন নয়। অনেক সময় কোনো কোনো শিক্ষার্থী এলাকাবাসীর সঙ্গে উদ্ধতপূর্ণ আচরণও করে থাকেন। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও ওঠে। এ ধরনের আচরণ তাদের পরিহার করা উচিত।
বস্তুত গুটিকয় শিক্ষার্থীর উদ্ধত আচরণের কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাদের মনে রাখতে হবে, তারা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। তাদের কাছে মানুষ উন্নত নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রত্যাশা করে। শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের বিরোধ বা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ুক, এটি কাম্য নয়। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেরও দায়িত্ব সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তাদের জন্য পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা। আমরা আশা করব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুবিবেচনার প্রমাণ দেবে। ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে তা বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি
ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার বিষয়টি স্বস্তিদায়ক। তবে পরিস্থিতি আবারও যাতে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বস্তুত শনিবার এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জের ধরে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাতে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জানা যায়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী নীলফামারী থেকে বাসে আসার সময় আসন নিয়ে তার সঙ্গে বাসচালকের সহকারীর বচসার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং এজন্য পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ইতঃপূর্বে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক সময় তুচ্ছ ঘটনাও বড় আকার ধারণ করেছে। বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটু বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। তাই তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি হলে দ্রুত তা প্রশমনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও কথায় কথাও উত্তেজিত হওয়া সমীচীন নয়। অনেক সময় কোনো কোনো শিক্ষার্থী এলাকাবাসীর সঙ্গে উদ্ধতপূর্ণ আচরণও করে থাকেন। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও ওঠে। এ ধরনের আচরণ তাদের পরিহার করা উচিত।
বস্তুত গুটিকয় শিক্ষার্থীর উদ্ধত আচরণের কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাদের মনে রাখতে হবে, তারা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। তাদের কাছে মানুষ উন্নত নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রত্যাশা করে। শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের বিরোধ বা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ুক, এটি কাম্য নয়। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেরও দায়িত্ব সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তাদের জন্য পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা। আমরা আশা করব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুবিবেচনার প্রমাণ দেবে। ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে তা বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।