প্রধানমন্ত্রীর উপহার
jugantor
প্রধানমন্ত্রীর উপহার
সামাজিক নিরাপত্তার পরিধি আরও বাড়ুক

   

২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদের আগে ঈদের আনন্দ অনুভব করল দেশের ৩৯ হাজারেরও বেশি গৃহহীন পরিবারের মানুষ। বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজারের বেশি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২ লাখেরও বেশি ঘর বিতরণ সম্পন্ন হলো। এ সময় সারা দেশের ৭ জেলা ও ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে কেউ ঠিকানা ছাড়া থাকবে না। উল্লেখ্য, সরকার গৃহহীনদের ঘর প্রদানের পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। এসব মানুষের জীবিকার জন্য সরকারিভাবে ঋণও দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় যেসব মানুষ উপকৃত হয়েছেন, তারা এখন দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে পারবেন। তারা যাতে সত্যিকার অর্থেই উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন, সেজন্য তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এসব মানুষ যাতে দীর্ঘমেয়াদে দেশের মূলধারার অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন, সেজন্য তাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

সরকারি অর্থে ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিত ঘরের মান নিয়ে ইতঃপূর্বে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর দ্রুত তদন্ত শেষ করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা দরকার। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এ ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ না পায়, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অতীতে এ প্রকল্পের কিছুসংখ্যক ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগও উঠেছিল। কাজেই আগামী দিনে যাতে এ প্রকল্পের সব ভবন ত্রুটিমুক্তভাবে তৈরি করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দিনগুলোয় দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বাড়বে। কাজেই এ প্রকল্পের আওতায় আগামী দিনে যেসব বাড়ি নির্মিত হবে, সেগুলোকে যথাযথ টেকসইভাবে নির্মাণ করতে হবে।

দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য যেসব নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর পরিধি বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে যাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি না হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নামে বরাদ্দ অর্থে অন্য কেউ ভাগ বসানোর সুযোগ পেলে দারিদ্র্য বিমোচনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসচ্ছল মানুষ যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার

সামাজিক নিরাপত্তার পরিধি আরও বাড়ুক
  
২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদের আগে ঈদের আনন্দ অনুভব করল দেশের ৩৯ হাজারেরও বেশি গৃহহীন পরিবারের মানুষ। বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজারের বেশি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২ লাখেরও বেশি ঘর বিতরণ সম্পন্ন হলো। এ সময় সারা দেশের ৭ জেলা ও ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে কেউ ঠিকানা ছাড়া থাকবে না। উল্লেখ্য, সরকার গৃহহীনদের ঘর প্রদানের পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। এসব মানুষের জীবিকার জন্য সরকারিভাবে ঋণও দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় যেসব মানুষ উপকৃত হয়েছেন, তারা এখন দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে পারবেন। তারা যাতে সত্যিকার অর্থেই উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন, সেজন্য তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এসব মানুষ যাতে দীর্ঘমেয়াদে দেশের মূলধারার অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন, সেজন্য তাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

সরকারি অর্থে ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিত ঘরের মান নিয়ে ইতঃপূর্বে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর দ্রুত তদন্ত শেষ করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা দরকার। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এ ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ না পায়, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অতীতে এ প্রকল্পের কিছুসংখ্যক ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগও উঠেছিল। কাজেই আগামী দিনে যাতে এ প্রকল্পের সব ভবন ত্রুটিমুক্তভাবে তৈরি করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দিনগুলোয় দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বাড়বে। কাজেই এ প্রকল্পের আওতায় আগামী দিনে যেসব বাড়ি নির্মিত হবে, সেগুলোকে যথাযথ টেকসইভাবে নির্মাণ করতে হবে।

দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য যেসব নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর পরিধি বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে যাতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি না হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নামে বরাদ্দ অর্থে অন্য কেউ ভাগ বসানোর সুযোগ পেলে দারিদ্র্য বিমোচনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসচ্ছল মানুষ যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন