গাজীপুর সিটি নির্বাচন
jugantor
গাজীপুর সিটি নির্বাচন
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড জরুরি

  সম্পাদকীয়  

২৫ মে ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে এই সিটি করপোরেশনে কে হবেন আগামী দিনের নগরপিতা।

কারা হচ্ছেন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর, দিনশেষে তাও জানা যাবে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আটজন হলেও ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান এবং সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মঙ্গলবার এ দুই প্রার্থীর কাউকেই বড় ধরনের শোডাউন করতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের উৎসাহ থাকলেও আছে চাপা আতঙ্ক। সেই আতঙ্ক অমূলক হোক, সেটাই প্রত্যাশা।

কারণ, দেশের বৃহত্তম এই সিটি করপোরেশনের ভোটের পরিবেশের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করছে পরবর্তী নির্বাচনগুলোর অবাধ ও নিরপেক্ষতার বিষয়টি।

উল্লেখ্য, কদিন পরই সিলেট ও রাজশাহীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে আশা করা যায়, পরবর্তী নির্বাচনগুলোর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে একটি আস্থার জায়গা তৈরি হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণাকালে আমরা দেখেছি, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামা মো. আজমত উল্লার প্রার্থিতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকবার আপত্তি জানিয়েছিল।

এমনকি তার প্রার্র্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইসি। পরবর্তী সময়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশনকে তার বক্তব্যে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ হতেও আমরা দেখেছি। কয়েক দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না বলেও ইসি জানিয়ে দেয়।

আজমত উল্লার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মা কিন্তু খোদ ইসিকে নিয়েই রয়েছেন শঙ্কায়। তিনি এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারকে দেওয়া সেই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত গুন্ডা ও প্রশাসনের ছদ্মবেশে বিশেষ পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে সব ধরনের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৮০টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে তা দিয়ে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন ইসি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামানো হয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ।

কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যও। আমরা চাইব, এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হোক। ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং জনমতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটার মধ্য দিয়ে গাজীপুরে নির্বাচিত হোন নতুন নগরপিতা।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড জরুরি
 সম্পাদকীয় 
২৫ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে এই সিটি করপোরেশনে কে হবেন আগামী দিনের নগরপিতা।

কারা হচ্ছেন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর, দিনশেষে তাও জানা যাবে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আটজন হলেও ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান এবং সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মঙ্গলবার এ দুই প্রার্থীর কাউকেই বড় ধরনের শোডাউন করতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের উৎসাহ থাকলেও আছে চাপা আতঙ্ক। সেই আতঙ্ক অমূলক হোক, সেটাই প্রত্যাশা।

কারণ, দেশের বৃহত্তম এই সিটি করপোরেশনের ভোটের পরিবেশের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করছে পরবর্তী নির্বাচনগুলোর অবাধ ও নিরপেক্ষতার বিষয়টি।

উল্লেখ্য, কদিন পরই সিলেট ও রাজশাহীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে আশা করা যায়, পরবর্তী নির্বাচনগুলোর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে একটি আস্থার জায়গা তৈরি হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণাকালে আমরা দেখেছি, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামা মো. আজমত উল্লার প্রার্থিতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকবার আপত্তি জানিয়েছিল।

এমনকি তার প্রার্র্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছিল ইসি। পরবর্তী সময়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশনকে তার বক্তব্যে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ হতেও আমরা দেখেছি। কয়েক দফা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না বলেও ইসি জানিয়ে দেয়।

আজমত উল্লার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মা কিন্তু খোদ ইসিকে নিয়েই রয়েছেন শঙ্কায়। তিনি এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারকে দেওয়া সেই চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত গুন্ডা ও প্রশাসনের ছদ্মবেশে বিশেষ পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে সব ধরনের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৮০টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে তা দিয়ে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন ইসি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নামানো হয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ।

কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যও। আমরা চাইব, এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হোক। ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং জনমতের যথার্থ প্রতিফলন ঘটার মধ্য দিয়ে গাজীপুরে নির্বাচিত হোন নতুন নগরপিতা।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন