প্রকল্পে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি
সমীক্ষাগুলো তাহলে কীভাবে করা হয়?
প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের গতি নেই। কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ২০২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৭১ শতাংশ। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মূল ব্যয় ছিল ৩৪৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। পরবর্তী সময় প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাড়িয়ে ৩৮৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করা হয়। এরপর আবার প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মোট ৪৩৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরামর্শকসহ ২৫ খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। এমন লাগামহীনভাবে প্রকল্প সংশোধনকে দেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত হিসাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদরা।
আমরা জানি, কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসাবে সরকারের পক্ষ থেকে কোন্ প্রকল্পের জন্য কত শতাংশ টাকা ব্যয় করা যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রকল্প পাশের আগে যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, তার ভিত্তিতেই ব্যয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের চেয়ে বেশি দর ধরেই রিপোর্টে উল্লেখ থাকে, যাতে পরবর্তীকালে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও সমস্যা না হয়। সে ক্ষেত্রে যারা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা মনে করি, কেন প্রকল্পগুলোর প্রাক্কলিত অর্থ ও সময়সীমার ভেতরে শেষ করা গেল না, তার জবাবদিহিতা ছাড়া প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন করাই উচিত নয়। উদ্বেগের বিষয়, অনেক প্রকল্পে এক-দুবার নয়, তিন থেকে চারবার পর্যন্ত মেয়াদ ও বরাদ্দ উভয়ই বাড়ানো হচ্ছে। এতে নির্ধারিত ব্যয় থেকে তিন-চারগুণ বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ২৫ খাতে যে ব্যয় বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ, এতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আমরা মনে করি, সংকট মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রেই সাশ্রয়ী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব প্রকল্প চলমান থাকবে, সেসব প্রকল্প যেন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
প্রকল্পে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি
সমীক্ষাগুলো তাহলে কীভাবে করা হয়?
সম্পাদকীয়
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের গতি নেই। কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ২০২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৭১ শতাংশ। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মূল ব্যয় ছিল ৩৪৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। পরবর্তী সময় প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাড়িয়ে ৩৮৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করা হয়। এরপর আবার প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মোট ৪৩৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরামর্শকসহ ২৫ খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। এমন লাগামহীনভাবে প্রকল্প সংশোধনকে দেশের জন্য একটি অশুভ সংকেত হিসাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদরা।
আমরা জানি, কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসাবে সরকারের পক্ষ থেকে কোন্ প্রকল্পের জন্য কত শতাংশ টাকা ব্যয় করা যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রকল্প পাশের আগে যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, তার ভিত্তিতেই ব্যয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের চেয়ে বেশি দর ধরেই রিপোর্টে উল্লেখ থাকে, যাতে পরবর্তীকালে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও সমস্যা না হয়। সে ক্ষেত্রে যারা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা মনে করি, কেন প্রকল্পগুলোর প্রাক্কলিত অর্থ ও সময়সীমার ভেতরে শেষ করা গেল না, তার জবাবদিহিতা ছাড়া প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন করাই উচিত নয়। উদ্বেগের বিষয়, অনেক প্রকল্পে এক-দুবার নয়, তিন থেকে চারবার পর্যন্ত মেয়াদ ও বরাদ্দ উভয়ই বাড়ানো হচ্ছে। এতে নির্ধারিত ব্যয় থেকে তিন-চারগুণ বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ২৫ খাতে যে ব্যয় বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ, এতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আমরা মনে করি, সংকট মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রেই সাশ্রয়ী হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব প্রকল্প চলমান থাকবে, সেসব প্রকল্প যেন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023