বাজারে কারসাজি
ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি জরুরি
ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে বাজারে ডিমের দামে প্রভাব পড়তেও দেখা গেছে। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয়। প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হয় বিধায় খুচরা পর্যায়ে বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা। এরপরও এ দাম কার্যকর না হওয়ায় সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়। খবরটি রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত দাম কমে আসে।
ক্রেতারা এখন প্রতি হালি ডিম ৪৮-৫২ টাকায় কিনতে পারছেন। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১২-১৩ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, ডিম আমদানি হলে দাম আরও কমবে। গত কদিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম রেকর্ড ছুঁলেও মানুষ তা কিনতে বাধ্য হয়েছে। ফলে ডিমের দাম এখন কমলেও সিন্ডিকেট এরই মধ্যে বাজার থেকে যা লাভ করার, তা করে ফেলেছে।
কয়েক বছর ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ঠুনকো অজুহাতেও অসাধু ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজার তদারকিতে ব্যর্থতার পর যখন পণ্য আমদানির ঘোষণা আসে, দেখা যায় দ্রুত সে পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদনকারীরা বিক্রির সময় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। আবার খুচরা বাজারে সেই পণ্যই ক্রেতারা অস্বাভাবিক মূল্যে কিনতে বাধ্য হন। মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশের কারণেই এসব অসাধু ব্যবসায়ী পার পেয়ে যায়। প্রায় সব দেশেই বাজারে সাধারণত কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আগেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সিন্ডিকেটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আগাম সতর্ক করে। আমাদের দেশে এ প্রচলন আছে কি না, তা সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন। নিকট অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদেরও এ ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, বাজার নিয়ন্ত্রণে আগাম পদক্ষেপ কেন নেওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকার বাজার ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার পাশাপাশি কারসাজিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, এটাই প্রত্যাশা।
বাজারে কারসাজি
ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি জরুরি
সম্পাদকীয়
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ খবরে বাজারে ডিমের দামে প্রভাব পড়তেও দেখা গেছে। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয়। প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হয় বিধায় খুচরা পর্যায়ে বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা। এরপরও এ দাম কার্যকর না হওয়ায় সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়। খবরটি রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত দাম কমে আসে।
ক্রেতারা এখন প্রতি হালি ডিম ৪৮-৫২ টাকায় কিনতে পারছেন। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১২-১৩ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, ডিম আমদানি হলে দাম আরও কমবে। গত কদিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম রেকর্ড ছুঁলেও মানুষ তা কিনতে বাধ্য হয়েছে। ফলে ডিমের দাম এখন কমলেও সিন্ডিকেট এরই মধ্যে বাজার থেকে যা লাভ করার, তা করে ফেলেছে।
কয়েক বছর ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ঠুনকো অজুহাতেও অসাধু ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজার তদারকিতে ব্যর্থতার পর যখন পণ্য আমদানির ঘোষণা আসে, দেখা যায় দ্রুত সে পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদনকারীরা বিক্রির সময় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। আবার খুচরা বাজারে সেই পণ্যই ক্রেতারা অস্বাভাবিক মূল্যে কিনতে বাধ্য হন। মাঝে মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশের কারণেই এসব অসাধু ব্যবসায়ী পার পেয়ে যায়। প্রায় সব দেশেই বাজারে সাধারণত কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আগেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সিন্ডিকেটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আগাম সতর্ক করে। আমাদের দেশে এ প্রচলন আছে কি না, তা সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন। নিকট অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদেরও এ ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, বাজার নিয়ন্ত্রণে আগাম পদক্ষেপ কেন নেওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকার বাজার ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার পাশাপাশি কারসাজিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, এটাই প্রত্যাশা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023