কক্সবাজার-৪: পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি
শফিউল্লাহ শফি, কক্সবাজার
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সংসদীয় আসনটি বর্তমানে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত একটি আসনের নাম। ইয়াবা পাচার, রোহিঙ্গা আশ্রয়সহ নানা কারণে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের নাম শোনেননি এমন কেউ নেই।
পাশাপাশি দেশের সর্ব দক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফ নিয়ে গঠিত এ আসনটি সরকার গঠনের ভাগ্য নির্ধারণের আসন হিসেবেও পরিচিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াবার গডফাদার হিসেবে নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত হওয়ায় তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
তবে তার স্থানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন তারই সহধর্মিণী শাহীন আক্তার। এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
সম্প্রতি উখিয়ার ফলিয়াপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভায় বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের মানুষের মাঝে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, অবিভক্ত রামু-টেকনাফ-উখিয়া আসনে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী এবং ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে এসে উখিয়া-টেকনাফ নিয়ে আসনটি পুনর্বিন্যাস হয়। ওই নির্বাচনে আবদুল গফুর চৌধধুরী, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী, ১৯৯৬ সালে আ’লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী নির্বাচিত হন।
৯ম ও ১০ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি। তবে এবার আবদুর রহমান বদি নির্বাচন না করলেও নৌকার মাঝি হয়েছেন তারই সহধর্মিণী এবং উখিয়া উপজেলার সম্ভ্রান্ত পরিবার তথা উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ ঠাণ্ডা মিয়ার মেয়ে শাহীন আক্তার।
রাজনীতিতে নতুন হলেও শাহীন আক্তার বাবা ও স্বামীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলতে পারবেন বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকেশাহজাহান চৌধুরী অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সেদিক দিয়ে লড়াইটা খুব সহজ হবে না শাহীন আক্তারের জন্য- এমনটাও মনে করছেন অনেকে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কক্সবাজার-৪: পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সংসদীয় আসনটি বর্তমানে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত একটি আসনের নাম। ইয়াবা পাচার, রোহিঙ্গা আশ্রয়সহ নানা কারণে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের নাম শোনেননি এমন কেউ নেই।
পাশাপাশি দেশের সর্ব দক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফ নিয়ে গঠিত এ আসনটি সরকার গঠনের ভাগ্য নির্ধারণের আসন হিসেবেও পরিচিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াবার গডফাদার হিসেবে নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত হওয়ায় তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
তবে তার স্থানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন তারই সহধর্মিণী শাহীন আক্তার। এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
সম্প্রতি উখিয়ার ফলিয়াপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভায় বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের মানুষের মাঝে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, অবিভক্ত রামু-টেকনাফ-উখিয়া আসনে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী এবং ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে এসে উখিয়া-টেকনাফ নিয়ে আসনটি পুনর্বিন্যাস হয়। ওই নির্বাচনে আবদুল গফুর চৌধধুরী, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী, ১৯৯৬ সালে আ’লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী নির্বাচিত হন।
৯ম ও ১০ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি। তবে এবার আবদুর রহমান বদি নির্বাচন না করলেও নৌকার মাঝি হয়েছেন তারই সহধর্মিণী এবং উখিয়া উপজেলার সম্ভ্রান্ত পরিবার তথা উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ ঠাণ্ডা মিয়ার মেয়ে শাহীন আক্তার।
রাজনীতিতে নতুন হলেও শাহীন আক্তার বাবা ও স্বামীর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলতে পারবেন বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকেশাহজাহান চৌধুরী অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সেদিক দিয়ে লড়াইটা খুব সহজ হবে না শাহীন আক্তারের জন্য- এমনটাও মনে করছেন অনেকে।