সূর্যমুখী
সূর্যমুখী ফুলের গল্পটি হচ্ছে ক্লাইটি নামের একটি পরীর বিষাদের গল্প, যে সূর্যদেবতা হেলিওসের প্রেমে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হেলিওস ক্লাইটিকে ভালো না বেসে তার বোন লিউকোথিকে ভালোবাসত। হিংসায় অন্ধ হয়ে গিয়ে ক্লাইটি তাদের বাবাকে হেলিওসের সঙ্গে লিউকোথির প্রেমের কথা জানিয়ে দেয়। আর এর ফলে লিউকোথির বাবা শাস্তিস্বরূপ লিউকোথিকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলে হত্যা করে। এ ঘটনায় হেলিওস প্রচণ্ড ক্ষেপে যান এবং ক্লাইটিকে অনবরত লাথি মারতে মারতে তার দেহ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেন। নিজের ভালোবাসার দেবতার কাছ থেকে এ আচরণে ক্লাইটি প্রচণ্ড হতাশায় নিজের ক্ষতবিক্ষত দেহটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে একটি পাথরের ওপর বসে। এ অবস্থায় সে সূর্যের দিকে মুখ করে টানা নয় দিন থাকে। এভাবে নয় দিন কোনো খাবার আর পানি গ্রহণ না করায় সে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। নবম দিনে সে সূর্যমুখী ফুলে পরিণত হয়। আর তখন থেকে এখনও সে প্রতিদিন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে তার ভালোবাসার কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার আশায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পৌরাণিক ফুলের গল্প
সূর্যমুখী
সূর্যমুখী ফুলের গল্পটি হচ্ছে ক্লাইটি নামের একটি পরীর বিষাদের গল্প, যে সূর্যদেবতা হেলিওসের প্রেমে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হেলিওস ক্লাইটিকে ভালো না বেসে তার বোন লিউকোথিকে ভালোবাসত। হিংসায় অন্ধ হয়ে গিয়ে ক্লাইটি তাদের বাবাকে হেলিওসের সঙ্গে লিউকোথির প্রেমের কথা জানিয়ে দেয়। আর এর ফলে লিউকোথির বাবা শাস্তিস্বরূপ লিউকোথিকে জীবিত মাটিতে পুঁতে ফেলে হত্যা করে। এ ঘটনায় হেলিওস প্রচণ্ড ক্ষেপে যান এবং ক্লাইটিকে অনবরত লাথি মারতে মারতে তার দেহ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেন। নিজের ভালোবাসার দেবতার কাছ থেকে এ আচরণে ক্লাইটি প্রচণ্ড হতাশায় নিজের ক্ষতবিক্ষত দেহটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে একটি পাথরের ওপর বসে। এ অবস্থায় সে সূর্যের দিকে মুখ করে টানা নয় দিন থাকে। এভাবে নয় দিন কোনো খাবার আর পানি গ্রহণ না করায় সে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। নবম দিনে সে সূর্যমুখী ফুলে পরিণত হয়। আর তখন থেকে এখনও সে প্রতিদিন সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে তার ভালোবাসার কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার আশায়।