খামারবাড়ির মালিক
পশ্চিম আমেরিকার মন্টানা রাজ্যের ছোট একটা খামারবাড়ি।
একদিন শ্রম বিভাগ জানতে পারল, ওই খামারবাড়ির মালিক তার শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি দেন না। গুরুতর অভিযোগ। বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। তাই তারা একজন তদন্ত কর্মকর্তা পাঠিয়ে দিলেন সেখানে।
কর্মকর্তা হাজির হলেন খামারবাড়িতে। মালিকের সঙ্গে দেখা করলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে কথা বলতে চাই।’
খামার মালিক : বলুন, কী জানতে চান?
তদন্ত কর্মকর্তা : দয়া করে বলুন, আপনার খামারে কতজন কাজ করে? আর তাদের আপনি কী পরিমাণ মজুরি দেন?
খামার মালিক : এ খামারের মূল শ্রমিক এখানে আছে তিন বছর। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহে ১২শ’ ডলার দিই। সঙ্গে থাকা-খাওয়া ফ্রি।
তদন্ত কর্মকর্তা : তাই নাকি! আর কেউ?
খামার মালিক : রাঁধুনি আছে এক বছর। তাকে প্রতি সপ্তাহে দিই ১ হাজার ডলার। তারও থাকা-খাওয়া ফ্রি।
তদন্ত কর্মকর্তা : বাহ! আর কেউ আছে?
খামার মালিক : আর আছে এক হাবাগোবা লোক। কোনো ছুটিছাটা ছাড়াই প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করে। খামারের ৯০ শতাংশ কাজই করে সে। অথচ নেয় মাত্র ১০ ডলার। থাকা-খাওয়ার খরচ দেয়। তবে প্রতি শনিবার আমি তাকে এক বোতল হুইস্কি কিনে দিই। এছাড়া সে মাঝেমধ্যে আমার বউয়ের সঙ্গে বেড়াতে যায়।
হতাশ হয়ে মাথা নাড়লেন তদন্ত কর্মকর্তা। বললেন, ‘আহহা, বেচারা! এত বোকা! আমি ওই লোকটার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
‘আপনি এতক্ষণ তার সঙ্গেই কথা বলছেন!’ জবাব দিলেন খামার মালিক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভিনদেশি রসিকতা
খামারবাড়ির মালিক
পশ্চিম আমেরিকার মন্টানা রাজ্যের ছোট একটা খামারবাড়ি।
একদিন শ্রম বিভাগ জানতে পারল, ওই খামারবাড়ির মালিক তার শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি দেন না। গুরুতর অভিযোগ। বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। তাই তারা একজন তদন্ত কর্মকর্তা পাঠিয়ে দিলেন সেখানে।
কর্মকর্তা হাজির হলেন খামারবাড়িতে। মালিকের সঙ্গে দেখা করলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে কথা বলতে চাই।’
খামার মালিক : বলুন, কী জানতে চান?
তদন্ত কর্মকর্তা : দয়া করে বলুন, আপনার খামারে কতজন কাজ করে? আর তাদের আপনি কী পরিমাণ মজুরি দেন?
খামার মালিক : এ খামারের মূল শ্রমিক এখানে আছে তিন বছর। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহে ১২শ’ ডলার দিই। সঙ্গে থাকা-খাওয়া ফ্রি।
তদন্ত কর্মকর্তা : তাই নাকি! আর কেউ?
খামার মালিক : রাঁধুনি আছে এক বছর। তাকে প্রতি সপ্তাহে দিই ১ হাজার ডলার। তারও থাকা-খাওয়া ফ্রি।
তদন্ত কর্মকর্তা : বাহ! আর কেউ আছে?
খামার মালিক : আর আছে এক হাবাগোবা লোক। কোনো ছুটিছাটা ছাড়াই প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করে। খামারের ৯০ শতাংশ কাজই করে সে। অথচ নেয় মাত্র ১০ ডলার। থাকা-খাওয়ার খরচ দেয়। তবে প্রতি শনিবার আমি তাকে এক বোতল হুইস্কি কিনে দিই। এছাড়া সে মাঝেমধ্যে আমার বউয়ের সঙ্গে বেড়াতে যায়।
হতাশ হয়ে মাথা নাড়লেন তদন্ত কর্মকর্তা। বললেন, ‘আহহা, বেচারা! এত বোকা! আমি ওই লোকটার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
‘আপনি এতক্ষণ তার সঙ্গেই কথা বলছেন!’ জবাব দিলেন খামার মালিক।