বাবার কাছে ছেলের চিঠি
ভিনদেশি রসিকতা
আশরাফুল আলম পিনটু
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ছেলের ঘরে বাবা একটি চিঠি পেলেন-
শ্রদ্ধেয় বাবা,
খুবই পরিতাপ আর দুঃখের সঙ্গে তোমাকে এ চিঠি লিখছি।
নতুন বান্ধবী টেসির সঙ্গে আমি পালিয়ে গেলাম। কারণ, মা আর তোমার সঙ্গে বিবাদ করতে চাইনি। আমি টেসির মধ্যে সুখ খুঁজে পেয়েছি। আমি ওকে ভালোবাসি। সে আসলেই খুব ভালো।
যাহোক, আমি জানি- তুমি তাকে মেনে নেবে না। কারণ তার বেপরোয়া চলাফেরা, মাদকসেবন, শরীরের উলকি আর উদ্ভট পোশাক- তোমাদের পছন্দ হবে না। তার ওপর সে আমার চেয়ে বয়সে বড়।
এখানেই শেষ নয় বাবা। সে এখন অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে সে বলেছে, আমরা খুব সুখী হবো। জঙ্গলে তার একটা কাঠের টানা গাড়ি আছে। সেখানেই থাকছি। পুরো শীত কাটানোর মতো প্রচুর জ্বালানি কাঠও আছে। আরও অনেক সন্তানের স্বপ্ন দেখছি আমরা।
বাবা, টেসি আমার চোখ খুলে দিয়েছে। মাদকের ব্যবসায় লাভ বেশি। আমরা মারিজুয়ানার ব্যবসা করতে যাচ্ছি। ঠিক করেছি, নিজেরাই কোকেন উৎপন্ন করে বেচব। গড়ে তুলব মাদক সাম্রাজ্য। অনেক টাকা হবে আমাদের। সুখের অভাব হবে না।
আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না বাবা। আমার বয়স এখন ১৫ বছর। নিজেকে সামলাতে জানি। আমি নিশ্চিত হয়তো একদিন তোমাদের দেখতে আসব। সেদিন অনেক নাতি-নাতনি দেখতে পাবে তুমি।
ইতি।
তোমার স্নেহের, যশোহা।
পুনশ্চ : বাবা, উপরের কোনো কথাই সত্যি নয়। আমি বন্ধু জনসনের বাড়িতে আছি। তোমাকে শুধু মনে করাতে চেয়েছি, স্কুল পরীক্ষার রিপোর্টের চেয়েও অনেক বাজে জিনিস পৃথিবীতে আছে। রিপোর্টটা ডাইনিং টেবিলের ওপর রেখে এসেছি। বাড়িতে আমার জন্য পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করলে আমাকে ডাক দিও।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভিনদেশি রসিকতা
বাবার কাছে ছেলের চিঠি
ছেলের ঘরে বাবা একটি চিঠি পেলেন-
শ্রদ্ধেয় বাবা,
খুবই পরিতাপ আর দুঃখের সঙ্গে তোমাকে এ চিঠি লিখছি।
নতুন বান্ধবী টেসির সঙ্গে আমি পালিয়ে গেলাম। কারণ, মা আর তোমার সঙ্গে বিবাদ করতে চাইনি। আমি টেসির মধ্যে সুখ খুঁজে পেয়েছি। আমি ওকে ভালোবাসি। সে আসলেই খুব ভালো।
যাহোক, আমি জানি- তুমি তাকে মেনে নেবে না। কারণ তার বেপরোয়া চলাফেরা, মাদকসেবন, শরীরের উলকি আর উদ্ভট পোশাক- তোমাদের পছন্দ হবে না। তার ওপর সে আমার চেয়ে বয়সে বড়।
এখানেই শেষ নয় বাবা। সে এখন অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে সে বলেছে, আমরা খুব সুখী হবো। জঙ্গলে তার একটা কাঠের টানা গাড়ি আছে। সেখানেই থাকছি। পুরো শীত কাটানোর মতো প্রচুর জ্বালানি কাঠও আছে। আরও অনেক সন্তানের স্বপ্ন দেখছি আমরা।
বাবা, টেসি আমার চোখ খুলে দিয়েছে। মাদকের ব্যবসায় লাভ বেশি। আমরা মারিজুয়ানার ব্যবসা করতে যাচ্ছি। ঠিক করেছি, নিজেরাই কোকেন উৎপন্ন করে বেচব। গড়ে তুলব মাদক সাম্রাজ্য। অনেক টাকা হবে আমাদের। সুখের অভাব হবে না।
আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না বাবা। আমার বয়স এখন ১৫ বছর। নিজেকে সামলাতে জানি। আমি নিশ্চিত হয়তো একদিন তোমাদের দেখতে আসব। সেদিন অনেক নাতি-নাতনি দেখতে পাবে তুমি।
ইতি।
তোমার স্নেহের, যশোহা।
পুনশ্চ : বাবা, উপরের কোনো কথাই সত্যি নয়। আমি বন্ধু জনসনের বাড়িতে আছি। তোমাকে শুধু মনে করাতে চেয়েছি, স্কুল পরীক্ষার রিপোর্টের চেয়েও অনেক বাজে জিনিস পৃথিবীতে আছে। রিপোর্টটা ডাইনিং টেবিলের ওপর রেখে এসেছি। বাড়িতে আমার জন্য পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করলে আমাকে ডাক দিও।