কার ভয় কে পায়
হোজ্জার বাড়ির পাশে বাস করত এক বুড়ি। বুড়ির এক নাতি ছিল। দু’জনেই দেখতে ভয়ংকররকম কুৎসিত। পাড়ার সবাই তাদের এড়িয়ে চলত। একবার বুড়ি তার নাতিকে নিয়ে হোজ্জার বাড়ি হাজির।
‘কী ব্যাপার?’ জানতে চাইলেন হোজ্জা।
‘আমার এই নাতিটিকে একটু ভয় দেখিয়ে দাও বাবা। ওর ভয়ডর বলে কিছু নেই!’ বুড়ি ফোকলা দাঁতে হোজ্জাকে বলল। সঙ্গে সঙ্গে হোজ্জা চোখ উল্টে দাঁত খিঁচে এমন চিৎকার করে উঠলেন যে, বুড়ি নিজেই অজ্ঞান হয়ে গেল। জ্ঞান ফিরতেই সে হোজ্জাকে তিরস্কারের সুরে বলল, ‘ভয় দেখানোর এমন বিশ্রী ভঙ্গি কোথাও দেখিনি, তুমি তো আমাকেই ভয় পাইয়ে দিয়েছ! এমন করে মানুষকে ভয় দেখাতে হয় নাকি?’
হোজ্জা মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন, ‘আসলে ব্যাপার তা নয় বুড়ি মা। আপনাদের দুজনকে দেখে আমি নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! আর সে কারণেই আমার অমন চিৎকার!’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কার ভয় কে পায়
হোজ্জার বাড়ির পাশে বাস করত এক বুড়ি। বুড়ির এক নাতি ছিল। দু’জনেই দেখতে ভয়ংকররকম কুৎসিত। পাড়ার সবাই তাদের এড়িয়ে চলত। একবার বুড়ি তার নাতিকে নিয়ে হোজ্জার বাড়ি হাজির।
‘কী ব্যাপার?’ জানতে চাইলেন হোজ্জা।
‘আমার এই নাতিটিকে একটু ভয় দেখিয়ে দাও বাবা। ওর ভয়ডর বলে কিছু নেই!’ বুড়ি ফোকলা দাঁতে হোজ্জাকে বলল। সঙ্গে সঙ্গে হোজ্জা চোখ উল্টে দাঁত খিঁচে এমন চিৎকার করে উঠলেন যে, বুড়ি নিজেই অজ্ঞান হয়ে গেল। জ্ঞান ফিরতেই সে হোজ্জাকে তিরস্কারের সুরে বলল, ‘ভয় দেখানোর এমন বিশ্রী ভঙ্গি কোথাও দেখিনি, তুমি তো আমাকেই ভয় পাইয়ে দিয়েছ! এমন করে মানুষকে ভয় দেখাতে হয় নাকি?’
হোজ্জা মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন, ‘আসলে ব্যাপার তা নয় বুড়ি মা। আপনাদের দুজনকে দেখে আমি নিজেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! আর সে কারণেই আমার অমন চিৎকার!’