পেটুক সম্রাট
প্রাসাদের বারান্দার বসে একদিন সম্রাট আকবর বেগমকে নিয়ে আম খাচ্ছিলেন। আমের খোসা আর আঁটি জমা হচ্ছিল বেগমের পাশে। এমন সময় সেখানে এলেন বীরবল। সম্রাটের খাসমহলে তার অবাধ যাতায়াতের অনুমতি ছিল।
বীরবলকে দেখেই সম্রাট বললেন, ‘দেখো বীরবল, বেগম কী পেটুক! ওর পাশে কতগুলো আমের খোসা আর আঁটি, দেখেছ?’ বলেই তিনি খুব হাসতে লাগলেন।
এদিকে বেগম তো চটে লাল। বীরবল তা লক্ষ্য করে বললেন, ‘আসলে বিষয়ে হচ্ছে কি মহামান্য সম্রাট, সতীসাব্ধী স্ত্রীরা চিরদিনই স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে থাকেন। কাজেই বেগম সাহেবার কোনো দোষ নেই।’
‘তার মানে তুমি আমাকেই পেটুক বলতে চাইছ? কিন্তু অবস্থা দেখেও কি কিছু বুঝতে পারছ না বীরবল? ওর পাশে খোসা ও আঁটি জমেছে কতগুলো দেখো ভালো করে। কিন্তু আমার পাশে একটিও নেই।’ বললেন সম্রাট।
‘সে জন্যেই তো বলছি সম্রাট।’ বীরবল বলতে লাগলেন, ‘বেগম সাহেবা কেবল আমের রসসহ শাঁস খেয়েছেন। আর আপনি তো খোসা আর আঁটিও বাদ দেননি। যথার্থ পেটুকের মত সব চেটেপুটে খেয়েছেন! নয়তো আপনার খাওয়া আমের খোসা এবং আঁটি গেল কই?’
বেগম এবার আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন, ‘ঠিক ধরেছ বীরবল, আমি সরিয়ে রেখেছি বলেই তো ওগুলো আর খেতে পারেনি।’
বীরবলের উপস্থিত বুদ্ধিতে সম্রাট একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন। বেগম আর বীরবল সম্রাটের অবস্থা দেখে হেসে উঠলেন এক সঙ্গে।
‘আসলে বিষয়ে হচ্ছে কি মহামান্য সম্রাট, সতীসাব্ধী স্ত্রীরা চিরদিনই স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে থাকেন। কাজেই বেগম সাহেবার কোনো দোষ নেই।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চিরায়ত রস
পেটুক সম্রাট
প্রাসাদের বারান্দার বসে একদিন সম্রাট আকবর বেগমকে নিয়ে আম খাচ্ছিলেন। আমের খোসা আর আঁটি জমা হচ্ছিল বেগমের পাশে। এমন সময় সেখানে এলেন বীরবল। সম্রাটের খাসমহলে তার অবাধ যাতায়াতের অনুমতি ছিল।
বীরবলকে দেখেই সম্রাট বললেন, ‘দেখো বীরবল, বেগম কী পেটুক! ওর পাশে কতগুলো আমের খোসা আর আঁটি, দেখেছ?’ বলেই তিনি খুব হাসতে লাগলেন।
এদিকে বেগম তো চটে লাল। বীরবল তা লক্ষ্য করে বললেন, ‘আসলে বিষয়ে হচ্ছে কি মহামান্য সম্রাট, সতীসাব্ধী স্ত্রীরা চিরদিনই স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে থাকেন। কাজেই বেগম সাহেবার কোনো দোষ নেই।’
‘তার মানে তুমি আমাকেই পেটুক বলতে চাইছ? কিন্তু অবস্থা দেখেও কি কিছু বুঝতে পারছ না বীরবল? ওর পাশে খোসা ও আঁটি জমেছে কতগুলো দেখো ভালো করে। কিন্তু আমার পাশে একটিও নেই।’ বললেন সম্রাট।
‘সে জন্যেই তো বলছি সম্রাট।’ বীরবল বলতে লাগলেন, ‘বেগম সাহেবা কেবল আমের রসসহ শাঁস খেয়েছেন। আর আপনি তো খোসা আর আঁটিও বাদ দেননি। যথার্থ পেটুকের মত সব চেটেপুটে খেয়েছেন! নয়তো আপনার খাওয়া আমের খোসা এবং আঁটি গেল কই?’
বেগম এবার আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন, ‘ঠিক ধরেছ বীরবল, আমি সরিয়ে রেখেছি বলেই তো ওগুলো আর খেতে পারেনি।’
বীরবলের উপস্থিত বুদ্ধিতে সম্রাট একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন। বেগম আর বীরবল সম্রাটের অবস্থা দেখে হেসে উঠলেন এক সঙ্গে।
‘আসলে বিষয়ে হচ্ছে কি মহামান্য সম্রাট, সতীসাব্ধী স্ত্রীরা চিরদিনই স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে থাকেন। কাজেই বেগম সাহেবার কোনো দোষ নেই।’