জলে ভাসা আনন্দ
প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন। বংশাই নদীর তীরে আমাদের স্কুল। আমাদের হেড স্যারের বাড়ি ছিল নদীর ওপারে। নদীতে তখনো ব্রিজ হয়নি, বাঁশের বড় সাঁকো। আমাদের স্যার একটু দেরিতেই আসতেন স্কুলে। আমরা সাঁকোর কাছে গিয়ে অপেক্ষায় থাকতাম কখন আসবেন স্যার! স্যারের হাত থেকে চাবির গোছা নিয়ে কে আগে ক্লাস রুমগুলোর দরজা খুলতে পারবে।
সেদিন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু তখনো আমাদের হেড স্যার আসেননি স্কুলে। যথারীতি সাঁকোর কাছে গিয়ে কয়েকজন অধীর আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি স্যারের অপেক্ষায়। আজ স্যারের হাত থেকে যে চাবি নিতে পারবে এবং রুমগুলোর দরজা খুলতে পারবে সে যেন পরম সৌভাগ্যবান!
হঠাৎ দেখতে পেলাম স্যার আসছেন! অমনি হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গেল। কার আগে কে স্যারের হাত ধরতে পারে, চাবির গোছাটা কে করতলগত করতে পারবে! স্যার সাঁকোর শেষপ্রান্তে আসতেই আমরা চাবির গোছা নিতে চরম উদ্দীপনায় সব ভুলে হুড়মুড় করে উঠে পড়লাম সাঁকোতে! সাঁকোতে উঠে চাবির জন্য হুড়োহুড়ি করতে করতে হঠাৎ সাঁকোটা ভেঙে নদীতে ঝপাস! পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা। স্যার আমাদের একটা একটা করে টেনে তুললেন। নদীর ঘোলা জল খেয়ে আর নতুন জামা-কাপড় ভিজে স্যারসহ আমাদের অনুষ্ঠানের সব আনন্দই যেন জলে ভেসে গিয়েছিল সেদিন!
মধুপুর, টাঙ্গাইল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাঠকবাড়ি রসের হাঁড়ি
জলে ভাসা আনন্দ
প্রাইমারি স্কুলে পড়ি তখন। বংশাই নদীর তীরে আমাদের স্কুল। আমাদের হেড স্যারের বাড়ি ছিল নদীর ওপারে। নদীতে তখনো ব্রিজ হয়নি, বাঁশের বড় সাঁকো। আমাদের স্যার একটু দেরিতেই আসতেন স্কুলে। আমরা সাঁকোর কাছে গিয়ে অপেক্ষায় থাকতাম কখন আসবেন স্যার! স্যারের হাত থেকে চাবির গোছা নিয়ে কে আগে ক্লাস রুমগুলোর দরজা খুলতে পারবে।
সেদিন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু তখনো আমাদের হেড স্যার আসেননি স্কুলে। যথারীতি সাঁকোর কাছে গিয়ে কয়েকজন অধীর আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি স্যারের অপেক্ষায়। আজ স্যারের হাত থেকে যে চাবি নিতে পারবে এবং রুমগুলোর দরজা খুলতে পারবে সে যেন পরম সৌভাগ্যবান!
হঠাৎ দেখতে পেলাম স্যার আসছেন! অমনি হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গেল। কার আগে কে স্যারের হাত ধরতে পারে, চাবির গোছাটা কে করতলগত করতে পারবে! স্যার সাঁকোর শেষপ্রান্তে আসতেই আমরা চাবির গোছা নিতে চরম উদ্দীপনায় সব ভুলে হুড়মুড় করে উঠে পড়লাম সাঁকোতে! সাঁকোতে উঠে চাবির জন্য হুড়োহুড়ি করতে করতে হঠাৎ সাঁকোটা ভেঙে নদীতে ঝপাস! পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা। স্যার আমাদের একটা একটা করে টেনে তুললেন। নদীর ঘোলা জল খেয়ে আর নতুন জামা-কাপড় ভিজে স্যারসহ আমাদের অনুষ্ঠানের সব আনন্দই যেন জলে ভেসে গিয়েছিল সেদিন!
মধুপুর, টাঙ্গাইল।