কুকুরের দায়িত্ব
আবুল ফজল হলেন সম্রাট আকবরের একজন সম্মানিত খ্যাতিমান মন্ত্রী। তিনি যেমন গম্ভীর প্রকৃতির লোক, তেমনি কাজের মানুষ। সম্রাট তাকে অন্য চোখে দেখতেন তার ব্যক্তিত্বের জন্য।
একদিন আবুল ফজলের মতো লোকেরও ইচ্ছা হলো, বীরবলকে জব্দ করবেন। তিনি একদিন সম্রাটের সামনেই বীরবলকে বললেন, ‘তোমার নতুন চাকরির কথা কি শুনেছ বীরবল?’
বীরবল বললেন, ‘কই, না তো?’
আবুল ফজল বললেন, ‘দিল্লিতে নেড়ি কুকুরের উৎপাত দারুণ বেড়েছে; আজকাল ওদের জ্বালায় রাস্তায় বের হওয়া যায় না, দেখতে পাচ্ছো তো?’
বীরবল মুচকি হেসে বললেন, ‘দেখতে পাচ্ছি বইকি।’
‘তাহলে তো হলোই। এখন থেকে তুমি নেড়ি কুকুরদের সর্বপ্রকার দায়িত্ব নেবে এবং ওদের দেখাশোনা করবে। জাঁহাপনা তোমাকে নতুন এ চাকরি দিয়েছেন।’
‘এ তো বেশ ভালো কথা। আজ থেকে তাহলে আপনারা সবাই আমার জিম্মায় রইলেন।’ সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন বীরবল। তার জবাব শুনে একজন বাদে সম্রাটসহ উপস্থিত সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করে ফেললেন। সেদিন থেকে সেই একজন মানে আবুল ফজল সাহেব আর কোনোদিনও বীরবলের সঙ্গে পরিহাস করার সাহস করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চিরায়ত রস
কুকুরের দায়িত্ব
আবুল ফজল হলেন সম্রাট আকবরের একজন সম্মানিত খ্যাতিমান মন্ত্রী। তিনি যেমন গম্ভীর প্রকৃতির লোক, তেমনি কাজের মানুষ। সম্রাট তাকে অন্য চোখে দেখতেন তার ব্যক্তিত্বের জন্য।
একদিন আবুল ফজলের মতো লোকেরও ইচ্ছা হলো, বীরবলকে জব্দ করবেন। তিনি একদিন সম্রাটের সামনেই বীরবলকে বললেন, ‘তোমার নতুন চাকরির কথা কি শুনেছ বীরবল?’
বীরবল বললেন, ‘কই, না তো?’
আবুল ফজল বললেন, ‘দিল্লিতে নেড়ি কুকুরের উৎপাত দারুণ বেড়েছে; আজকাল ওদের জ্বালায় রাস্তায় বের হওয়া যায় না, দেখতে পাচ্ছো তো?’
বীরবল মুচকি হেসে বললেন, ‘দেখতে পাচ্ছি বইকি।’
‘তাহলে তো হলোই। এখন থেকে তুমি নেড়ি কুকুরদের সর্বপ্রকার দায়িত্ব নেবে এবং ওদের দেখাশোনা করবে। জাঁহাপনা তোমাকে নতুন এ চাকরি দিয়েছেন।’
‘এ তো বেশ ভালো কথা। আজ থেকে তাহলে আপনারা সবাই আমার জিম্মায় রইলেন।’ সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন বীরবল। তার জবাব শুনে একজন বাদে সম্রাটসহ উপস্থিত সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করে ফেললেন। সেদিন থেকে সেই একজন মানে আবুল ফজল সাহেব আর কোনোদিনও বীরবলের সঙ্গে পরিহাস করার সাহস করেননি।