ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়
সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার আমাদের দেশে একটি মহল অনর্থক বিতর্কের ধোঁয়া তোলার চেষ্টা করেন। কেউ এটিকে কুফরি মতবাদ বলছেন আবার কেউ কেউ এটিকে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিভাষার মতোই দেখছেন।
এসব বিতর্কের মূল কারণ যতটা না ধার্মিক বরং তার চেয়েও বেশি রাজনৈতিক। অভিধানে সেকুলারিজম শব্দটি যদিও ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থে ব্যবহৃত হয়; তথাপি ইউরোপের উদাহরণ টেনে অনেকে একে ধর্মহীন মতবাদ অর্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেন।
প্রয়াত ধর্মতত্ত্ববিদ ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ধর্মনিরপেক্ষতার বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বৈষম্যহীন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত ধর্মকে সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ন্যায়বিচার, প্রশাসন, অর্থ ও রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট ধর্মীয় বিধানগুলো বাতিল, অচল বা প্রয়োগ অযোগ্য বলে বিশ্বাস করা। প্রথম বিষয়টি ইসলাম নির্দেশিত ও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি ও দ্বিতীয় বিষয়টি ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কুফর।’ (ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ)।
অনেকে বিভিন্নজন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেকুলারিজমের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। তারা দাবি করেন, এটি ধর্মবিরোধী পরিভাষা। মূলত বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার ও সমতা বিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব ধর্মের সহাবস্থান ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষতা কুফরি মতবাদ নয় বরং ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
দেওবন্দি ধারার আলেম মুফতি আজিজুল হক বলেন, ‘আমি কসম করে বলব, ধর্মহীনতার নীতি কুফরি মতবাদ। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা কুফরি মতবাদ নয়। এটা ইসলামি মতবাদ’।
বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করেছেন। তিনি বারবার নবীজির ইসলামের উদাহরণ দিয়েছেন।
১৯৭০-এর নির্বাচনের আগে বেতার ভাষণে তিনি বলেছিলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবাসসর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে।
যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফিকদের বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাশের কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই; ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফানা করে তোলার কাজে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। যদি কেউ বলে ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব, ধর্মীয় অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
ধর্মনিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পরিভাষা। যা সর্বধর্মীয় সমতা, সর্বধর্মীয় সহাবস্থান, সর্বধর্মীয় মানুষের স্বাধীনতা এবং সর্বধর্মের প্রতি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। সব ধর্মের মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থানকে তুলে ধরে।
এটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য যতটা প্রয়োজনীয় বরং তার চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য। এটি নবীজি (সা.)-এর রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুসৃত নীতি। মদিনায় গড়ে ওঠা নবীজি (সা.)-এর রাষ্ট্রে সব ধর্মের সমান অধিকার বিরাজমান ছিল। মদিনা সনদের মাধ্যমে নবীজি (সা.) বিশ্বের বুকে ধর্মীয় নিরপেক্ষতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন। এ সনদে মদিনায় বসবাসরত সব ধর্মীয় জাতি-গোষ্ঠীকে একই জাতিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মদিনায় বসবাসরত সব ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালনে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিশুদ্ধ সিরাত গ্রন্থ সিরাতে ইবনে হিশামের ২য় খণ্ডের ১৭৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত মদিনা সনদের ২৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘বনু আওফের ইহুদিরা মুমিনদের সঙ্গে একই উম্মতরূপে গণ্য হবে।
ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম।’ এ নীতিমূলত পবিত্র কুরআনের সূরা কাফিরুনের শেষ আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন। তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম, আমাদের জন্য আমাদের ধর্ম।’
বিখ্যাত ইসলামি গবেষক ড. হামিদুল্লাহ দ্যা ইমারজেন্স অব ইসলাম গ্রন্থে বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে যে যেই ধর্মের হোক না কেন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সবার অধিকার সমান। রাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। সে জন্য ইসলামি রাষ্ট্রের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অমুসলিমদের ওপর ধর্মীয় হদ বা শাস্তি প্রয়োগ করা যায় না। অর্থাৎ ইসলামের শাস্তি আইন শুধু মুসলমানদের ওপর কার্যকর হবে।
কোনো অমুসলিমের ওপর ইসলামের শাস্তি আইন কার্যকর হবে না। রাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ইসলামের আইন অমুসলিম নাগরিকের ওপর কখনোই চাপিয়ে দিতে পারে না।
অতএব, রাষ্ট্রঘোষিত ধর্মরিপেক্ষ মতবাদ কখনোই ইসলামবিরোধী নয়। বঙ্গবন্ধু এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ইউরোপীয়রা ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যা বুঝায় তা আমি মানি না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়’।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
akpatwary.qp@gmail.com
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়
সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার আমাদের দেশে একটি মহল অনর্থক বিতর্কের ধোঁয়া তোলার চেষ্টা করেন। কেউ এটিকে কুফরি মতবাদ বলছেন আবার কেউ কেউ এটিকে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিভাষার মতোই দেখছেন।
এসব বিতর্কের মূল কারণ যতটা না ধার্মিক বরং তার চেয়েও বেশি রাজনৈতিক। অভিধানে সেকুলারিজম শব্দটি যদিও ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থে ব্যবহৃত হয়; তথাপি ইউরোপের উদাহরণ টেনে অনেকে একে ধর্মহীন মতবাদ অর্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেন।
প্রয়াত ধর্মতত্ত্ববিদ ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ধর্মনিরপেক্ষতার বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বৈষম্যহীন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত ধর্মকে সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ন্যায়বিচার, প্রশাসন, অর্থ ও রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট ধর্মীয় বিধানগুলো বাতিল, অচল বা প্রয়োগ অযোগ্য বলে বিশ্বাস করা। প্রথম বিষয়টি ইসলাম নির্দেশিত ও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি ও দ্বিতীয় বিষয়টি ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কুফর।’ (ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ)।
অনেকে বিভিন্নজন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেকুলারিজমের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। তারা দাবি করেন, এটি ধর্মবিরোধী পরিভাষা। মূলত বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ন্যায়বিচার ও সমতা বিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব ধর্মের সহাবস্থান ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষতা কুফরি মতবাদ নয় বরং ইসলামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
দেওবন্দি ধারার আলেম মুফতি আজিজুল হক বলেন, ‘আমি কসম করে বলব, ধর্মহীনতার নীতি কুফরি মতবাদ। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা কুফরি মতবাদ নয়। এটা ইসলামি মতবাদ’।
বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করেছেন। তিনি বারবার নবীজির ইসলামের উদাহরণ দিয়েছেন।
১৯৭০-এর নির্বাচনের আগে বেতার ভাষণে তিনি বলেছিলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবাসসর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে।
যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফিকদের বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাশের কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই; ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফানা করে তোলার কাজে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। যদি কেউ বলে ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব, ধর্মীয় অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
ধর্মনিরপেক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পরিভাষা। যা সর্বধর্মীয় সমতা, সর্বধর্মীয় সহাবস্থান, সর্বধর্মীয় মানুষের স্বাধীনতা এবং সর্বধর্মের প্রতি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। সব ধর্মের মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থানকে তুলে ধরে।
এটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য যতটা প্রয়োজনীয় বরং তার চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য। এটি নবীজি (সা.)-এর রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুসৃত নীতি। মদিনায় গড়ে ওঠা নবীজি (সা.)-এর রাষ্ট্রে সব ধর্মের সমান অধিকার বিরাজমান ছিল। মদিনা সনদের মাধ্যমে নবীজি (সা.) বিশ্বের বুকে ধর্মীয় নিরপেক্ষতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন। এ সনদে মদিনায় বসবাসরত সব ধর্মীয় জাতি-গোষ্ঠীকে একই জাতিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মদিনায় বসবাসরত সব ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালনে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিশুদ্ধ সিরাত গ্রন্থ সিরাতে ইবনে হিশামের ২য় খণ্ডের ১৭৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত মদিনা সনদের ২৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘বনু আওফের ইহুদিরা মুমিনদের সঙ্গে একই উম্মতরূপে গণ্য হবে।
ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম, মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম।’ এ নীতিমূলত পবিত্র কুরআনের সূরা কাফিরুনের শেষ আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন। তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম, আমাদের জন্য আমাদের ধর্ম।’
বিখ্যাত ইসলামি গবেষক ড. হামিদুল্লাহ দ্যা ইমারজেন্স অব ইসলাম গ্রন্থে বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে যে যেই ধর্মের হোক না কেন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সবার অধিকার সমান। রাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। সে জন্য ইসলামি রাষ্ট্রের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, অমুসলিমদের ওপর ধর্মীয় হদ বা শাস্তি প্রয়োগ করা যায় না। অর্থাৎ ইসলামের শাস্তি আইন শুধু মুসলমানদের ওপর কার্যকর হবে।
কোনো অমুসলিমের ওপর ইসলামের শাস্তি আইন কার্যকর হবে না। রাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ইসলামের আইন অমুসলিম নাগরিকের ওপর কখনোই চাপিয়ে দিতে পারে না।
অতএব, রাষ্ট্রঘোষিত ধর্মরিপেক্ষ মতবাদ কখনোই ইসলামবিরোধী নয়। বঙ্গবন্ধু এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ইউরোপীয়রা ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যা বুঝায় তা আমি মানি না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়’।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
akpatwary.qp@gmail.com