জিন কি মানুষের ওপর ভর করতে পারে?
jugantor
জিন কি মানুষের ওপর ভর করতে পারে?

  ইসলাম ও জীবন ডেস্ক  

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

আইয়ুব আলী

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

প্রশ্ন: আমার এক বোন মাঝে মধ্যে পাগলামি করে। এক কবিরাজ বলেছেন তার ওপর জিন ভর করে। আমার জানার বিষয় হলো জিন মানুষের ওপর ভর করার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

উত্তর : জিন মানুষের ওপর ভর করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হিসাবে তাফসিরকারকরা এ আয়াতটি উল্লেখ করেন ‘যারা সুদ খায়, তারা কেয়ামতে দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ওই ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।’ (সূরা বাকারা, ২৭৫)। শয়তানের আসরে মানুষ মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে-এ আয়াত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত বোঝা যায়। (তাফসিরে কুরতুবি ৩/৩৫৫, তাফসিরে তাবারি ৩/১০১, তাফসিরে ইবনে কাসির ১/৩২৬)

ইমাম আহমদ (র.)-এর ছেলে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, ‘আমি আমার বাবা (ইমাম আহমদ) কে বললাম, কিছু মানুষ, মানুষের শরীরে জিনের ভর করাকে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন-ও আমার সন্তান, তারা মিথ্যা বলছে। আসর করা অবস্থায় অসুস্থ লোকের মুখ দিয়ে জিন কথাও বলতে পারে।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া- ইবনে

তাইমিয়াহ ১৯/১২)।

সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে- রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের শরীরে প্রবাহিত হয়, যেমন রক্ত শরীরে প্রবাহিত।’ (বুখারি, ৩৩/২৫১। মুসলিম, ২১৭৫)।

ইমাম আহমদ এবং ইমাম বায়হাকী কর্তৃক লিপিবদ্ধ সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূল (সা.) একবার একটি অসুস্থ বালকের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন যার ওপর জিনের ভর ছিল। রাসূল (সা.) ছেলেটির দিকে ফিরে জোরে বলেন-‘ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো, ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো। ছেলেটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৫৪৮; মুসনাদে আহমদ ৪/১৭১, ১৭২)

জিন কি মানুষের ওপর ভর করতে পারে?

 ইসলাম ও জীবন ডেস্ক 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

আইয়ুব আলী

পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম

প্রশ্ন: আমার এক বোন মাঝে মধ্যে পাগলামি করে। এক কবিরাজ বলেছেন তার ওপর জিন ভর করে। আমার জানার বিষয় হলো জিন মানুষের ওপর ভর করার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

উত্তর : জিন মানুষের ওপর ভর করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হিসাবে তাফসিরকারকরা এ আয়াতটি উল্লেখ করেন ‘যারা সুদ খায়, তারা কেয়ামতে দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ওই ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।’ (সূরা বাকারা, ২৭৫)। শয়তানের আসরে মানুষ মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে-এ আয়াত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত বোঝা যায়। (তাফসিরে কুরতুবি ৩/৩৫৫, তাফসিরে তাবারি ৩/১০১, তাফসিরে ইবনে কাসির ১/৩২৬)

ইমাম আহমদ (র.)-এর ছেলে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, ‘আমি আমার বাবা (ইমাম আহমদ) কে বললাম, কিছু মানুষ, মানুষের শরীরে জিনের ভর করাকে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন-ও আমার সন্তান, তারা মিথ্যা বলছে। আসর করা অবস্থায় অসুস্থ লোকের মুখ দিয়ে জিন কথাও বলতে পারে।’ (মাজমুউল ফাতাওয়া- ইবনে

তাইমিয়াহ ১৯/১২)।

সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে- রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের শরীরে প্রবাহিত হয়, যেমন রক্ত শরীরে প্রবাহিত।’ (বুখারি, ৩৩/২৫১। মুসলিম, ২১৭৫)।

ইমাম আহমদ এবং ইমাম বায়হাকী কর্তৃক লিপিবদ্ধ সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূল (সা.) একবার একটি অসুস্থ বালকের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন যার ওপর জিনের ভর ছিল। রাসূল (সা.) ছেলেটির দিকে ফিরে জোরে বলেন-‘ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো, ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো। ছেলেটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৫৪৮; মুসনাদে আহমদ ৪/১৭১, ১৭২)

 

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন