হজে দোয়া কবুল হয় যেসব জায়গায়
হারাম শরিফ
হারাম শরিফের সীমানা বাইতুল্লাহর পশ্চিমে জেদ্দার পথে ২২ কিমি., পূর্বে তায়েফের রাস্তায় ১৫-১৬ কিমি., দক্ষিণে ইয়ামেনের রাস্তায় প্রায় ১২ কিমি. এবং উত্তরে মদিনা শরিফের পথে প্রায় ৭ কিমি.। এ সীমানার মধ্যে দোয়া কবুল হয়।
কাবা শরিফ দেখামাত্র
আল্লাহর ঘর বাইতুল্লাহ দেখে দোয়া করা। বাইতুল্লাহ দেখামাত্র দোয়া করা। বর্ণিত আছে বাইতুল্লাহ প্রথম নজরে আসার পর যে দোয়া করা হবে তা কবুল হবে।
মসজিদে হারাম
কাবা শরিফের চারদিক ঘিরে যে বিশাল মসজিদ রয়েছে এটাই মসজিদে হারাম। মসজিদে হারামে দোয়া করলে কবুল হয়।
হাতিমে কাবা
কাবা ঘরসংলগ্ন উত্তর দিকে অর্ধবৃত্তাকার দেওয়ালঘেরা স্থান ‘হাতিমে কাবা’। এ স্থানটুকু আগে কাবাঘরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাবা ঘরের সংস্কার করার সময় হাতিম অংশ বাদ রেখে বর্তমান কাবা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানেও দোয়া কবুল হয়।
কাবা শরিফের চার কোণ
কাবা ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণকে বলা হয় রোকনে ইরাকি, উত্তর-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে শামি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে ইয়ামানি। দক্ষিণ-পূর্ব কোণকে বলা হয় রোকনে হাজরে আসওয়াদ। এ চার রোকন বা কোণে দোয়া কবুল হয়। তাওয়াফের সময় রোকনে ইয়ামানি থেকে রোকনে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত পড়তে হয় : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাছানা, ওয়া ফিল আখিরাতি হাছানা; ওয়া কি না আজাবান নার।’
মাতাফ
কাবা শরিফের চারদিক হাজিরা যেখানে তাওয়াফ করেন এটাকে মাতাফ বলে। মাতাফে দোয়া কবুল করা হয়।
হাজরে আসওয়াদ
কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে দেওয়ালে লাগানো জান্নাতি পাথর। এখান থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং এখানেই শেষ করতে হয়। হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে গুনাহ মাফ হয়। ইশারায়ও চুম্বন করা যায়। এটি দোয়া কবুলের স্থান।
মাকামে ইবরাহিম
কাবা শরিফের একটু পূর্বদিকে মাতাফের মধ্যে যে পাথরখণ্ড কারুকার্যখচিত বেরিকেডে সংরক্ষিত জান্নাতি ইয়াকুত পাথরগুলোর মধ্যে একটি। ইয়াকুত পাথর হচ্ছে মাকাকে ইবরাহিম। যার ওপর দাঁড়িয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করেছিলেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। এ মাকামে ইবরাহিমকে নামাজের স্থান হিসাবে গ্রহণ করার দিকনির্দেশনা এসেছে কুরআনে।
সাফা মারওয়া পাহাড়
কাবা শরিফের পূর্ব পাশের পাহাড় সাফা ও মারওয়া। এটি হজ ও ওমরার রোকন। এ সাফা পাহাড় থেকে সায়ী শুরু করতে হয়। সাফা পাহাড় থেকে মারওয়ায় এসে সায়ীর চক্কর শেষ করতে হয়। সাফা থেকে মারওয়ার দূরত্ব ৪৫০ মিটার। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দোয়া কবুল হয়।
আরাফাতের ময়দান
হাদিসে এসেছে, ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম স্থান হলো আরাফাতের ময়দান। উত্তম দোয়া আরাফার দিবসের দোয়া এবং উত্তম কথা যা আমি এবং আমার আগের নবিরা বলেছেন। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই তিনি একক তার কোনো শরিক নেই; রাজত্ব তারই প্রশংসাও তার; তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
মুজদালিফা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ দিবাগত পুরো রাত মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে হয়। এটি সব হজ পালনকারীর জন্য আবশ্যক। হজরত আদম ও হাওয়া (আ.) এখানে একত্রে রাতযাপন করেন। এখানের দোয়াও আল্লাহতায়ালা কবুল করেন।
মিনা
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের স্থান মিনা। এখানেই আল্লাহতায়ালার আদেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) হজরত ইসমাইলকে কুরবানির জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। এখানে দোয়া কবুল হয়।
হজে দোয়া কবুল হয় যেসব জায়গায়
সুহাইল আহমদ
০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হারাম শরিফ
হারাম শরিফের সীমানা বাইতুল্লাহর পশ্চিমে জেদ্দার পথে ২২ কিমি., পূর্বে তায়েফের রাস্তায় ১৫-১৬ কিমি., দক্ষিণে ইয়ামেনের রাস্তায় প্রায় ১২ কিমি. এবং উত্তরে মদিনা শরিফের পথে প্রায় ৭ কিমি.। এ সীমানার মধ্যে দোয়া কবুল হয়।
কাবা শরিফ দেখামাত্র
আল্লাহর ঘর বাইতুল্লাহ দেখে দোয়া করা। বাইতুল্লাহ দেখামাত্র দোয়া করা। বর্ণিত আছে বাইতুল্লাহ প্রথম নজরে আসার পর যে দোয়া করা হবে তা কবুল হবে।
মসজিদে হারাম
কাবা শরিফের চারদিক ঘিরে যে বিশাল মসজিদ রয়েছে এটাই মসজিদে হারাম। মসজিদে হারামে দোয়া করলে কবুল হয়।
হাতিমে কাবা
কাবা ঘরসংলগ্ন উত্তর দিকে অর্ধবৃত্তাকার দেওয়ালঘেরা স্থান ‘হাতিমে কাবা’। এ স্থানটুকু আগে কাবাঘরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাবা ঘরের সংস্কার করার সময় হাতিম অংশ বাদ রেখে বর্তমান কাবা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানেও দোয়া কবুল হয়।
কাবা শরিফের চার কোণ
কাবা ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণকে বলা হয় রোকনে ইরাকি, উত্তর-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে শামি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোণকে বলা হয় রোকনে ইয়ামানি। দক্ষিণ-পূর্ব কোণকে বলা হয় রোকনে হাজরে আসওয়াদ। এ চার রোকন বা কোণে দোয়া কবুল হয়। তাওয়াফের সময় রোকনে ইয়ামানি থেকে রোকনে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত পড়তে হয় : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাছানা, ওয়া ফিল আখিরাতি হাছানা; ওয়া কি না আজাবান নার।’
মাতাফ
কাবা শরিফের চারদিক হাজিরা যেখানে তাওয়াফ করেন এটাকে মাতাফ বলে। মাতাফে দোয়া কবুল করা হয়।
হাজরে আসওয়াদ
কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে দেওয়ালে লাগানো জান্নাতি পাথর। এখান থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং এখানেই শেষ করতে হয়। হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে গুনাহ মাফ হয়। ইশারায়ও চুম্বন করা যায়। এটি দোয়া কবুলের স্থান।
মাকামে ইবরাহিম
কাবা শরিফের একটু পূর্বদিকে মাতাফের মধ্যে যে পাথরখণ্ড কারুকার্যখচিত বেরিকেডে সংরক্ষিত জান্নাতি ইয়াকুত পাথরগুলোর মধ্যে একটি। ইয়াকুত পাথর হচ্ছে মাকাকে ইবরাহিম। যার ওপর দাঁড়িয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করেছিলেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। এ মাকামে ইবরাহিমকে নামাজের স্থান হিসাবে গ্রহণ করার দিকনির্দেশনা এসেছে কুরআনে।
সাফা মারওয়া পাহাড়
কাবা শরিফের পূর্ব পাশের পাহাড় সাফা ও মারওয়া। এটি হজ ও ওমরার রোকন। এ সাফা পাহাড় থেকে সায়ী শুরু করতে হয়। সাফা পাহাড় থেকে মারওয়ায় এসে সায়ীর চক্কর শেষ করতে হয়। সাফা থেকে মারওয়ার দূরত্ব ৪৫০ মিটার। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দোয়া কবুল হয়।
আরাফাতের ময়দান
হাদিসে এসেছে, ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম স্থান হলো আরাফাতের ময়দান। উত্তম দোয়া আরাফার দিবসের দোয়া এবং উত্তম কথা যা আমি এবং আমার আগের নবিরা বলেছেন। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই তিনি একক তার কোনো শরিক নেই; রাজত্ব তারই প্রশংসাও তার; তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
মুজদালিফা
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ দিবাগত পুরো রাত মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে হয়। এটি সব হজ পালনকারীর জন্য আবশ্যক। হজরত আদম ও হাওয়া (আ.) এখানে একত্রে রাতযাপন করেন। এখানের দোয়াও আল্লাহতায়ালা কবুল করেন।
মিনা
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের স্থান মিনা। এখানেই আল্লাহতায়ালার আদেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) হজরত ইসমাইলকে কুরবানির জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। এখানে দোয়া কবুল হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023