বিষণ্নতা নয় নয়
এখন আর বিষণ্নতাকে সাময়িক মন খারাপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি পাঁচজনে প্রায় দু’জন তাদের জীবদ্দশায় কখনও না কখনও বিষণ্নতায় ভুগেছেন। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা শরীর ও মন দুটিরই বিশেষ ক্ষতি করতে পারে, যার মারাত্মক ফলস্বরূপ দেখা দেয় আত্মহত্যার চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
বিষণ্নতায় ভোগার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। যে কোনো বয়সের মানুষই বিষণ্নতায় ভুগতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষ নানা কারণে বিষাদগ্রস্ত হতে পারে।
অনেকে জিনেটিক্যালি বিষণ্নতায় ভুগে থাকেন। এছাড়া সাধারণত প্রিয়জন হারানোর শোক, আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব, শারীরিক নির্যাতনের শিকার, শারীরিক অক্ষমতা, একাকিত্বতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তাছাড়া যে কোনো বিষয়ে আশাহত হলেও মানুষ বিষণ্ন হয়।
বিষণ্নতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির লক্ষণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা যেসব কারণ চিহ্নিত করেছেন-
মনোযোগ কমে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, হীনমন্যতা, আত্মগ্লানিবোধ, অসহায়ত্ববোধ, অস্থিরতা, ইনসমনিয়া বা হাইপারসমনিয়া, হঠাৎ স্বাস্থ্য ভেঙে যাওয়া বা অতিরিক্ত মোটা হওয়া, হজমের সমস্যা,শূন্য অনুভূতি, কাজে অনাগ্রহ।
বিষণ্নতায় ভুক্তভোগী সবারই একই সমস্যা নাও হতে পারে। তবে উল্লেখ্য লক্ষণগুলো থেকে অন্তত পাঁচটি টানা দু’সপ্তাহ বা তার বেশি সময় দেখা গেলে তাকে বিষণ্নতায় আক্রান্ত বলা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ব্র্যায়ান বুশম্যানের মতে বিষণ্নতা থেকে পরিত্রাণের সাতটি উপায় হচ্ছে-
* জীবনকে অর্থবহ করে তোলা। অন্যের জন্য কৃত যে কোনো কাজ থেকে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে শেখা।
* নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ করা। বাস্তবভিত্তিক যে কাজের ওপর দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতা রয়েছে সেটি গ্রহণ করা।
* ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করার চেষ্টা করতে হবে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো অথবা পছন্দসই জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে।
* অতীত চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে আত্মগ্লানি বাদ দিতে হবে।
* প্রচুর পানি পানসহ নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
* স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
* উৎসাহিত করে যারা তাদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিষণ্নতা নয় নয়
এখন আর বিষণ্নতাকে সাময়িক মন খারাপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি পাঁচজনে প্রায় দু’জন তাদের জীবদ্দশায় কখনও না কখনও বিষণ্নতায় ভুগেছেন। দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা শরীর ও মন দুটিরই বিশেষ ক্ষতি করতে পারে, যার মারাত্মক ফলস্বরূপ দেখা দেয় আত্মহত্যার চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
বিষণ্নতায় ভোগার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। যে কোনো বয়সের মানুষই বিষণ্নতায় ভুগতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন মানুষ নানা কারণে বিষাদগ্রস্ত হতে পারে।
অনেকে জিনেটিক্যালি বিষণ্নতায় ভুগে থাকেন। এছাড়া সাধারণত প্রিয়জন হারানোর শোক, আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব, শারীরিক নির্যাতনের শিকার, শারীরিক অক্ষমতা, একাকিত্বতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। তাছাড়া যে কোনো বিষয়ে আশাহত হলেও মানুষ বিষণ্ন হয়।
বিষণ্নতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির লক্ষণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা যেসব কারণ চিহ্নিত করেছেন-
মনোযোগ কমে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, হীনমন্যতা, আত্মগ্লানিবোধ, অসহায়ত্ববোধ, অস্থিরতা, ইনসমনিয়া বা হাইপারসমনিয়া, হঠাৎ স্বাস্থ্য ভেঙে যাওয়া বা অতিরিক্ত মোটা হওয়া, হজমের সমস্যা,শূন্য অনুভূতি, কাজে অনাগ্রহ।
বিষণ্নতায় ভুক্তভোগী সবারই একই সমস্যা নাও হতে পারে। তবে উল্লেখ্য লক্ষণগুলো থেকে অন্তত পাঁচটি টানা দু’সপ্তাহ বা তার বেশি সময় দেখা গেলে তাকে বিষণ্নতায় আক্রান্ত বলা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ব্র্যায়ান বুশম্যানের মতে বিষণ্নতা থেকে পরিত্রাণের সাতটি উপায় হচ্ছে-
* জীবনকে অর্থবহ করে তোলা। অন্যের জন্য কৃত যে কোনো কাজ থেকে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে শেখা।
* নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ করা। বাস্তবভিত্তিক যে কাজের ওপর দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতা রয়েছে সেটি গ্রহণ করা।
* ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করার চেষ্টা করতে হবে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো অথবা পছন্দসই জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে।
* অতীত চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে আত্মগ্লানি বাদ দিতে হবে।
* প্রচুর পানি পানসহ নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
* স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
* উৎসাহিত করে যারা তাদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।