সময়ের ফল বহেড়া
গ্রামবাংলায় অতি পরিচিত একটি ফলের নাম বহেড়া। বহেড়া এক ধরনের ঔষধি ফল। এ ফলের আরেক নাম বিভিতকি, তবে সবার কাছে বহেড়া নামেই পরিচিত।
বহেড়ার কাঁচা ফল চিবিয়ে খাওয়া যায়। ফলের ধরনে স্বাদে-গুণে টক ও কইষট্যা। এ ফলের শাঁস অবিকল বাদামের মতো সুস্বাদু। তবে ফল হিসেবেই খাওয়া হয়।
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়, বসন্তে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে ফুল ধরে। ছড়ায় ছড়ায় গাছে ফুল ফোটে। হেমন্ত ও শীতকালে এর ফল পুষ্ট হয়, তারপর এমনিতেই গাছের ফল খসে খসে মাটিতে পড়ে। এ গাছের পাতা দেখতে অনেকটা বট পাতার মতো।
গাছের ডালের আগা লম্বা। বাকল নীলাভ বা ধূসর ছাই রঙের। লম্বা সরু ফাটলযুক্ত। ফল ডিম্বাকৃতি। দৈর্ঘ্যে এক ইঞ্চি। কাঠ হরিদ্রাভ ও শক্ত কিন্তু টেকসই নয়। কাঠ পানিতে সহজে পচে না। ব্যবহার কাঠ প্যাকিং বাক্স, তক্তা ও অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হয়। নৌকা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও গাছের ফলে ও ছালে কষা রস ট্যানিন যা থেকে লেখার কালি বানানো যায়। বহেড়া ফল জোলাপ হিসেবে পরিচিত। বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহেড়ার ভেষজ গুণেভরা। এতে রয়েছে- উদরাময়, জ্বর, হৃদরোগ, কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, সংকোচক, ব্যাকটেরিয়া নাশক, অর্শ, রিউমেটিক ফিভার, শুকনো ভিজানো ফলের পানি পেটের নানারকম অসুখ সারাতে... ও চুলের পুষ্টিবর্ধনে কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়।
বহেড়ার বৈজ্ঞানিক নাম : টারমেনালিয়া বেলেরিকা (Terminalia belerica),
ইংরেজি নাম : কমব্রেটেসি (Combrataceae), এ গাছের প্রাপ্তিস্থান ভারত, বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানেই পাওয়া যায়। সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রঘুভাঙ্গা গ্রামে সময়ের ফল হিসেবে বহেড়া পাওয়া যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পুষ্টিগুণ
সময়ের ফল বহেড়া
গ্রামবাংলায় অতি পরিচিত একটি ফলের নাম বহেড়া। বহেড়া এক ধরনের ঔষধি ফল। এ ফলের আরেক নাম বিভিতকি, তবে সবার কাছে বহেড়া নামেই পরিচিত।
বহেড়ার কাঁচা ফল চিবিয়ে খাওয়া যায়। ফলের ধরনে স্বাদে-গুণে টক ও কইষট্যা। এ ফলের শাঁস অবিকল বাদামের মতো সুস্বাদু। তবে ফল হিসেবেই খাওয়া হয়।
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়, বসন্তে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে ফুল ধরে। ছড়ায় ছড়ায় গাছে ফুল ফোটে। হেমন্ত ও শীতকালে এর ফল পুষ্ট হয়, তারপর এমনিতেই গাছের ফল খসে খসে মাটিতে পড়ে। এ গাছের পাতা দেখতে অনেকটা বট পাতার মতো।
গাছের ডালের আগা লম্বা। বাকল নীলাভ বা ধূসর ছাই রঙের। লম্বা সরু ফাটলযুক্ত। ফল ডিম্বাকৃতি। দৈর্ঘ্যে এক ইঞ্চি। কাঠ হরিদ্রাভ ও শক্ত কিন্তু টেকসই নয়। কাঠ পানিতে সহজে পচে না। ব্যবহার কাঠ প্যাকিং বাক্স, তক্তা ও অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হয়। নৌকা তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও গাছের ফলে ও ছালে কষা রস ট্যানিন যা থেকে লেখার কালি বানানো যায়। বহেড়া ফল জোলাপ হিসেবে পরিচিত। বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহেড়ার ভেষজ গুণেভরা। এতে রয়েছে- উদরাময়, জ্বর, হৃদরোগ, কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, সংকোচক, ব্যাকটেরিয়া নাশক, অর্শ, রিউমেটিক ফিভার, শুকনো ভিজানো ফলের পানি পেটের নানারকম অসুখ সারাতে... ও চুলের পুষ্টিবর্ধনে কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়।
বহেড়ার বৈজ্ঞানিক নাম : টারমেনালিয়া বেলেরিকা (Terminalia belerica),
ইংরেজি নাম : কমব্রেটেসি (Combrataceae), এ গাছের প্রাপ্তিস্থান ভারত, বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানেই পাওয়া যায়। সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রঘুভাঙ্গা গ্রামে সময়ের ফল হিসেবে বহেড়া পাওয়া যায়।