হেমন্তে নিজের যত্ন
হেমন্তের শুভ্রতা থাকলেও গরমের তীব্রতার যেন লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। সুয্যি মামা তার প্রখর তাপে পুড়িয়ে ফেলতে চাচ্ছে আশপাশ। তাই জনজীবনেও পড়ছে এর প্রভাব। প্রচুর গরমে পানিজাতীয় যেমন শরবত কিংবা লাচ্ছির মতো মুখরোচক খাবারের দিকে ঝুঁকছে সবাই তৃষ্ণা মেটাতে। তবে এতে তাৎক্ষণিক তৃষ্ণা মিটলেও শরীরে ডিহাইড্রেড রয়েই যাচ্ছে পাশাপাশি পানিবাহিত অনেক রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। তাই গরম থেকে নিজেকে স্বস্তিতে রাখতে কিছু টিপস আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ পাশাপাশি গরমের মাঝেও ফুরফুরে।
সানক্রিম
গরমের এ সময়ে ত্বকে রোদের প্রভাব প্রায়শই চোখে পড়ে। ফলে রোদে পোড়া আর কালচে দাগ ত্বকে চোখে পড়ে। গরমের এ সময়ে বাইরে কিংবা ঘরে থাকাকালীনও সানক্রিম ব্যবহার করুন। এতে ত্বক থাকবে এই গরমেও প্রাণবন্ত।
ছাতা
হেমন্তের এ সময়ে গরম যেমন থাকে তেমনি হঠাৎ বৃষ্টির কবলে পড়তেও সময় লাগে না। তাই ব্যাগে ছাতা রাখুন। বর্তমানে ছোট ফোল্ডিং করা নানা ডিজাইনের ছাতা পাওয়া যায় যা সহজেই ব্যাগে রাখা যায়।
পর্যাপ্ত আলো বাতাস
অনেকেই ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখেন না। এতে গরম আরও বেশি অনুভূত হয়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ঘর ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার রাখুন। পর্দার ক্ষেত্রে হালকা রঙের পর্দা, ফ্যান মুছে পরিষ্কার করে নেওয়া, আসবাবপত্র সব এক জায়গায় না রেখে আলাদ আলাদাভাবে গুছিয়ে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখলে এ গরমের সময়ও আপনি ঘরেও থাকতে পারবেন স্বস্তিতে।
পোশাক
এ সময় খুব বুঝে শুনে পোশাক নির্বাচন করা প্রয়োজন। কিছুটা ঢিলেঢালা পোশাক আপনাকে এ সময় স্বস্তিতে রাখতে পারবে। চেষ্টা করবেন সুতি কাপড় বেছে নিতে এতে ঘাম যেমন শুষে নেবে তেমনি আপনি গরমও কম অনুভুব করবেন। কালারের ক্ষেত্রে হালকা কালার যেমন সাদা, ধূসর, গোলাপি, সবুজ এ ধরনের রং বেছে নিতে পারেন।
পানি
গরমে প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস করুন। তবে তা যাতে খুব ঠান্ডা পানি না হয় এ দিকে লক্ষ রাখুন। ব্যাগে পানির বোতল রাখুন, বাইরের পানিজাতীয় শরবত, লাচ্ছি, জুস এড়িয়ে চলুন। এতে করে পানিবাহিত রোগ থেকে আপনি থাকবেন সুরক্ষিত।
খাবার
গরমের এ সময়ে তৈলাক্ত কিংবা ঝালজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে আপনার খাবার দ্রুত হজম হবে পাশাপাশি গরমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও আপনি থাকবেন সুরক্ষিত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হেমন্তে নিজের যত্ন
হেমন্তের শুভ্রতা থাকলেও গরমের তীব্রতার যেন লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। সুয্যি মামা তার প্রখর তাপে পুড়িয়ে ফেলতে চাচ্ছে আশপাশ। তাই জনজীবনেও পড়ছে এর প্রভাব। প্রচুর গরমে পানিজাতীয় যেমন শরবত কিংবা লাচ্ছির মতো মুখরোচক খাবারের দিকে ঝুঁকছে সবাই তৃষ্ণা মেটাতে। তবে এতে তাৎক্ষণিক তৃষ্ণা মিটলেও শরীরে ডিহাইড্রেড রয়েই যাচ্ছে পাশাপাশি পানিবাহিত অনেক রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। তাই গরম থেকে নিজেকে স্বস্তিতে রাখতে কিছু টিপস আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ পাশাপাশি গরমের মাঝেও ফুরফুরে।
সানক্রিম
গরমের এ সময়ে ত্বকে রোদের প্রভাব প্রায়শই চোখে পড়ে। ফলে রোদে পোড়া আর কালচে দাগ ত্বকে চোখে পড়ে। গরমের এ সময়ে বাইরে কিংবা ঘরে থাকাকালীনও সানক্রিম ব্যবহার করুন। এতে ত্বক থাকবে এই গরমেও প্রাণবন্ত।
ছাতা
হেমন্তের এ সময়ে গরম যেমন থাকে তেমনি হঠাৎ বৃষ্টির কবলে পড়তেও সময় লাগে না। তাই ব্যাগে ছাতা রাখুন। বর্তমানে ছোট ফোল্ডিং করা নানা ডিজাইনের ছাতা পাওয়া যায় যা সহজেই ব্যাগে রাখা যায়।
পর্যাপ্ত আলো বাতাস
অনেকেই ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখেন না। এতে গরম আরও বেশি অনুভূত হয়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ঘর ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার রাখুন। পর্দার ক্ষেত্রে হালকা রঙের পর্দা, ফ্যান মুছে পরিষ্কার করে নেওয়া, আসবাবপত্র সব এক জায়গায় না রেখে আলাদ আলাদাভাবে গুছিয়ে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখলে এ গরমের সময়ও আপনি ঘরেও থাকতে পারবেন স্বস্তিতে।
পোশাক
এ সময় খুব বুঝে শুনে পোশাক নির্বাচন করা প্রয়োজন। কিছুটা ঢিলেঢালা পোশাক আপনাকে এ সময় স্বস্তিতে রাখতে পারবে। চেষ্টা করবেন সুতি কাপড় বেছে নিতে এতে ঘাম যেমন শুষে নেবে তেমনি আপনি গরমও কম অনুভুব করবেন। কালারের ক্ষেত্রে হালকা কালার যেমন সাদা, ধূসর, গোলাপি, সবুজ এ ধরনের রং বেছে নিতে পারেন।
পানি
গরমে প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস করুন। তবে তা যাতে খুব ঠান্ডা পানি না হয় এ দিকে লক্ষ রাখুন। ব্যাগে পানির বোতল রাখুন, বাইরের পানিজাতীয় শরবত, লাচ্ছি, জুস এড়িয়ে চলুন। এতে করে পানিবাহিত রোগ থেকে আপনি থাকবেন সুরক্ষিত।
খাবার
গরমের এ সময়ে তৈলাক্ত কিংবা ঝালজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে আপনার খাবার দ্রুত হজম হবে পাশাপাশি গরমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও আপনি থাকবেন সুরক্ষিত।