পূজায় সবার পোশাক
শরৎ এলেও গরম আছে আগের মতোই। তাই ঘামসহ ত্বকের লালচে ভাব থেকেও মুক্তি মিলছে না। হালকা পোশাকই তাই গরমে শেষ ভরসা। অন্যদিকে শরৎ আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শারদীয় দুর্গা উৎসবের লগ্ন চলে এসেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে তাই উৎসবের আমেজ। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও উৎসব মানেই আনন্দ আর ছোটাছুটি।
কিন্তু যত সমস্যা এ গরমকে নিয়েই। তাই গরম থেকে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের রক্ষা করতে পোশাকে মনোযোগ দিতে হবে আলাদাভাবে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এদের ত্বক বড়দের থেকে বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই অ্যালার্জির মতো সমস্যা হয় বেশি। অন্যদিকে বেশি ছোটাছুটির কারণে ঘাম তো আছেই। তাই পূজার এ সময়ে গরম থেকে বাঁচতে শিশুর পোশাকের কাপড় হিসাবে সুতি বেছে নিন। এ ছাড়া সিল্ক কিংবা কটনের কাপড় নিতে পারেন শিশুর পোশাক ভেদে। এ ক্ষেত্রে ফ্রক, সালোয়ার কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরাতে পারেন সময় বুঝে। খুব বেশি আঁটোসাঁটো কাপড় পরাবেন না। যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা জামা পরাবেন শিশুকে। এতে ঘাম যেমন শুষে যাবে তেমনি গরমও কম অনুভব হবে। রঙের ক্ষেত্রেও কালো ধাঁচের রং এড়িয়ে চলুন। হালকা যেমন বেবি পিংক, কমলা, সবুজ, ধূসর, বাদামি, মেজেন্ডা এ জাতীয় রং বেছে নিন।
শিশুদের মতো বড়দের ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। লাল কিংবা কমলা পূজার সময়ের সবচেয়ে বেশি চোখে পড়া রং। এ রঙের ক্ষেত্রে কালার কম্বিনেশন করে নিতে পারেন হালকা রং যেমন ধূসর, বাদামি, সাদার সঙ্গে। নীল রংও মানিয়ে যায় খুব সহজেই গরমে। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে শাড়ি এ পূজায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। সুতি, কটন, জর্জেট কিংবা টাঙ্গাইল, মণিপুরি, বেনারসি, জামদানি এ পূজার বড় আকর্ষণ। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকেও শাড়ির ধরনে তাই মিল পাওয়া যায়। শাড়ির পাশাপাশি বড়দের পোশাকের ক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ, কুর্তি চোখে পড়ে পূজার সাজে।
মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের ক্ষেত্রেও যারা বড় তারা পূজাকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে হাতের কাজের কিংবা প্রিন্টের পাঞ্জাবি সবচেয়ে বেশি নজরকাড়ে পুরুষদের ফ্যাশনে। দশমীতে তাই পুরুষরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়িতে সেজে ওঠে বাঙালিয়ানায়। অন্যান্য দিনে ছেলেরা টি-শার্ট কিংবা শার্ট আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ বেছে নেওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে গরমের এ সময় খুব একটা বাইরে না যাওয়াই ভালো পূজার সময়ে। এতে ত্বক সানবার্ন হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় শিশুদের ক্ষেত্রে এক সেট কাপড় আলাদাভাবে সঙ্গে রাখুন সব সময়। খুব বেশি ঘাম হলে কিংবা জামা ভিজে গেলে পালটে দিন পোশাক। যতটা সম্ভব আলো বাতাসে রাখুন। উৎসবের এ সময়ে শিশুদের সাজেও আছে ভিন্নতা। তাই তাদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে পোশাক ডিজাইন করার আগে বয়স আর গরমের কথা অবশ্যই মাথায় রাখুন। কোনোভাবেই যাতে গরমে ক্লান্ত হয়ে না পড়ে। এতে করে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। শিশুর বয়স এবং ছেলেমেয়ে ভেদাভেদে আলাদা আলাদা কাপড়ের বৈচিত্র্য কাজ করে। একটু বড় হলে শাড়ি পরাতে পারেন। তবে শাড়ি যাতে খুব হালকা কাজের হয় এ বিষয়ে লক্ষ রাখুন। সুতি কিংবা জর্জেট এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন। ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি সঙ্গে প্যান্ট কিংবা সাদা রঙের ধূতি বেছে নিতে পারেন।
পূজায় সবার পোশাক
ফারিন সুমাইয়া
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শরৎ এলেও গরম আছে আগের মতোই। তাই ঘামসহ ত্বকের লালচে ভাব থেকেও মুক্তি মিলছে না। হালকা পোশাকই তাই গরমে শেষ ভরসা। অন্যদিকে শরৎ আগমনের সঙ্গে সঙ্গে শারদীয় দুর্গা উৎসবের লগ্ন চলে এসেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে তাই উৎসবের আমেজ। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও উৎসব মানেই আনন্দ আর ছোটাছুটি।
কিন্তু যত সমস্যা এ গরমকে নিয়েই। তাই গরম থেকে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের রক্ষা করতে পোশাকে মনোযোগ দিতে হবে আলাদাভাবে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এদের ত্বক বড়দের থেকে বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই অ্যালার্জির মতো সমস্যা হয় বেশি। অন্যদিকে বেশি ছোটাছুটির কারণে ঘাম তো আছেই। তাই পূজার এ সময়ে গরম থেকে বাঁচতে শিশুর পোশাকের কাপড় হিসাবে সুতি বেছে নিন। এ ছাড়া সিল্ক কিংবা কটনের কাপড় নিতে পারেন শিশুর পোশাক ভেদে। এ ক্ষেত্রে ফ্রক, সালোয়ার কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরাতে পারেন সময় বুঝে। খুব বেশি আঁটোসাঁটো কাপড় পরাবেন না। যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা জামা পরাবেন শিশুকে। এতে ঘাম যেমন শুষে যাবে তেমনি গরমও কম অনুভব হবে। রঙের ক্ষেত্রেও কালো ধাঁচের রং এড়িয়ে চলুন। হালকা যেমন বেবি পিংক, কমলা, সবুজ, ধূসর, বাদামি, মেজেন্ডা এ জাতীয় রং বেছে নিন।
শিশুদের মতো বড়দের ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। লাল কিংবা কমলা পূজার সময়ের সবচেয়ে বেশি চোখে পড়া রং। এ রঙের ক্ষেত্রে কালার কম্বিনেশন করে নিতে পারেন হালকা রং যেমন ধূসর, বাদামি, সাদার সঙ্গে। নীল রংও মানিয়ে যায় খুব সহজেই গরমে। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে শাড়ি এ পূজায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। সুতি, কটন, জর্জেট কিংবা টাঙ্গাইল, মণিপুরি, বেনারসি, জামদানি এ পূজার বড় আকর্ষণ। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকেও শাড়ির ধরনে তাই মিল পাওয়া যায়। শাড়ির পাশাপাশি বড়দের পোশাকের ক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ, কুর্তি চোখে পড়ে পূজার সাজে।
মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের ক্ষেত্রেও যারা বড় তারা পূজাকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে হাতের কাজের কিংবা প্রিন্টের পাঞ্জাবি সবচেয়ে বেশি নজরকাড়ে পুরুষদের ফ্যাশনে। দশমীতে তাই পুরুষরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়িতে সেজে ওঠে বাঙালিয়ানায়। অন্যান্য দিনে ছেলেরা টি-শার্ট কিংবা শার্ট আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ বেছে নেওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে গরমের এ সময় খুব একটা বাইরে না যাওয়াই ভালো পূজার সময়ে। এতে ত্বক সানবার্ন হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় শিশুদের ক্ষেত্রে এক সেট কাপড় আলাদাভাবে সঙ্গে রাখুন সব সময়। খুব বেশি ঘাম হলে কিংবা জামা ভিজে গেলে পালটে দিন পোশাক। যতটা সম্ভব আলো বাতাসে রাখুন। উৎসবের এ সময়ে শিশুদের সাজেও আছে ভিন্নতা। তাই তাদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে পোশাক ডিজাইন করার আগে বয়স আর গরমের কথা অবশ্যই মাথায় রাখুন। কোনোভাবেই যাতে গরমে ক্লান্ত হয়ে না পড়ে। এতে করে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। শিশুর বয়স এবং ছেলেমেয়ে ভেদাভেদে আলাদা আলাদা কাপড়ের বৈচিত্র্য কাজ করে। একটু বড় হলে শাড়ি পরাতে পারেন। তবে শাড়ি যাতে খুব হালকা কাজের হয় এ বিষয়ে লক্ষ রাখুন। সুতি কিংবা জর্জেট এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন। ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি সঙ্গে প্যান্ট কিংবা সাদা রঙের ধূতি বেছে নিতে পারেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023