জেনে নিন
বৃষ্টিতে ছাদবাগানের যত্ন
বৃষ্টির পানিতে থাকা নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন গাছের জন্য অনেক উপকারী। তাই বৃষ্টির পানি কলের পানির চেয়ে অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এ কারণে বর্ষাকালে গাছের পাতাগুলো আরও সতেজ হয়ে ওঠে। তবে অল্প বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য উপকারী হলেও অধিক বৃষ্টিতে গাছ মরে যেতে পারে। তাই কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে ছাদবাগানি ফরিদা আক্তার বলেছেন, যেসব গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না, সেগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে। যেমন, শাকজাতীয় সবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে পলিথিনের ছাউনির নিচে, বারান্দা, সিঁড়ি কোটার নিচে রাখা যেতে পারে। যেগুলোতে পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা আছে, সেগুলোতে সমস্যা হবে না।
অতিবর্ষণের কারণে আপনার ছাদবাগানে আশ্রয় নিতে পারে পোকামাকড়। তাই বর্ষায় আপনার ছাদবাগান সব সময় ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই সঙ্গে একটি টব থেকে আরেকটি টবের সামান্য হলেও দূরত্ব রাখবেন।
এ ছাদবাগানি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অনেক গাছ আছে, যেগুলো অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। তাই সেসব গাছের টবে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে পানি না জমে, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যে কোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমতো ছিদ্র থাকে। আর ইদানীং বড় বড় ড্রাম ব্যবহার করা হয় তাই এ ড্রামগুলোতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকে তা খেয়াল রাখা জরুরি।
আবার অনেক গাছ আছে যেগুলোর পানি বেশি প্রয়োজন, সেগুলো এমন স্থানে রাখুন যাতে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। অনেক সময় দেখা যায়, মাটির ওপর টব রাখা হলে বৃষ্টির কারণে পিঁপড়া বা কেঁচো সেখানে আশ্রয় নেয়। পরে টবে বা গাছের গোড়ায় স্থায়ী বাসা বানিয়ে আস্তে আস্তে গাছের ক্ষতি করে। তাই বৃষ্টির পরপরই এগুলো নির্মূলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণে ছাদবাগানের ক্ষতি হতে পারে। এসব পোকামাকড় নতুন পাতার রস খেতে গাছে জড়ো হয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে নিমের তেল, গোলমরিচ গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, রসুন, ছাই ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতেও কাজ না হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে, ভেজা আবহাওয়ায় গাছের গোড়ায় শ্যাওলা ও পরজীবী উদ্ভিদ জন্ম নিতে পারে। এসব পরজীবী গাছের খাদ্যরস শুষে নিয়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব পরিষ্কার করতে হবে। বর্ষার পানি জমে মশার জন্য এক নতুন আবাসভূমি তৈরি করে। তাই এ সময়ে টবে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। বর্ষায় যেহেতু রোদ কম থাকে তাই অনেক গাছেরই রোদের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ছোট টবগুলো সামান্য রোদ উঠলেই খোলা আকাশের নিচে এনে রাখা উচিত।
বৃষ্টিতে ছাদবাগানের যত্ন
জেনে নিন
আজহার মাহমুদ
৩০ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বৃষ্টির পানিতে থাকা নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন গাছের জন্য অনেক উপকারী। তাই বৃষ্টির পানি কলের পানির চেয়ে অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এ কারণে বর্ষাকালে গাছের পাতাগুলো আরও সতেজ হয়ে ওঠে। তবে অল্প বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য উপকারী হলেও অধিক বৃষ্টিতে গাছ মরে যেতে পারে। তাই কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে ছাদবাগানি ফরিদা আক্তার বলেছেন, যেসব গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না, সেগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে। যেমন, শাকজাতীয় সবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে পলিথিনের ছাউনির নিচে, বারান্দা, সিঁড়ি কোটার নিচে রাখা যেতে পারে। যেগুলোতে পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা আছে, সেগুলোতে সমস্যা হবে না।
অতিবর্ষণের কারণে আপনার ছাদবাগানে আশ্রয় নিতে পারে পোকামাকড়। তাই বর্ষায় আপনার ছাদবাগান সব সময় ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই সঙ্গে একটি টব থেকে আরেকটি টবের সামান্য হলেও দূরত্ব রাখবেন।
এ ছাদবাগানি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অনেক গাছ আছে, যেগুলো অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। তাই সেসব গাছের টবে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে পানি না জমে, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যে কোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমতো ছিদ্র থাকে। আর ইদানীং বড় বড় ড্রাম ব্যবহার করা হয় তাই এ ড্রামগুলোতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকে তা খেয়াল রাখা জরুরি।
আবার অনেক গাছ আছে যেগুলোর পানি বেশি প্রয়োজন, সেগুলো এমন স্থানে রাখুন যাতে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। অনেক সময় দেখা যায়, মাটির ওপর টব রাখা হলে বৃষ্টির কারণে পিঁপড়া বা কেঁচো সেখানে আশ্রয় নেয়। পরে টবে বা গাছের গোড়ায় স্থায়ী বাসা বানিয়ে আস্তে আস্তে গাছের ক্ষতি করে। তাই বৃষ্টির পরপরই এগুলো নির্মূলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণে ছাদবাগানের ক্ষতি হতে পারে। এসব পোকামাকড় নতুন পাতার রস খেতে গাছে জড়ো হয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসাবে নিমের তেল, গোলমরিচ গুঁড়া, শুকনা মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, রসুন, ছাই ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতেও কাজ না হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে, ভেজা আবহাওয়ায় গাছের গোড়ায় শ্যাওলা ও পরজীবী উদ্ভিদ জন্ম নিতে পারে। এসব পরজীবী গাছের খাদ্যরস শুষে নিয়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব পরিষ্কার করতে হবে। বর্ষার পানি জমে মশার জন্য এক নতুন আবাসভূমি তৈরি করে। তাই এ সময়ে টবে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। বর্ষায় যেহেতু রোদ কম থাকে তাই অনেক গাছেরই রোদের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ছোট টবগুলো সামান্য রোদ উঠলেই খোলা আকাশের নিচে এনে রাখা উচিত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023