বিদেশি ফ্যাশন
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ‘কিবায়া’র জন্য পাচ্ছে বৈশ্বিক স্বীকৃতি
ঢাকার নিউমার্কেট কিংবা স্থানীয় যে কোনো মার্কেটে গেলে আমরা মেয়েদের এক ধরনের পোশাক দেখতে পাই, যা স্থানীয়ভাবে ‘টপস’ নামে পরিচিত। ফুলহাতা এ ড্রেসগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গেও বেশ উপযোগী। সাধারণত সুতি কিংবা লিনেন কাপড়ের তৈরি টপসের মতোই দেখতে এক ধরনের জামা হচ্ছে কিবায়া। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাই-এসব দেশে এ কিবায়া বেশ জনপ্রিয়। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের জাতীয় পোশাক এ কিবায়া। জাতিগত এ পোশাক এতদিন এ অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রেস্টিজিয়াস ইনট্যানজিবল কালচারাল লিস্টে নাম উঠতে যাচ্ছে এ কিবায়ার। সিদ্ধান্তটি আসবে ২০২৪ সালে।
কিবায়া মূলত গ্রীষ্মকালীন পোশাক। এক সময় এটা আচার অনুষ্ঠানে পরিধান করা হতো। কেউ কেউ পারিবারিক অনুষ্ঠানেও পরিধান করে থাকেন। তবে এটা ধীরে ধীরে দৈনন্দিন পোশাকে রূপ নিয়েছে। এখন এটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাকের একটি। এর দাম শুরু হয় ৭ ডলার থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত। সাধারণত হাতের কাজের কিবায়ার দাম বেশি হয়ে থাকে।
আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কিবায়া স্টাইলের পোশাকগুলো ঠিক কিবায়ার মতো করে পরা হয় না। ভারত বা বাংলাদেশের মেয়েরা কিবায়ার সঙ্গে জিন্স কিংবা লেগিন্স পরে থাকে। কেউ কেউ প্লাজোর সঙ্গেও পরেন। তবে আমাদের যেভাবে তাদের পোশাক পরে থাকেন, দক্ষিণ পূর্ব আদিবাসীরা এশিয়ার মহিলারা কিবায়া পেটিকোটের মতো দেখতে পোশাকের সঙ্গে পরতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে এক কিবায়াই হয়তো এশিয়ার দুটি ভাগে দু’ভাবে পরিধান করা হয়। অথবা বলা যেতে পারে কিবায়া থেকে উৎসাহিত হয়ে আমাদের অঞ্চলের টপসগুলো তৈরি হয়েছে।
শতাব্দী পুরোনো কিবায়াকে ইন্দোনেশিয়া তাদের জাতীয় পোশাক ঘোষণা করে। ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়া যখন নেদারল্যান্ডস থেকে স্বাধীনতা পায়, তখন লেখক ও স্বাধীনতাকর্মী সোরাস্ত্রী করমা ত্রিমূর্তি এ কিবায়া পরই স্বাধীনতার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ইন্দোনেশিয়ার শ্রমমন্ত্রী হন। সেখান থেকেই এ কিবায়ার বৈশ্বিক যাত্রা শুরু বলা চলে।
অবশেষে সেই ঘটনার প্রায় আট দশক পর পোশাকটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফ্যাশন দুনিয়ার জন্যও এক বিরাট বিজয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ‘কিবায়া’র জন্য পাচ্ছে বৈশ্বিক স্বীকৃতি
বিদেশি ফ্যাশন
মো. রায়হান কবির
৩০ মে ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার নিউমার্কেট কিংবা স্থানীয় যে কোনো মার্কেটে গেলে আমরা মেয়েদের এক ধরনের পোশাক দেখতে পাই, যা স্থানীয়ভাবে ‘টপস’ নামে পরিচিত। ফুলহাতা এ ড্রেসগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গেও বেশ উপযোগী। সাধারণত সুতি কিংবা লিনেন কাপড়ের তৈরি টপসের মতোই দেখতে এক ধরনের জামা হচ্ছে কিবায়া। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাই-এসব দেশে এ কিবায়া বেশ জনপ্রিয়। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের জাতীয় পোশাক এ কিবায়া। জাতিগত এ পোশাক এতদিন এ অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার এর বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রেস্টিজিয়াস ইনট্যানজিবল কালচারাল লিস্টে নাম উঠতে যাচ্ছে এ কিবায়ার। সিদ্ধান্তটি আসবে ২০২৪ সালে।
কিবায়া মূলত গ্রীষ্মকালীন পোশাক। এক সময় এটা আচার অনুষ্ঠানে পরিধান করা হতো। কেউ কেউ পারিবারিক অনুষ্ঠানেও পরিধান করে থাকেন। তবে এটা ধীরে ধীরে দৈনন্দিন পোশাকে রূপ নিয়েছে। এখন এটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাকের একটি। এর দাম শুরু হয় ৭ ডলার থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত। সাধারণত হাতের কাজের কিবায়ার দাম বেশি হয়ে থাকে।
আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কিবায়া স্টাইলের পোশাকগুলো ঠিক কিবায়ার মতো করে পরা হয় না। ভারত বা বাংলাদেশের মেয়েরা কিবায়ার সঙ্গে জিন্স কিংবা লেগিন্স পরে থাকে। কেউ কেউ প্লাজোর সঙ্গেও পরেন। তবে আমাদের যেভাবে তাদের পোশাক পরে থাকেন, দক্ষিণ পূর্ব আদিবাসীরা এশিয়ার মহিলারা কিবায়া পেটিকোটের মতো দেখতে পোশাকের সঙ্গে পরতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে এক কিবায়াই হয়তো এশিয়ার দুটি ভাগে দু’ভাবে পরিধান করা হয়। অথবা বলা যেতে পারে কিবায়া থেকে উৎসাহিত হয়ে আমাদের অঞ্চলের টপসগুলো তৈরি হয়েছে।
শতাব্দী পুরোনো কিবায়াকে ইন্দোনেশিয়া তাদের জাতীয় পোশাক ঘোষণা করে। ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়া যখন নেদারল্যান্ডস থেকে স্বাধীনতা পায়, তখন লেখক ও স্বাধীনতাকর্মী সোরাস্ত্রী করমা ত্রিমূর্তি এ কিবায়া পরই স্বাধীনতার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ইন্দোনেশিয়ার শ্রমমন্ত্রী হন। সেখান থেকেই এ কিবায়ার বৈশ্বিক যাত্রা শুরু বলা চলে।
অবশেষে সেই ঘটনার প্রায় আট দশক পর পোশাকটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফ্যাশন দুনিয়ার জন্যও এক বিরাট বিজয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023