দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের
বাংলাদেশে করোনা আক্রমণের খবর প্রকাশের পরপরই হু হু করে দাম বেড়ে যায় চাল-ডাল-তেলসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর। এমনকি-মাক্স-স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশের দামও বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। রোববার রাজধানীর কাওরান বাজার এবং শ্যামবাজার ঘুরে পণ্যদ্রব্যের দাম যাচাই করে দেখা গেছে- গেল সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দামের চেয়ে এই সপ্তাহে তুলনামূলক বেশি। গেল সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এ সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা; টমেটো ছিল ২০ টাকা, এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রোববারে তা বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আদা ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, এখন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দেশি রসুন ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, এখন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, চায়না রসুন ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, এখন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
গত সপ্তাহে আটাশ চাল ছিল ৪০ টাকা এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, স্বর্ণা চাল ছিল ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। মিনিকেট ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। মোটা মসুর ডাল ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, চিকন মসুর ডাল ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মুগ ডাল ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। রোববার সব ধরনের তেল গায়ের মূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন কোনো কোনো দোকানে গায়ের মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখছে মজুদ নেই এমন অজুহাতে। রোববার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহ বাজারে মানুষ কম। তবুও সবজির দাম কমছে না। দিন শেষে কখনও কখনও সবজিগুলো অর্ধেক দামে এমনকি লসেও বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, দেশে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ব্যবসায়ীরা তো দাম বাড়াই, কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝে যেই হারে খাদ্যপণ্য মজুদের মানসিকতা দেখা যায় এটা সত্যি দুঃখজনক।
দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের
আল ফাতাহ মামুন
২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশে করোনা আক্রমণের খবর প্রকাশের পরপরই হু হু করে দাম বেড়ে যায় চাল-ডাল-তেলসহ প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর। এমনকি-মাক্স-স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশের দামও বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। রোববার রাজধানীর কাওরান বাজার এবং শ্যামবাজার ঘুরে পণ্যদ্রব্যের দাম যাচাই করে দেখা গেছে- গেল সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দামের চেয়ে এই সপ্তাহে তুলনামূলক বেশি। গেল সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এ সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা; টমেটো ছিল ২০ টাকা, এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রোববারে তা বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আদা ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, এখন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দেশি রসুন ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, এখন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, চায়না রসুন ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, এখন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
গত সপ্তাহে আটাশ চাল ছিল ৪০ টাকা এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, স্বর্ণা চাল ছিল ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। মিনিকেট ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। মোটা মসুর ডাল ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, চিকন মসুর ডাল ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মুগ ডাল ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। রোববার সব ধরনের তেল গায়ের মূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন কোনো কোনো দোকানে গায়ের মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখছে মজুদ নেই এমন অজুহাতে। রোববার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহ বাজারে মানুষ কম। তবুও সবজির দাম কমছে না। দিন শেষে কখনও কখনও সবজিগুলো অর্ধেক দামে এমনকি লসেও বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, দেশে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ব্যবসায়ীরা তো দাম বাড়াই, কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝে যেই হারে খাদ্যপণ্য মজুদের মানসিকতা দেখা যায় এটা সত্যি দুঃখজনক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023